বন্ধুদের সাথে নৌকা ভ্রমণের স্মৃতিময় গল্প //পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বন্ধুদের সাথে স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা কখনোই ভোলা যায় না।এই দিনগুলোর কথা বারবার মনে পড়ে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আসলে স্মৃতিময় সেই দিনগুলোর কথা এখন মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। তেমনি আমার বন্ধুদের সাথে আজকে একটি স্মৃতিময় গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আসলে এই গল্পটি হল বন্ধুদের সাথে নৌকা ভ্রমণের মুহূর্তের। আগে বর্ষাকালে আমরা বন্ধুরা মিলে নৌকায় করে ভ্রমণ করতাম এবং নৌকায় করে পিকনিকের আয়োজন করা হতো। পিকনিকের আয়োজন এর সেই সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের ছিল। তো বন্ধুরা আজকে সেই স্মৃতি পাতায় থেকে বন্ধুদের নিয়ে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


সময়টা ছিল বর্ষাকাল আর বর্ষাকালে গ্রামের পরিবেশ যেন অন্যরকম হয়ে যায়। আসলে বর্ষাকালে পরিবেশ আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।আর বর্ষাকালে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক আয়োজন করতাম। আসলে আমাদের বাড়ির পাশেই নৌকার ঘাট ছিল, বর্ষাকালে এখানে অনেক নৌকা এসে থামতো। আর এই নৌকাগুলোতে উঠে আমরা অনেক আনন্দময় করতাম। ছোট বড় অনেক নৌকা থাকতো এই ঘাটে, আর এই নৌকায় করে আমরা নদীর মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতাম। তবে আমাদের সাথে আরো কিছু বড় ভাইরা ছিল তারা বলল যে আমরা একটি নৌকা ভাড়া করেছি। আমরা পিকনিক খাব, তোরা যদি কেউ পিকনিক খেতে চাস তাহলে আমাদের সাথে যুক্ত হও। এখন আমরাও যুক্ত হওয়ার জন্য রাজি হলাম। আর সেই নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্ত অনেক আনন্দের ছিল। সত্যি বড় ভাইরা অনেক যত্ন সহকারে রান্না বান্না ব্যবস্থা করেছিল এবং বলল যে পরের দিন সকালে আমরা এই নৌকায় করে যাব এবং নৌকাতে রান্না করব, সবাই যেন সকাল বেলাই নৌকার ঘাটে চলে আসে।


people-gcffa7d81d_1280.jpg

source

তাই আমি বাড়িতে এসে বললাম, যে আমার বন্ধুরা এবং বড় ভাইয়ের সাথে একটি নৌকা ভাড়া করেছি আমরা কালকে সকালবেলা নৌকায় করে পিকনিক খেতে যাব। আর নৌকায় করে এ পিকনিক খাওয়ার মুহূর্তটা আমরা বেশি দূরে যাব না, আমরা নদীর মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করব এবং নদীর পারে একটি বড় ব্রিজ রয়েছে সেই ব্রিজের পাশে বসে আমরা রান্না করবো এবং খাওয়া দাওয়া করবো। বাড়িতে বলার পরে মা রাজি হলো না। আমাকে যেতে দিবে না, বাবাকে বলে রাজি করালাম।


বাবা বলল যে আমরাও ছোটবেলা পিকনিক করেছি নৌকায় করে। আসলে নৌকায় করে পিকনিক করার মুহূর্ত অনেক আনন্দের। তবে নৌকায় সব সময় সাবধানে থাকতে হবে যাতে নৌকা থেকে একজন পড়ে না যায়। আমি বললাম ঠিক আছে বাবা। আমরা সাবধানে থাকবো সাথে আমাদের বড় ভাইরা রয়েছে। তারা অনেক সতর্কতার সাথে আমাদের নিয়ে যাবে। তাই বাবা রাজি হওয়াতে মা ও রাজি হল। তবে মা রাজি হচ্ছিল না বাবা বলার পরে রাজি হয়েছে। তাই অনেক খুশি লাগলো যখন মা পিকনিকে যেতে দিতে রাজি হয়েছিলো।


hands-g5fc45117c_1280.jpg

source

তাই আমি বন্ধুদের বললাম যে আমার মা রাজি হয়েছে আমাকে পিকনিকে যেতে দিবে। তোরাও সকাল সকালে তাহলে চলে আসিস।ওরা বলল যে ঠিক আছে আমরাও রাজি করেছি বাড়িতে। আমাদেরও যেতে দেবে। তুইও সকাল সকাল চলে আসিস। তাই আমরা সকালবেলায় যেন নৌকার ঘাটে চলে আসলাম এবং বাড়ি থেকে চাউল ও ডাউল নিয়ে এসেছি। আর মুরগি কেনার জন্য টাকা নিয়ে এসেছি। বড় ভাইরা ১০০ করে টাকা আর চাউলার ডাউ নিয়ে আসতে বলেছিল। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে সকাল বেলায় যেন নৌকার ঘাটে আসলাম নৌকার ঘাটে এসে দেখতে পেলাম।বড় ভাইরা দুটি বক্স ভাড়া করে এনেছে। আসলে তারা গান বাজনা আয়োজন করেছে।আর পিকনিকে গান বাজনা না থাকলে কি আনন্দ হয়। তাই বন্ধুরা অনেক খুশি হল বক্স দেখতে পেয়ে। আমরা ছোটরা বক্স দেখতে পেয়ে বেশি খুশি হলাম কারণ আমরাই এই গানের সাথে নাচানাচি করব। আসলে বড় ভাইদের সাথে পিকনিক করার সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। সবাই যেন নৌকায় এসে জমা হলো। তার কিছুক্ষণ পরেই যেন গ্যাসের চুলা নিয়ে আরেক বড় ভাই চলে আসলো। সে বলল যে বীজের নিচে আমাদের নৌকা থামিয়ে সেখানে আমরা রান্না করবো। আর নৌকায় করে রান্না করার মজাটাই অন্যরকম হবে। তাই অনেক আনন্দের সাথে আমরা খুশি হলাম আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের নৌকা যাত্রা শুরু করল, সেই মুহূর্তটা সত্যি অনেক আনন্দের ছিল।


আসলে বর্ষাকালে এভাবে নৌকায় করে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্ত অনেক আনন্দের ছিল। বড় ভাইদের সাথে নিয়ে এত সুন্দর একটি ভ্রমণের মুহূর্ত স্মৃতির পাতা যেন আজও রয়ে গেছে মতো আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করব নৌকা ভ্রমণের মুহূর্ত ও পিকনিকের সেই আয়োজনের পরবর্তী অংশটুকু। আশা করছি সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

আপনার বর্ষাকালের পিকনিকের গল্প শুনে কিন্তু আমার এখন বেশ লোভ হচেছ আপনার মতো করে গ্রামে যেয়ে পিকনিক করতে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। কারন আমার তো আর বন্ধু নাই, নৌকা নাই আর গ্রামও নাই। শুধু বুক ভরা আফসোসই রয়েগেল। বেশ সুন্দর করে আপনি আমাদের মঝে আপনার বন্ধুদের নিয়ে বর্ষাকলে করা পিকনিকের গল্প শেয়ার করেছেন। ভালোই মজা করেছেন বুঝা যাচ্ছে।

 last year 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 65845.60
ETH 3304.70
USDT 1.00
SBD 2.69