ঢাকা শহরে ভ্রমণ এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি//🌔[১০% @shy-fox ]🌹

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


ঢাকা শহরে আমার বড় ভাই বসবাস করে। তাই মাঝেমধ্যেই আমাকে ঢাকা শহরে ভ্রমণ যেতে বলে। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠে না,কর্মব্যস্ততার কারণে। তবে ঢাকা শহরে গত ২ দিন আগে আমি গিয়েছিলাম। কারণ আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। আর ভাইয়ের বাসা দিয়ে ভ্রমণ করা হয়ে গেল। এইজন্য আমি সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ঢাকা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ঢাকা শহরে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় লাগলো।সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় পরে, আমি ঢাকা শহরে পৌছালাম। বাস থেকে নেমেই ঢাকা শহরের সৌন্দর্য দৃশ্য দেখতে পেয়ে যেন মুক্ত হয়ে গেলাম। ঢাকা শহর আগের তুলনায় হাজারগুণ উন্নত হয়েছে। এই ঢাকা শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা শহরের সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে এসেছি।আশা করছি এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।


ঢাকা শহরে ভ্রমণ এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি📸👇


IMG_20230120_084048.jpg

ফটোগ্রাফি-১👇

IMG_20230120_083546.jpg

যখন আমাদের বাস ঢাকা শহরে পৌঁছাল। তখন আমি বাস থেকে নামলাম, বাস থেকে নেমে দেখতে পেলাম কি অপরূপ সৌন্দর্যময় রাস্তা। সত্যিই রাস্তায় এত সুন্দর ছিল যা বলার মতো না। উপর দিয়েছিল ফ্লাইওভার এবং রাস্তা কিভাবে পার হবে সেটা বুঝতে পারছিলাম না। একটু সামনে এসে দেখি আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হওয়া যায়। সত্যিই এটি দেখে যেন আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি তাকিয়ে দেখতে লাগলাম।
ফটোগ্রাফি-২👇

IMG_20230120_083603.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৩👇

IMG_20230120_083627.jpg

এ আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হওয়া যায়, এটা আমি প্রথমে দেখতে লাগলাম। অনেকেই রাস্তা পার হচ্ছে সত্যিই এই জিনিসটা আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে আর এর ভিতরে অনেক দিকের রাস্তা রয়েছে। কিভাবে কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তাই আমি আস্তে আস্তে আন্ডারপাসের ভিতরে প্রবেশ করতে লাগলাম।
ফটোগ্রাফি-৪👇

IMG_20230120_083644.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৫👇

IMG_20230120_083725.jpg

আরেকটু নিচে এসে দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর ভাবে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কে কোন দিকে পার হবে সেটার ব্যবস্থা রয়েছে এবং এখানে সেনাবাহিনী কর্মরত রয়েছে। আমি সেনাবাহিনীর ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম। সে আমার সাথে খুবই সুন্দর ব্যবহার করল। আমাকে খুবই সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিল। তার এই ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর আন্ডারপাস এর ভিতর অনেক সুন্দর ভাবে নকশা করা হয়েছে। সত্যিই অসাধারণ ছিল।
ফটোগ্রাফি-৬👇

IMG_20230120_083753.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৭👇

IMG_20230120_083846.jpg

আন্ডারপাসের বিদ্যুৎ দিয়ে খুব সহজেই আমি রাস্তা পার হলাম। সত্যিই খুবই ভালো লাগলো। অল্পসময়ের মধ্যে মাটির নিচ দিয়ে এভাবে রাস্তা পার হতে পেরে খুবি ভালো লেগেছে। কারণ এইবারই প্রথম পার হলাম তাই খুবই ভালো লাগলো। রাস্তা পার হয়ে দেখতে পেলাম ক্যান্টনমেন্টের সামনে চলে এসেছি।তখন আমার বড় ভাইকে আসতে বললাম। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম। বড় ভাই যখন আসলো, তখন বড় ভাইয়ের সাথে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
ফটোগ্রাফি-৮👇

IMG_20230120_083904.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৯👇

IMG_20230120_083929.jpg

ক্যান্টনমেন্টের অনেক ভিতরে বড় ভাইয়ের বাসা। তাই একটি রিকশা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের এই সৌন্দর্যময় রাস্তা দিয়ে ভ্রমণ করতে লাগলাম। সত্যিই রিকশায় করে ভ্রমণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কারণ ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশ এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সুন্দর ছিল যা বলার মত না।তাই ভ্রমণ করতে ছিলাম আর ক্যান্টনমেন্টের দৃশ্য উপভোগ করতেছিলাম।
ফটোগ্রাফি-১০👇

