২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবের দিন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এই সোনার বাংলা। বাঙালির ইতিহাস যেন যুগ যুগ ধরে প্রতিটা মানুষের বুকে রয়ে যাবে এই পৃথিবীর বুকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতা রূপ দিয়েছেন। আসলে এই মহান নেতার আত্মত্যাগের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি। ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন নির্মমভাবে নিরীহ ঘুমান্ত বাঙালীর উপরে হত্যার মেতে উঠেছিল। তখন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর সেই স্বাধীনতার ঘোষণার কারণে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আসলে স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে না। স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজ আমরা সোনার বাংলায় স্বাধীন ভাবে বাংলায় করতে পারছি।২৬ শে মার্চ বাঙ্গালি জাতির জন্য গৌরবের দিন।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নদীর পাড়ে বন্ধুদের সাথে নিয়ে ভ্রমন করার এই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই আমরা মোটরসাইকেল করে শহরের মধ্যে দিয়ে যমুনা নদীর দিকে রওনা দিলাম।

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে যমুনা নদী বেশি দূরে নয়। ১৫ মিনিট লেগেছে আমাদের । আমরা মোটরসাইকেল করে যমুনা নদীর পাড়ে আসলাম এবং আমাদের মোটরসাইকেলটির যমুনা নদীর তীরে রেখে। আমরা যমুনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাঁটতে লাগলাম।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকেল বেলা নদীর পাড়ে এই সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে ভ্রমাণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। বিকেলবেলা আরো অনেকেই এসেছে এই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আমরা নদীর পারে এই সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে কিছুক্ষণ বসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম।

নদীর পারে ছোট ছোট ইস্টিমার দেখতে পেলাম এবং এক পাশে আমি সারি বেঁধে অনেকগুলো নৌকা দেখতে পেলাম। সত্যিই নৌকাগুলো খুবই সুন্দর সারিবদ্ধভাবে ছিল, আসলে নদীর পাড়ে এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগলো। নদীর প্রকৃতি-পরিবেশ আমার খুবই ভালো লেগেছে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নদীর পারে অনেক মানুষ ভ্রমণ করতে আসেছে এবং ছোট ছোট বাচ্চারা আসেছে। তাই নদীর পারে সুন্দর একটি খেলনার দোকান দেখতে পেলাম। এখানে ছোট বাচ্চাদের নানা রকমের খেলনা বিক্রি হচ্ছে।দেখে খুবি ভালো লাগলো আমার।

নদীর পাড়ে আমি আখের রস বিক্রি করতে দেখতে পেলাম। আখের রস খেতে আমার খুবই পছন্দ। তাই আমি সেখানে গেলাম এবং আখের রস কিনলাম। এক গ্লাস আখের রস এর দাম ছিল দশ টাকা।আখের রস অনেক মিষ্টি ছিল।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নদীর পাড়ে যেনো ছোট মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে অনেক রকমের দোকান বসেছে। বাচ্চাদের খেলনা এবং নানা রকমের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। বিষয়টি আমার খুবই ভালো লাগলো। অনেক ভিড় হচ্ছে আসতে আসতে।বিকাল যত হচ্ছে মানুষের ততো আসাতে শুরু করেছে।খুবই ভালো লাগলো দিনটি অনেক আনন্দের সাথে সবাই পালন করছে।

নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পেলাম। এই ঘোড়ার গাড়িতে অনেকেই ভ্রমণ করছে। আসলে নদীর পারে এই সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে ঘোড়ার গাড়ি করে ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে।সত্যিই ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমনের দৃশ্য সবচাইতে ভালো লেগেছে আমার।