১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রাম্য মেলার আয়োজন 🌿[১০% @shy-fox ]🌹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
১৬ ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে আমার ভাইয়ের রক্তের বিনিময় এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়। বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে। লাল-সবুজের একটি পতাকা পেয়েছি আর এই পতাকা অর্জন হয়েছে ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে।অর্জন হয়েছে লাল সবুজের পতাকা। বাঙালির বীর সন্তানদের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি। এই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিজয় দিবসের আনন্দ উল্লাস উপলক্ষে আমাদের গ্রাম্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সত্যিই এই মেলাটি ছিল গ্রাম্য পরিবেশ এবং গ্রামের মানুষদের মধ্যে আনন্দ দেওয়ার একটি অনুপ্রেরণা। বিজয় দিবসের সম্পর্কে অনেক ধারণা এই মেলাতে দেওয়া হয়েছে। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রাম্য মেলা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি ভালো লাগবে।
তো বন্ধুরা চলুন বন্ধুর যমুনা নদীর পাড়ে বিকেলবেলা সুন্দর মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি দেখা শুরু করা যাক,,,
১৬ ই ডিসেম্বর রাতে আমাদের এখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল এবং কিভাবে যুদ্ধ করা হয় এবং বিজয় অর্জন করা হয় সেই নাটকগুলো পরিবেশন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে দিয়ে আমরা কিভাবে স্বাধীনতা পেয়েছি ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক কাহিনী জানতে পেরেছি। আমাদের গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তারা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের ধারণা দিয়েছিল এবং তাদের অনুমতি নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলাই আমি প্রথমে ঢুকলাম এবং মেলা থেকে আমি দেখতে পেলাম ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রথমে আমি তাই মেলার সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এই মেলা যেহেতু ছোট বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্যই আয়োজন করা হয়েছিল। তাই ছোট বাচ্চাদের নানা ধরনের খেলনা এই মেলাতেরয়েছে এবং তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই অনেক বাচ্চারা এই মেলাতে এসেছে তাদের দৃশ্য আমি দেখতে পেলাম। তাই তাদের ফটোগ্রাফি করেছি।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মেলাতে আমি পাপড় ভাজি করা দেখতে পেলাম।পাপড় ভাজি করা গ্রাম্য মেলা দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষ এই পাপড় খেতি খুবই পছন্দ করে। আমি গরম গরম পাপড় ভাজা দেখলাম এবং পাপড়ি খেলাম। সত্যিই পাপড় ভাজা খেতে খুবই মজা লেগেছে এবং ভাজি দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছে। গরম তেলের মধ্যে ছোট্ট একটি পাপড় দেওয়া হয় তখন অনেক বড় হয়ে যায়, দৃশ্য গুলো সত্যিই অসাধারণ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মেলার ভিতরে ঢুকলাম এবং অনেক সুন্দর দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে লাগলাম। আমার অনেক বন্ধুরা ছিলো মেলাতে। তারা এই মেলার দায়িত্বে রয়েছে। মেলাতে যেন কোনো রকমের গণ্ডগোল না হয় সেজন্য তারা এই মেলার দায়িত্বে রয়েছে। আমি দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর ভাবে মেলাটি চলতেছিল এবং গরম গরম জিলাপি ভাজা দেখতে পেলাম। গরম গরম গুড়ের জিলাপী খেতে খুব মজা। তাই আমরা এই জেলাটি খাওয়ার জন্য অর্ডার দিলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এই কাম্য মেলাতে আমার সবচাইতে একটা জিনিস বেশি ভালো লেগেছে, সেটি হল পানের দোকানের দৃশ্য। এই পানের দোকানের দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ। এত সুন্দর পানের দোকানের এর আগে আমি কখনও দেখেনি। হাজার রকমের আইটেম দিয়ে একটি পানের তৈরি করা হয়। এটি খেতে খুবই মজা লাগে। সত্যিই অসাধারণ,সকলে এই পান কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছে। আর এত রকমের আইটেম দিয়ে পান বানানো যায় সেটি কল্পনার বাইরে। আমি একটি আগুন পান খেয়েছি,আমি প্রথমবারের মতো আগুন পান খেয়েছি অনেক মজা ছিলো। একটি পান ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ছিলো। সত্যিই পানের দোকানের দৃশ্য অসাধারণ ছিল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