IMG_20230120_083951.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১১👇

IMG_20230120_084013.jpg

সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্ট এর সীমানা শেষে রয়েছে বিমানবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট। তারপরে আমি বিমানবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে এরিয়ার মধ্যে আসলাম। বিমান বাহিনীর এরিয়ার ভিতরে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বিমানবাহিনীর এরিয়ার এই দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ ছিলো।এত সুন্দর পরিবেশ যা আমি কল্পনা করতে পারিনি। খুবই ভাল লেগেছে। তবে সবগুলো ফটোগ্রাফি করতে পারেনি। কারণ ফটোগ্রাফি করা নিষেধ ছিল।
ফটোগ্রাফি-১২👇

IMG_20230120_084109.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১৩👇

IMG_20230120_084135.jpg

ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে অনেক বড় বড় মাঠ রয়েছে। আমি বিকেল বেলা যাচ্ছিলাম। তাই দেখতে পেলাম মাঠের ভিতর অনেক সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা খেলাধুলা করছে। তাদের খেলাধুলা করার দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগল। একই পোশাক পড়ে তারা খুবই সুন্দরভাবে খেলাধুলা করছে এবং কেউ কেউ ব্যয়াম করছে। সত্যি দৃশ্যগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ফটোগ্রাফি-১৪👇

IMG_20230120_084219.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ঢাকা শহরে ভ্রমণ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। ঢাকা শহরের সুন্দর দৃশ্য এবং ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। ক্যান্টনমেন্ট এত ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এবং সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগিয়েছে। প্রতিটি রাস্তার সাথে এই দৃশ্যগুলো বেশি ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,এই দোয়া রইল।🙏🌹🙏


New_Benner_ABB.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাRedmi Note 6 Pro
ধরণঢাকা শহরে ভ্রমণ এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি।
ক্যামেরা.মডেলNote 6 Pro
ক্যাপচার@rayhan111
অবস্থানঢাকা- বাংলাদেশ

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png-4.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗

Sort:  
 2 years ago 

আপনি তো দেখছি ঢাকা শহরে বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এরকম বিভিন্ন জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করার মজাটাই আলাদা। যেহেতু ঢাকা শহরে আপনার ভাই থাকে তাই অনেকদিন পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। আপনি তো দেখছি সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট এবং বিমান বাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট ঘুরে আসলেন। আমার কাছে এরকম ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। ভালোই ছিল।

 2 years ago 

ঢাকা শহরে ভ্রমণের দারুন দৃশ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট এবং বিমান বাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট ঘুরে আসলেন সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবগুলো দেখে বেশ আনন্দ পাচ্ছি।

 2 years ago 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

ঢাকা শহর এখন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তাঘাট! সেনাবাহিনীর আন্ডারপাস রাস্তা দিয়ে একদিন গিয়েছিলাম! অনেকটা বাহিরের দেশের মতো মনে হচ্ছিল! তবে ঢাক শহরের মানুষগুলো এখনো ইট পাথরের মধ্যেই জীবনকে বন্ধী করে রেখেছে।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি ঢাকা এসেছেন কাজে। আর আপনার বড় ভাই ঢাকা থাকে। ঢাকার ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় থাকে। ঢাকা অনেক উন্নত হয়েছে ঠিকই। তবে ক্যান্টনম্যান্ট এলাকা আরো বেশি উন্নত হয়েছে। আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুব ভাল লাগলো। ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

ঢাকা শহরে আপনার ভাইয়ার বাসায় এসে ভ্রমণের সময় দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি।আপনার ভাই ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকেন।ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এমনিতেই অনেক সুন্দর হয়।জি ভাইয়া অনেক উন্নত হয়েছে আগের তুলনায় রাজধানী বলে কথা উন্নত হবেই তো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলেছেন ঢাকা শহর আগের থেকেও অনেক উন্নত হয়েছে। তবে ঢাকা শহর গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ঢাকা শহর কোন নিজস্ব লোক থাকলে বেড়াতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনার বড় ভাই ঢাকা শহরে বসবাস করে তাই আপনার জন্য একটু সুবিধা হল। তবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন এবং সুন্দর বর্ণনা ও উপস্থাপনা করলেন।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনি তো দেখছি বেশ কয়েক রকম জায়গায় ঘুরে এসেছেন এবং সেখানে গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমার তো সব সময় মনে হয় শহর অঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চল খুবই ভালো। এভাবে বাসায় বন্দি হয়ে থাকতে কার ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলের প্রকৃতির মাঝে এভাবে সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা। কিন্তু আপনার কাটানো মুহূর্ত পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বেশ ভালো মুহূর্ত কাটালেন তাহলে।শেয়ার করার জন্য তো দেখছি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলেন।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

আমি তো শুনেছিলাম ঢাকা শহরে নাকি প্রচন্ড যানজট। তবে আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর। যাইহোক যেহেতু ভাইয়ের বাসায় গেছেন, তাহলে নতুন ঢাকা শহরটাকে কয়েকদিন ভালো করে ঘুরে দেখে আসেন।

 2 years ago 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58560.83
ETH 2491.85
USDT 1.00
SBD 2.40