বগুড়া যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনার গল্প||🫣[১০% @shy-fox ]
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমরা রাস্তাঘাটে চলার পথে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা দেখতে পাই। কখনো বা এই অ্যাক্সিডেন্ট আমাদের সাথে হয়ে থাকে। আসলে রাস্তাঘাটে চলতে হলে আমাদের অনেক সাবধানতার সাথে চলাফেরা করা উচিত। অ্যাক্সিডেন্ট মূলত বলে আসেনা। অ্যাক্সিডেন্ট হঠাৎ করে হয়ে যায়। আর এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিরাপদ এর সাথে চলতে হবে।অনেক সময় দুর্ঘটনার গুলো আমাদের নিজেদের দোষ এর কারণে হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় এই অ্যাক্সিডেন্ট গুলো ভাগ্যের কারণে হয়ে থাকে। সেটা বলা যাবে না। তবে আমাদের কারণে যেগুলো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে থাকে সেগুলো থেকে আমাদের নিরাপদে থাকতে হবে অর্থাৎ আমাদের কারণে যে অ্যাক্সিডেন্ট গুলো হয় আমরা তা হলো রাস্তা পারাপার ভালোভাবে না দেখে, যখন রাস্তা পার হয় তখন অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। আবার কখনও আমরা মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি স্পিডে চালিয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে। আবার কখনো নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালালে হয়ে থাকে। তাই যেগুলো কপালের লেখা থাকে সেগুলো তো আর এড়ানো যাবে না, কিন্তু আমাদের দ্বারা যে অ্যাক্সিডেন্ট গুলো হয় সেগুলো থেকে আমাদের নিরাপদে থাকতে হবে, তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমি যখন সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া যাচ্ছিলাম, বগুড়া যাওয়ার পথে একটি অ্যাকসিডেন্ট আমার চোখের সামনে হয়েছে, সত্যি সেদিন আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তো বন্ধুরা চলুন সেই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক,,,।
সময়টা ছিল ২০২০ সালে আমি তখন সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দিলাম। আমার সিট ছিল ড্রাইভার এর পরের সিট যার কারণে আমি সেখান থেকে সামনের সকল কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম। বগুড়া যাওয়ার এই মুহূর্তটা সত্যি অনেক ভালো লাগতেছিল। কারণ বগুড়াতে আমার বড় ভাইয়ের বাসা রয়েছে। সেই বাসাতে যাচ্ছি, আর বড় ভাই অনেকদিন পর বিদেশ থেকে এসেছে। যার কারণে অনেক ভালো লাগতেসিলো। বড় ভাই আমার জন্য একটি ফোন নিয়ে এসেছে। সেই জন্য আমার অনেক আনন্দ হচ্ছিল। যে আমি কখন বগুড়ায় যাব এবং বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করে আমার সেই মোবাই নেবো।
আমাদের সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বগুড়া যেতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার সময় লাগে। যদি রাস্তায় জ্যাম হয় তাহলে দুই ঘন্টা বেশি সময় লাগবে। আর যদি রাস্তায় জ্যাম না থাকে তাহলে আমরা দেয়ার ঘণ্টার মধ্যেই বগুড়া পৌঁছাতে পারি। এই ভ্রমণটা খুবই ভালো লাগতেছিল। মনের ভিতর আনন্দ কাজ করতেছিল মোবাইল পাওয়ার আশায়। আমরা যখন শেরপুর বাজার পার হলাম।তারপর দেখতে পেলাম দুটি মোটরসাইকেল তারা রাস্তায় প্রতিযোগিতায় নেমেছে এবং তারা একে অপরের আগে যাবার জন্য চেষ্টা করছে। মোটর সাইকেল চালানোর নিয়ম ছিল খুবই খারাপ, তারা আঁকাবাঁকা ভাবে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এবং অনেক স্পিডে যাচ্ছিল। আমাদের বাসের লোকেরা এরা বললো এরা এক্সিডেন্ট করবেই। এদের যে অবস্থা।এরা কিভাবে কত বড় সাহস নিয়ে হাইওয়েতে প্রতিযোগিতায় নামে।দেখতে দেখতে এই মোটরসাইকেল আরোহী সামনে একটি কারণে দুর্ঘটনা ঘটালো।