গ্রাম্য মেলাতে এই দৃশ্যটি আগে অনেক দেখতে পাওয়া যেত। এখন আর বেশি দেখা যায় না, তবে আমাদের এই গ্রাম্য মেলার ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আমরা যখন ছোটবেলায় গ্রামে বেড়াতে যেতাম তখন এই হাতের রং করার দৃশ্য গুলো দেখতাম এবং হাতে রং করতাম দুই টাকা, পাঁচ টাকা দিয়ে। আমরা হাতে রং করে নিতাম সত্যিই এই দৃশ্যটি আমার খুবই ভাল লাগল। এক বৃদ্ধ চাচা অনেক রকমের কাঠের তৈরি ফ্রেম হাতে রং করে দিচ্ছে। সত্যি দৃশ্য খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ছোট ছেলে-মেয়েরা হাতে রং করছে।দৃশ্যটি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মেলার দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং আকাশে উড়ানো বেলুনগুলো দেখতে পেলাম, এই দৃশ্যটি আমার ভালো লেগেছে। আকাশের দিকে বেলুনগুলো উড়ছে।এই বেলুন গুলো কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছে। তাই আমি এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রাম্য মেলার আয়োজন। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রায় সবখানেই মেলা বসে, বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সবমিলিয়ে দিনটি খুবই আনন্দময় হয়ে উঠে। গ্রাম্য মেলায় অনেক ঘুরতে গেছি ছোটবেলায় কিন্তু বড় হওয়ার পর আর কখনো যাওয়া হয়না খুব মিস করি দিনগুলো। মেলার প্রতিটি খাবার খুবই লোভনীয় হয়। পানের দোকান দেখে খুবই ভালো লাগলো পান গুলো কে সারি করে সাজিয়ে রেখেছে দেখতে দারুণ লাগছে আর খেতেও মন চাচ্ছে। ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর করে গ্রাম্য মেলার দৃশ্য গুলো তুলে ধরেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
আসলে এমন মঞ্চ তৈরি করে সব জায়গায় দেখানো উচিত,এতে আমরা কিংবা আমাদের প্রজন্ম গুলো অনেক কিছু জানতে পারে।যাই হোক এমন গ্রামীন মেলা কার না ভালো লাগে।আমার যদিও মেলায় যাওয়া হয় না তবে আপনার তোলা ছবি দেখে বেশ ভালো লাগলো।অনেক দিন যাবত কাঠের ডাইস দিয়ে হাত রঙিন করা হয় না,ছোটবেলায় ২ টাকা অথবা ৫ টাকার বিনিময়ে হাতে ডিজাইন করতাম।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আসলে এমন মঞ্চ তৈরি করে সব জায়গায় দেখানো উচিত,এতে আমরা কিংবা আমাদের প্রজন্ম গুলো অনেক কিছু জানতে পারে।যাই হোক এমন গ্রামীন মেলা কার না ভালো লাগে।আমার যদিও মেলায় যাওয়া হয় না তবে আপনার তোলা ছবি দেখে বেশ ভালো লাগলো।অনেক দিন যাবত কাঠের ডাইস দিয়ে হাত রঙিন করা হয় না,ছোটবেলায় ২ টাকা অথবা ৫ টাকার বিনিময়ে হাতে ডিজাইন করতাম।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌻🌹
সকল বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে স্মরণ করে এই গ্রাম্য মেলার আয়োজন করা হয়েছিল জেনে অনেক ভালো লাগল। আমার মনে হয় মেলাতে গেলে শুধু ছোট বাচ্চাদের জিনিস বেশি দেখা যায়। পাপড় গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। আপনি আগুন পান খেয়েছেন জেনে ভালো লাগল। বেলুন গুলো আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমাদের প্রত্যেকের গ্রামে কমবেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। উনারা সুন্দরভাবে যুদ্ধের গল্প কাহিনী গুলো আমাদের মাঝে বর্ণনা করেন। শুনতে বেশ ভালো লাগে। তবে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কথা শুনে সত্যি খুবই কষ্ট লাগে। তারা সত্যিই অনেক নিষ্ঠুর ছিল। যাই হোক বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করার জন্য গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফী করে আমাদেরকে ১৬ ডিসেম্বরের যমুনা নদীর পাড়ের সুন্দর মুহূর্তগুলি তুলে ধরেছেন।আর সত্যিই পানের দোকানটি খুবই আকর্ষনীয়। আর মেলাটি ছোট বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
আসলে বিজয় আমাদের অহংকার বিজয় আমাদের গৌরব। বিজয় দিবস উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
আসলেই অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই বিজয় অর্জন ৷ তবে মহান এই বিজয় দিসব ১৬ই ডিসেম্বর প্রায় সব জায়গায় দারুণ ভাবে পালন করা হয় ৷ আমাদের এদিকে বেশ কয়েক জায়গায় মেলা বসেছিলো বিজয় দিসব উপলক্ষে ৷ আর গ্রামের মেলা গুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয় ৷ আপনি বিজয় দিবসে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিন গ্রামের মেলাতে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া