কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঢাকায় গিয়েছিলাম আমার গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে। সেই কাজটি ছিল আমার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার তুলতে। বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার তুলতে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসার অনুষদ পরিষদে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে আমার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার আমি আবেদন করে এসেছিলাম। আর সেখানে আমি প্রথমবার গিয়েছিলাম। ঢাকা শহরের এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে রিকশা করে ভ্রমণ করতেছিলাম। আর সেই জায়গায় দিকে যাচ্ছিলাম। যাত্রাপথে আমি সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।তাই ঢাকা শহরের অপরূপ দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করেছি। যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা শুরু করা যাক।

প্রথমে আমি কমলাপুর রেলস্টেশনে নামলাম।রেল ইস্টিশনের নেমে রেল স্টেশনের সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। এবং রেল স্টেশন এর পাশেই আমি একটি রিকশা ভাড়া করলাম। সেই রিক্সা আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া চায়লো। আমি তো ভাড়া জানি না, তারপরেও আমি বললাম ৮০ টাকা দিব। সে রাজি হয়ে গেল, তারপরে আমি একটি রিক্সায় উঠে বাংলাদেশের ডেন্টাল এন্ড কাউন্সিল অফিসের দিকে যাত্রা করলাম।

ব্যস্তময় এই ঢাকা শহরের দৃশ্য আমি উপভোগ করতে লাগলাম। অপরূপ সৌন্দর্য ঢাকা শহরের দৃশ্য। চারদিকে যেন উঁচু বিল্ডিং, রাস্তা যেন একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং অনেক গাড়ি একসাথে চলাচল করছে। এই রাস্তা দিয়ে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আসলে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং রাস্তাঘাট অনেক উন্নত করা হয়েছে। আশেপাশের বিল্ডিং গুলো যেন দেখে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।

ঢাকা শহরে এই উঁচু উচু বিল্ডিং গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। কারণ অনেক বড় বড় বিল্ডিং আমি দেখতে পেলাম। আর এর মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতেছিলাম। আসলে ঢাকা শহরে রিক্সায় করে ভ্রমণের মুহূর্তটা আনন্দের ছিল। কারণ রিক্সায় করে ভ্রমণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর রাস্তার আশেপাশের সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো আমি দেখতেছিলাম। রিক্সায় করে ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম। কারণ রিক্সায় করে ভ্রমণ করলে সুন্দরদৃশ্যগুলো উপভোগ করা যায়।

ঢাকা শহরে একটি বড় বিল্ডিং এ দেখতে পেলাম সারা বিল্ডিং জুড়ে যেন এসির মেশিন বসানো হয়েছে। আসলে এই এসি গুলো দেখতে পেয়ে যেন আমার খারাপই লাগলো। কারণ প্রচন্ড গরমের মধ্যে অন্য অন্য মানুষেরা বিদ্যুৎতের অভাবে কত কষ্ট পাচ্ছে। আর পুরো বিল্ডিং জুড়ে যেন এসির লাগানো।এখানে বিদ্যুতের কত অপচয় হচ্ছে। একজন মানুষের শান্তির জন্য হাজার মানুষের কষ্ট। বর্তমানে বিদ্যুতের অনেক সমস্যা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশে।

ব্যস্তময় ঢাকা শহরের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণের মুহূর্তটা ভালই লাগতেছিল। উঁচু উচু বিল্ডিং দেখে মনে হচ্ছিল এরকম বিল্ডিং এ যদি একটা মালিক হতে পারতাম। তাহলে জীবনটা সার্থক হত। আসলে মানুষের চাহিদা শেষ নেই, মানুষের স্বপ্নেরও শেষ নেই। এই রিকশা নিয়ে ভ্রমণ করতেছিলাম আর মনের ভিতর এই কল্পনাগুলো জাগতে ছিলো।

ঢাকা শহরে এই সুন্দর দৃশ্যগুলো রিক্সা নিয়ে ভ্রমণের মুহূর্ত উপভোগ করতেছিলাম, আর ভ্রমন করতেছিলাম। ভ্রমণের মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। অবশেষে আমি রিক্সাওয়ালাকে বললাম যে রাষ্ট্রের চিকিৎসা অফিস আর কতদূর। সে বলল যে আর বেশি দূরে নয়। আর একটু গেলে আমরা পেয়ে যাব, যখন এই কথা শুনলাম তখন খুবই ভালো লাগতেছিল।অবশেষে কাছাকাছি চলে এসেছি।

অবশেষে রাষ্ট্র চিকিৎসার অনুসরণ বিএমডিসির অফিসে আমি পৌঁছালাম। রাস্তার পাশ থেকে যখন এই অফিসটি দেখতে পেলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো। আমার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন এর আবেদন করব, জানিনা কত সময় লাগবে। তবে অফিস দেখতে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে আমি অফিসে ঢুকলাম, অফিসে ঢুকে তাদের ব্যবহার দেখে আমি মুগ্ধ। তারা খুবই সুন্দর ব্যবহার করল। আমার রেজিস্ট্রেশনের অবেদন কমপ্লিট হয়ে গেলো,তারপর আমি সেটা জমা দিয়ে দিলাম।