আর এই দুর্ঘটনাটি আমি আমার নিজের চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি। এভাবে আমি কখনোই চোখের সামনে রাস্তায় দুর্ঘটনা দেখিনি। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সত্যিই আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এবং সামনে একটি বড় ট্রাক ছিল। আর ট্রাকটি যখন ব্রেক করেছে। তখনই একটি মোটরসাইকেল সেই ট্রাকের সাথে ধাক্কাধাক্কি লেগে পড়ে যাওয়ার পরে পিছনে থাকা আর একটিও মোটরসাইকেল তার সাথে গেরে রাস্তায় পড়ে যায়।
মোটরসাইকেলের যারা চালাচ্ছিল তাদের মাথায় হেলমেট থাকলেও যারা পেছনে একজন করে বসে ছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল না। যার কারণে রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাদের অনেক জায়গায় কেটে যায় এবং একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। আমাদের বাস থামিয়ে আমরা তখন সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক অবস্থা খারাপ। রাস্তায় রক্ত পড়ছে একজনের পা ভেঙে গেছে এবং পিছনে থাকা একজনের মাথায় আঘাত লেগেছে, তাকে হাসপাতালে পাঠানো হল। সত্যিই এই দুর্ঘটনাটি আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আসলে এভাবে স্পিডে মোটরসাইকেল চালানো ঠিক না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে চালানো উচিত।বেশি স্পিডে তারা মোটরসাইকেল যদি না চালাতো তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না। তাই আমাদের সবার সাবধানে সাথে মোটরসাইকেল চালানো উচিত।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন রাস্তায় চলাচল করার সময় আমাদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর হ্যাঁ মোটরসাইকেল আমাদের কন্ট্রোলে থাকবে সেভাবে চালানো উচিত। আপনি খুব আনন্দিত হয়ে ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন যে মোবাইল পাবেন। কিন্তু যাওয়ার পথে এরকম একটা দুর্ঘটনা দেখতে পেলেন। আসলে কখন যে কি হয়ে যায় তার কোন ঠিক নেই। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর হ্যাঁ বানানের দিকে একটু নজর দিবেন।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অনেকেই আছে একটু বেশি স্পিডে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকে। যার জন্য বেশিরভাগ মানুষের এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে। নিজেদের দোষে নিজেরাই এক্সিডেন্ট হয়। নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল ছাড়লেই তো হয়। আসলে চোখের সামনে এভাবে এক্সিডেন্ট হতে দেখলে ভয় পাওয়ার ই কথা। খুবই খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি বিষয় সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা কিন্তু সত্যিই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় আমরা অনেক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হই। আমার মনে হয় মোটরসাইকেলে একটু বেশি এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে।আপনার মনের ভিতরে আনন্দ কাজ করতে ছিল মোবাইল পাওয়ার আশায় কিন্তু সেই আনন্দের ভেতর ব্যাঘাত ঘটে গেল। মনে হচ্ছে একটু বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আমার মতে মোটরসাইকেল নিয়ম মেনে চালালেই ভালো। যাই হোক ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট আগের চেয়ে অনেক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে কারণ একটু কোন মত চালানো শিখলেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেকেই বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালায় যার কারণে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। আর কোথাও যাত্রা শুরু করলে যদি যাত্রা পথে কোন দুর্ঘটনা চোখে পড়ে তাহলে সেই দিনটাই যেন পার হতে চায় না। সারাদিন ওই দুর্ঘটনার বিষয়টার মনের মধ্যে নাড়া দেয়। এর আগে একদিন এমন দুর্ঘটনা দেখে সারাদিন আমার মন খারাপ হয়েছিল।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