বাবাকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমার বাবা অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। আসলে বাবাকে নিয়ে অনেকদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম বাবার হার্টের রিং পরানোর জন্য এবং হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ বাবা এখন অনেক সুস্থ রয়েছে এবং ডাক্তার বাবাকে চেকআপে করার জন্য নিয়ে যেতে বলেছিলেন দেড় মাসের পরে। দেড় মাস হয়েছে তাই বাবাকে নিয়ে ডাক্তার চেকআপ করাতে আবারো ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। আর ঢাকাতে রওনা দেওয়া সেই মুহুর্তগুলো ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি এবং বাবাকে ডাক্তার দেখিয়ে ডাক্তার কি বলল সেই মুহূর্তগুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা আশা করছি ঢাকা যাওয়ার সেই মুহূর্ত এবং ফটোগুলো দেখতে পেয়ে আপনাদেরও ভালো লাগবে। বন্ধুরা চলুন সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যাক।


ফটোগ্রাফি-১👇

IMG_20230519_190518.jpg

ডাক্তার বাবা কে যেতে বলেছিলেন। তাই বাবাকে ডাক্তারের সাথে দেখা করার জন্য আবারও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার বাসে উঠেছি, আর এই বাসে করে আমি আর বাবা যাচ্ছিলাম। যাত্রাপথে রাস্তার সৌন্দর্যময় দৃশ্য খুবই ভালো লাগলো। তাই ভ্রমণের সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছি।
ফটোগ্রাফি-২👇

IMG_20230519_190506.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৩👇

IMG_20230519_190335.jpg

আমাদের সিরাজগঞ্জের এস আই কাউন্টার থেকে দুইটি টিকিট কেটেছি। টিকিটের মূল্য আমাদের সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার সাড়ে ৩৫০ টাকা করে। তাই দুটি টিকিট ৭০০ টাকা দিয়ে কেটে আমি আর বাবা পাশাপাশি সিটে বসলাম এবং যাত্রাপথে বাবাকে একটা খবরের কাগজ কিনে দিলাম। বাবা সেই পেপার পড়তে লাগল। আর আমি বাবার পাশে বসে যাত্রাপথে প্রকৃতির সুন্দর সময় দৃশ্যগুলো জানালা দিয়ে উপভোগ করতে লাগলাম।
ফটোগ্রাফি-৪👇

IMG_20230519_190319.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৫👇

IMG_20230519_190430.jpg

আমাদের সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্য যমুনা সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। আর এই যমুনা ব্রিজের দৃশ্য আমি জানালা দিয়ে উপভোগ করতে লাগলাম। সত্যিই যমুনা ব্রিজের পাশে দিয়ে যাওয়ার পথে তাকিয়ে দেখতে পেলাম যমুনা ব্রিজের পাশেই রেলের জন্য আলাদা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এই সেতু অনেকটাই কাজ এগিয়ে এসেছে। সেই দৃশ্যগুলো আমি উপভোগ করতেছিলাম সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত ছিলো।
ফটোগ্রাফি-৬👇

IMG_20230519_190417.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৭👇

IMG_20230519_190402.jpg

যমুনা ব্রিজ অনেক বড় তাই এই ব্রিজের উপর দিয়ে পার হওয়ার সময় আমি বারবার যমুনা ব্রিজের বাইরের দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে লাগলাম। আসলে নদীর কাজ হচ্ছে এবং এই নদীর সেতুর কাজ খুব দ্রুত করা হচ্ছে। এই আলাদা সেতুর জন্য সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু রক্ষা পাবে। কারণ যমুনা সেতুর পাশ দিয়ে রেলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যার কারণে সেতুর উপরে অনেক চাপ পরে। যখন আলাদা সেতুর সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন অনেকটাই চাপ কমে যাবে।
ফটোগ্রাফি-৮👇

IMG_20230519_190348.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-৯👇

IMG_20230519_190530.jpg

অবশেষে আমাদের বাস ঢাকা শহরের মধ্যে প্রবেশ করল। ঢাকা শহরেই ব্যস্তময় দৃশ্যগুলো তখন উপভোগ করতে লাগলাম মসত্যি ঢাকা শহরের এই রাস্তাটি অনেক সুন্দর নিরিবিলি, কিন্তু মানুষের অনেক ভিড় ছিল। চারপাশে বড় বড় দালান কোঠা দেখতে পেলাম। ইট পাথরের এই দালানকোঠা যেন শেষ নেই। একের পর এক বের হতেই ছিল
ফটোগ্রাফি-১০👇

IMG_20230519_190714.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১১👇

IMG_20230519_190655.jpg

তারপরে বাস থেকে নামলাম। বাস থেকে নেমে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা এই শহরের মধ্যে দিয়ে বাবার হসপিটাল এর দিকে রওনা দিলাম। যেখানে ডাক্তার বসে এবং বাবাকে দেখবে। তাই রিসশা করে সেই মুহূর্তটা আনন্দময়ের সাথে উপভোগ করেছি। আর শহরের চারপাশের দৃশ্যগুলো আমি উপভোগ করতেছিলাম। আর ফটোগ্রাফি করছিলাম।
ফটোগ্রাফি-১২👇

