বন্ধুর সাথে ভ্রমণ ও মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-১//[১০% @shy-fox ]
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুদের সাথে নিয়ে হাজারো গল্প রয়েছে, আর এই গল্পগুলো মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি আমার বন্ধু হাসানের সাথে একটি গল্প। আর এই গল্পটি হল আমি আর হাসান স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম, আর স্কুল থেকে বন্ধুর সাথে যাওয়ার পথে রাস্তার মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে। স্মৃতিময় দিনের গল্পটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতির মধ্যে যখন আনন্দময় কিছু মুহূর্ত মনে করা হয়, তখন খুবই ভালো লাগে। আমার বন্ধু অনেকেই ছিল এবং অনেক বন্ধুর সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় বন্ধু হাসানের সাথে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। নাইনে পড়া অবস্থায় আমাকে একটা নতুন সাইকেল কিনে দেওয়া হয়েছে। আর আমার বন্ধু হাসানেরও একটি সাইকেল ছিলো। তাই দুই বন্ধু মিলে সাইকেল চালিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমাদের টিফিনের সময় হাসান বলল চল আজকে আমরা সাইকেল ভ্রমণ করব এবং ভ্রমণ করে আমাদের ক্লাসের মানিকদের বাড়ি যাবো।মানিক আজকে স্কুলে আসেনি। তাই আমরা টিফিনের সময় সাইকেল চালিয়ে মানিকের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যাত্রা পথে রাস্তার সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করতেছিলাম। মালিকদের গ্রামের রাস্তাটা খুবই সুন্দর ছিল।
তো আমি আর হাসান বন্ধু যখন সাইকেল চালিয়ে মানিকদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। মানিকদের গ্রামের পাশেই অনেক সুন্দর একটি পুকুর রয়েছে। আর এই পুকুরে বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ করা হয়। মাছ গুলো আমরা এর আগেও দেখেছি। তবে আজকে অনেক জেলে এসেছে এবং এখান থেকে মাছ ধরছে। তাই আমরা সাইকেলে থামিয়ে এই মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে ছিলাম। সত্যে জেলেরা অনেক বড় বড় জাল দিয়ে মাছ ধরছে। আর মাছ গুলো অনেক বড় বড় যার কারণে লাফালাফি করছে,এই দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগতেছিল। এত বড় বড় মাছ আর এই মাছগুলো ধরা দেখার জন্য অনেক মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সত্যিই মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। যখন এই পুকুরের মধ্যে থেকে মাছগুলো লাফ৷ দিয়ে উপরে উঠে তখন সেই দৃশ্যগুলো আরো বেশি ভালো লাগে. কিছুক্ষণ মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে ছিলাম এবং একটু পরে দেখলাম মানিক এসেছে মাছ ধরতে।মাছ ধরার দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগল। প্রথমে বললাম মানিকরে তুই এখানে মাছ ধরবি নাকি, মানিক বলল আমার চাচা এখানে মাছ ধরছে। তাই আমাকেও আসতে বলেছে। সেজন্য স্কুলে যায়নি। তো মানিকের মাছ ধরতে দেখে আমাদের ইচ্ছা জাগলো। তখন হাসান বললাম মানিক আমরা মাছ ধররে কি তোর চাচা ধরতে দিবে। তখন মানিক বললো সমস্যা নেই আমি চাচাকে বললি,মানিকের চাচা আমাদের মাছ ধরতে দিলো।তাহলে আমরা সাইকেলটা রাস্তা পাশে রেখে মাছ ধরার জন্য আমি হাসান প্রস্তুতি নিলাম।
তারপর আমি আর হাসান স্কুল ব্যাগের ভিতর শার্ট খুলে রেখে দিলাম।আমাদের সাইকেল দুটি সুন্দরভাবে রাস্তার পাশে গাছের কাছে রেখে দিলাম।তারপর আমরা মাছ ধরতে পুকুরে নামলাম। আমি হাসান আর মানিক এক সাথে জাল এর মাধ্যমে থেকে বড় বড় মাছ গুলো ধরতে ছিলাম। আর এই মাছগুলো অনেক বড় বড় ছিলো।মানিক এর চাচা বললো দেখো বড় বড় মাছ ধরতে গিয়া যেন ব্যাথা না পাও তোমরা।তাই আমরা খুবই সাবধানে মাছ ধরতে লাগলাম। এই পুকুরে অনেক বড় বড় কাতল, রুই, আর তেলাপিয়া মাছ ছিলো।তিন বন্ধু মিলে অনেক আনন্দের সাথে মাছ ধরতে ছিলাম। সত্যি বন্ধুদের সাথে নিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত অনেক আনন্দের ছিল। বড় বড় মাছ ধরতে গিয়ে মাঝে মাঝে ছুটে যাচ্ছিল। আর তখন অনেক হাসাহাসি এবং আনন্দ হচ্ছিলো। সেদিনটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।
গল্পটি চলমান
আপনি যখন ক্লাস নাইনে পড়েন তখন একটা সাইকেল কিনেছিলেন এবং আপনার বন্ধু হাসানেরও একটি সাইকেল ছিল। যেহেতু মানিক আজকে স্কুলে আসেনি তাই আপনারা সাইকেল চড়ে মানিকের বাসায় যাবেন। মানে যে গ্রামে অনেক পুকুর ছিল আপনারা পুকুরের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন। আপনারা তিন বন্ধু মিলে অনেক বড় বড় মাছ ধরেছেন। আসলে সবাই মিলে মাছ ধরার অনুভূতিটা অন্যরকম যা বোঝানো যায় না। বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ ও মাঝরা স্মৃতিময় গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমারও গ্রামের চারপাশে ঘুরতে আর প্রকৃতিক পরিবেশ দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা তিন বন্ধু মিলে পুকুরে অনেক মাছ ধরলেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। গ্রামের পুকুর গুলোর মধ্যে প্রচুর মাছ থাকে। এতগুলো মাছে ধরলেন কিছু মাছ তো আমাদের জন্য পাঠাতে পারতেন। বন্ধুদের মত যদি একটা সাইকেল অথবা বাইক থাকা যায় তাহলে সেটিও নিজের বন্ধুর মত হয়ে যায়। আপনার পোস্টে পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিছুই শেখার এবং দেখার বিষয় ছিল।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ভাইয়া, আপনি যখন ক্লাস নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন তখনই নতুন সাইকেল পেয়েছিলেন এটা জানতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার বন্ধুত্বের প্রতি বিশেষ আন্তরিকতা ছিল। স্কুলে মানিকের অনুপস্থিত দেখে টিফিনে আপনি এবং আপনার বন্ধু হাসানকে সঙ্গে নিয়ে মানিকের বাড়িতে যাওয়ার মুহূর্তটুকু সত্যিই এক মধুর স্মৃতি। পাশাপাশি আপনারা তিনজন মিলে পুকুরে মাছ ধরার স্মৃতিটা অসাধারণ। ছোটবেলার অসাধারণ মুহূর্তের স্মৃতিটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।