আসলে কলেজ ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্ত এবং আনন্দময় সময় আর কখনো ফিরে পাবো না। তবে স্মৃতিগুলো এখনো রয়ে গেছে। আর সেই স্মৃতিগুলো বার বার মনে করিয়ে দেয় কলেজ ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্তগুলো। অনেক দিন হলো কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়া হয় না। তাই আজকে আমার বন্ধু ফোন দিলো যে কলেজ ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ রয়েছে তার, আমাকে বলল আয় অনেকদিন পর আড্ডা দেবো কলেজ ক্যাম্পাসক্যাম্পাসে। তাই বন্ধু কথা এবং আমার ইচ্ছায় দুটো এক হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ভ্রমণে বের হলাম। আসলে কলেজ ক্যাম্পাসে আসার পরেই যেন সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ছিল কিভাবে আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে সময় কাটিয়েছি কোথায় কোথায় বসে থেকেছি সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়তে ছিল। আর ভাবতে লাগলাম সেই পুরনো স্মৃতি গুলো সেগুলো এখনও রয়েছে, কিন্তু আমাদের সেই মুহূর্তগুলো নেই। সত্যিই মুহূর্ত খুব মনে পড়ছিল খুব।আজকে অনেকদিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে এসে খুবই ভালো লাগলো। পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পরতে লাগলো এবং কলেজ ক্যাম্পাসে সেই স্মৃতিগুলো আমার বারবার মনে পড়তে ছিলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছে কলেজ ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্তগুলো মনে করে। অনেক দিন পর কলেজ ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের উপরে বসে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তাই কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।

কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই আমি আমার একাডেমীর ভবনটি দেখতে পেলাম। আসলে অনেকদিন পর একাডেমি ভবনটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। একাডেমি ভবন এর সামনে বিশাল বড় একটি পুকুর রয়েছে। আমরা এই পুকুরের পাড়ে বসে থেকে গল্প করতাম। সত্যিই একাডেমিক ভবনটি দেখতে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।

তারপরে আমি কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাশে আসলাম আসলে এই শহীদ মিনার শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে ফুল দিয়ে আমরা প্রতি বছর বরণ করতাম। সত্যিই এই মুহূর্তে অনেক আনন্দের, কারণ এখানে আমরা যখন ছিলাম তখন এই শহীদ মিনারের পাশে বসে আমরা অনেক আনন্দময় সময় পার করেছি। বিশেষ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে আমরা ফুল দিয়ে বরণ করেছি, সত্যিই এই মুহূর্তে মনে পড়ছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ এই কলেজের ক্যাম্পাসটি অনেক বড়। এখানে অনেক গাছ রয়েছে। আমরা এই গাছের পাশে বসে থাকতাম। বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও আমরা সবুজ ঘাসের উপরে বসে থাকতাম। আসলে বন্ধুদের সাথে নিয়ে সবুজ ঘাসের উপর বসে আড্ডা দিতে খুবই ভালো লাগে।

কলেজ ক্যাম্পাসে ফুচকা-চটপটি, ঝালমুড়ি দোকান রয়েছে। এখানে আমরা বসে থেকে এই ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি খেতাম এবং এই ফুচকা চটপটির বিক্রেতা মামাদের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। আসলে সেই মুহূর্তগুলো খুব মনে পরলো।

কলেজ ক্যাম্পাসে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রেনিং দেওয়া হতো। আসলে একটা বিএনসিসির গ্রুপ রয়েছে। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই বিএনসিসি সদস্য আমিও ছিলাম। আসলে এখানে ট্রেনিং দিতে খুবই ভাল লাগত। আসলে মানুষের সেবা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। খুবই ভাল লেগেছিল আজকে মুহূর্তটা দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।

সবচেয়ে আনন্দময় সময় ছিল কলেজ ক্যাম্পাসের খেলার মাঠটি। আসলেই কলেজ ক্যাম্পাসে বিশাল বড় একটি মাঠ রয়েছে। যেখানে আমরা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতাম। আসলে আমি ফুটবল খেলতে খুবই ভালোবাসি এবং ক্রিকেট আমার খুবই পছন্দের খেলা। আমরা এই ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতাম অনেক সময় ক্লাস মিস দিয়ে খেলাধুলা করতাম।

আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রাণিবিদ্যার গবেষণার জন্য বিশাল বড় একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরে অনেক রকমের মাছ চাষ করা হয়। আজকে আমি দেখতে পেলাম এলাকার ছেলে-পেলে পুকুরে গোসল করছে আসলে। পুকুরের পানি পরিষ্কার ছিল। এই গোসল করার দৃশ্য দেখতে পেয়ে গ্রামীন পরিবেশের কথা মনে পড়ে গেল। আর আমারও খুব ইচ্ছা করলো, তাদের সাথে গোসল দিতে। সত্যি মুহূর্তটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।