IMG_20230519_190643.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

ফটোগ্রাফি-১৩👇

IMG_20230519_190620.jpg

ডাক্তার যে হসপিটালে বসে এই হসপিটালিটি অনেক বড় হসপিটাল। হসপিটাল এর দিকে তাকিয়ে যেন আমার চোখ ঘুরে গেল। যেন আমি নিচ থেকে উপর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। সত্যিই হসপিটালের দৃশ্য খুবই ভালো লেগেছে। আর এখানে ডাক্তার খুবই ভালো ব্যবহার করে। বাবাকে দেখে বলল যে আপনার কোন সমস্যা নেই।এখুন অনেক ভালো আছেন, চলাচল করতে পারবেন এবং কিছু নিয়ম সেগুলো মেনে চলবেন। যখন ডাক্তার বলল আপনার কোন সমস্যা নেই, অনেকটাই ভালো আছেন। এই কথা শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। আলহামদুলিল্লাহ ডাক্তারের কথাতে অনেক খুশি হয়েছি তখন।
ফটোগ্রাফি-১৪👇

IMG_20230519_190551.jpg

স্থান:ঢাকা ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান

আলহামদুলিল্লাহ আমার বাবা এখন অনেক সুস্থ রয়েছে। যার কারণে ডাক্তারের কথাতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আর বাবাকে নিয়ে ঢাকা শহরে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আজকের এই অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি থেকে আপনাদেরও ভাল লাগবে। তোর বন্ধুরা পরবর্তীতে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো, সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল।🙏🌹🙏


New_Benner_ABB.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাRedmi Note 6 Pro
ধরণবাবাকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি।
ক্যামেরা.মডেলNote 6 Pro
ক্যাপচার@rayhan111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png-4.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💗🌹💗🌹💗

Sort:  
 last year 
 last year 

আপনার বাবা এখন অনেক সুস্থ জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মা এবং বাবা যে কেউ একজন যদি অসুস্থ থাকে তাহলে যেন পুরো পরিবারটা অস্বস্তিতে ভোগে মনে হয় যেন সবাই খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।।
রওনা পথে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে যমুনা নদীর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।।

 last year 

আলহামদুলিল্লাহ শুনে বেশ ভালো লাগলো যে আঙ্কেল এখন সুস্থ্য আছেন। দোয়া রইল আঙ্কেলের প্রতি। আল্লাহ যেন তাকে শেফায়ে আযম দান করেন। আপনি সিরাজগঞ্জ থেকে ৩৫০টাকার টিকেট করে বাবাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় আ্সলেন। আর ঢাকায় আসার গল্পটির সাথে সাথে আমাদের সাথে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আমার আব্বু এখন অনেকটাই সুস্থ আছে এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি আপনার আব্বুকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলেন। হসপিটালের ডাক্তাররা খুবই ভালো ব্যবহার করে আসলে এরকম হসপিটালে গুলোতে গেলেও ভীষণ ভালো লাগে। ডাক্তার বলেছে আপনার আব্বু এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছে এটা শুনে আপনার ভালো লাগারই কথা। আপনার আব্বুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মুহূর্ত এবং এত সুন্দর বাহীদের সৌন্দর্যতা ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছেন দেখে সম্পূর্ণটা ভীষণ ভালো লাগলো।

 last year 

এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে যে আপনার বাবা এখন অনেকটাই ভালো আছে। হসপিটাল টা দেখছি অনেক বড়। ডাক্তার আপনার বাবাকে দেখে বলেছিলেন যে উনি এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে। এটা শুনে আপনি অনেক খুশি হয়েছিলেন। আসলে খুশি হওয়ার কথা এরকম সংবাদ ডাক্তাররা দিলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার বাবাকে ঢাকা শহরে ডাক্তার দেখানোর অনুভূতিটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন এবং বাহিরের সৌন্দর্যতা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বলতে গেলে সম্পূর্ণ পোস্ট অসাধারণ ছিল।

 last year 

আঙ্কেল এখন অনেকটাই সুস্থ আছে জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আল্লাহ যাতে উনাকে সুস্থ রাখে এটাই দোয়াই করি। ঢাকা যাওয়ার পথে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বাবাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনি আপনার আব্বুকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় হসপিটালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ডাক্তার আপনার আব্বুকে দেখে বলেছিলেন এখন ওনার ওরকম কোন সমস্যা নেই উনি এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে বাবা মায়ের সুস্থতার কথা ডাক্তারের মুখ থেকে এভাবে শুনলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি অনেক খুশি হয়েছিলেন যখন ডাক্তার এই কথাটা বলেছিল। ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা পড়ে আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভীষণ ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67275.57
ETH 3480.50
USDT 1.00
SBD 2.67