আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ফুলজোর নদী। ছোটবেলার হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে বন্ধুদের সাথে এই ফুলজোর নদীকে কেন্দ্র করে।আগে যখন গ্রামে থাকতাম তখন বিকাল হলে বন্ধুদের সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে আসতাম এবং নদীর পাড়ে অনেকে মাছ ধরতে। সেই মাছ ধরা দেখতাম।ফুলজোর নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রিজ রয়েছে পারাপারের জন্য। এই ব্রিজের উপরে বসে থেকে আমরা বিকেল বেলা নদীর আবহাওয়া উপভোগ করতাম। তাই আজকে অনেকদিন পর গ্রামে এসে। আর বিকেল বেলা সেই স্মৃতি হয় ফুলজোর নদী পারে আসলাম। ব্রিজের উপর থেকে নদীর দৃশ্য দেখতে পেলাম এবং সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।তাই নদীর পাড়ে গিয়ে নদীর দৃশ্য উপভোগ করলাম। তার সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করে কিছু ফটোগ্রাফি করে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।আশা করি নদীর পাড়ের মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যাক,,,।

প্রথমে আমি ফুলজোর নদীর পাড়ে ব্রিজের পাশে আসলাম। আর এই ব্রিজ এখন অনেক উন্নত করা হয়েছে। আগে একটি ব্রিজ ছিল আর এই ব্রিজটি নিচু ছিলো। এখন তার পাশ দিয়ে আরেকটি বড় ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। আর এই ব্রিজটি অনেক বড় ও উঁচু করে তৈরি করেছে।ব্রিজ দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সকল জায়গায় যেন পরিবর্তন হচ্ছে, নদীর পাড়ের দৃশ্য আগের চাইতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নদীর পাড়ে দেখতে পেলাম কচুরিপানার ফুল। আর এই কচুরিপানার ফুল গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।

নদীতে লঞ্চ স্টিমার চলাচল করবে, আর এই নদীতে লঞ্চ স্টিমার চলাচল করার জন্য নদীর খনন কাজ চলছে। নদী থেকে বালু উঠানো হচ্ছে। যাতে নদীর স্রোত আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।দৃশ্যটি দেখে খুবি ভালো লাগছে।

নদীর মধ্যে ড্রেজার মেশিন সেট করা হয়েছে। আর এই ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা হচ্ছে। বালু তুলে অনেক দূরে নেওয়া হচ্ছে। সেটা পাইপের মাধ্যমে নিচ্ছে। আর নদীর পাড়ে এসে আমি এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে।দেখে ভাল লাগল। তাই আমি নদীর পাড়ে গিয়ে এই দৃশ্যগুলো ভালোভাবে উপভোগ করলাম। আর ফটোগ্রাফি করলাম।

নদী থেকে যে বালু গুলো তোলা হচ্ছে, এই বালুগুলো আবার ট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার মেরামতের কাজ হচ্ছে। নদীর পাড় দিয়ে বিশ্ব রোডের রাস্তা বানানো হচ্ছে। একসাথে দুটি কাছে হচ্ছে। নদী থেকে খননে মাধ্যমে যে বালু তোলা হচ্ছে,সেই বালু আবার এই রাস্তার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সত্যিই এটি খুবই আমাদের জন্য ভালো কারণ আমাদের এলাকায় আগের চাইতে অনেক উন্নত হচ্ছে।

নদীর উপর দিয়ে যে ব্রিজ রয়েছে পারাপারের জন্য, এই ব্রিজের উপরে আসলাম। ব্রিজটি পার হলাম এবং ব্রিজ এর পশ্চিম পাশে এসে নদীর সৌন্দর্য দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলাম। আসরের নদীর সৌন্দর্যময় দৃশ্য পশ্চিম পার থেকে খুবই ভালো ভাবে উপভোগ করা যায়।

নদীর পাড়ে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম। জেলেরা মাছ ধরছে নৌকা নিয়ে এই দৃশ্যটির রয়েছে। সত্যিই রোদের কারণের নদীর পানি যেন চকচক করছে এ দৃশ্যটি আমার খুবই ভাল লাগল। আসলে নদীর পাড়ে এসে বিকেল বেলায় সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

নদীর পাড়ে সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম এবং বাড়িতে আসার পরে নদীর পাড়ের আর একটি সৌন্দর্যময় দৃশ্য উপভোগ করলাম। এটি ফুলজোর নদীর অন্য একটি শাখা চলে গেছে।এই শাখা নদীর স্রোত কম। তাই এই নদীর কাজ করা হবে এবং এখানে কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে, নদীর পাড়ের দৃশ্যটি দেখে ভালই লাগল এবং নদীতে দেখতে পেলাম কচুরিপানা ফুল রয়েছে। সত্যিই আজকে নদীর পাড়ে কিছু মুহূর্তে উপভোগ করতে পেরে আমি আনন্দিত।