বিকেল বেলা নদীর পাড়ে কিছু মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজকে ছিল শুক্রবার আর শুক্রবার ছুটি দিন হওয়াতে বিকেল বেলা আমি নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখার জন্য গিয়েছিলাম নদীর পাড়ে গিয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আজকে শীত অনেক কম ছিল, যার কারণে নদীর পাড়ে এসে আরো বেশি ভালো লেগেছে। নদীর পারে এই মুহূর্তগুলো আমি খুবই ভালোভাবে উপভোগ করেছি। শীতের আবহাওয়া যেন দিন দিন অনেক কমে যাচ্ছে। আসলে কিছুদিন আগে সিরাজগঞ্জের শীতের পরিমাণ খুবই বেশি ছিল। নদীর পারে বাতাসে যেন আশায় যাচ্ছিল না। আজকে সেই তুলনায় অনেক কম ছিল। যার কারণে প্রকৃতির দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে।বিকেলবেলা এই নদীর পারে হাজার মানুষের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। আর এই সকল মানুষের সাথে নদীর পাড়ের মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তাই নদীর পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। আশা করছি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নদীর পাড়ে এসে আমার খুবই ভালো লাগলো। দেখতে পেলাম একটি ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে। মাছ ধরার দৃশ্য দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার, আর এই দৃশ্যটি দেখার জন্য আমি ট্রলারের উপরে উঠেছিলাম। উপর থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করলাম। আর পাশেই ছিল অনেকগুলো ট্রলার ও ছোট জাহাজ যা দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নদীর পাড়ে এই প্রকৃতি গুলো যেন একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। আসলে এরকম পরিবেশের মধ্যে আসলেই মন অনেক ভালো হয়ে যায়। যখনই নদীর পাড়ে গেটের আমি প্রবেশ করলামম তখন এই নদীর পাড়ের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। হাজার হাজার মানুষ আজকে ছুটির দিনে নদীর দৃশ্যগুলো দেখার জন্য এসেছে।নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করছে, সেই দৃশ্যগুলো আমার চোখে পড়ল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বিকেল হাওয়াতেই নদীর পারে অনেক ছোট ছোট দোকান বসতে লাগলো। আসলে নদীর পাড়ে অনেক মানুষ এই নদীর দৃশ্য দেখার জন্য আসে মযার কারণে এখানে আসলেই একটা মেলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শুক্রবার আসলেই যেন এখানে হাজার মানুষের আনাগোনা। যার কারণে এই মেলার মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায় নদীর পাড় দিয়ে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নদীর পাড় দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে বসে থাকার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। এই বাঁধের পাশে আমরা মোটরসাইকেলটি রেখে নদী নিচে নামতে লাগলাম। নদীর নিচে গিয়ে দেখতে পেলাম এখানে অনেক ট্রলার ও জাহাজ রয়েছে। যার কারণে এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করার জন্য নদীর পাড়ের দিকে আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নদীর পাড়ে অনেক সারি বেঁধে নৌকা ছিল। এই নৌকা গুলোর দৃশ্য দেখলাম। আসলে এই নদীর পারে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে করতে সন্ধ্যা নেমে আসলো। যার কারণে আমরা নদীর পাড় থেকে উঠে উপরে চলে আসলাম এবং উপরে চলে এসে দেখতে পেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বইয়ের ভাস্কর্য রয়েছে। সেই ভাস্কর্যটির ফটোগ্রাগি করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ভ্রমন করতে করতে সন্ধ্যা নেমে আসলো। আর সন্ধ্যার সময় নদীর পাড়ে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম। কারণ এখানে অনেক সুন্দরভাবে লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছে। একটি দোকানে আমরা আসলাম। সেই চায়ের দোকানের চারপাশে লাইটিং দৃশ্যগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তারপর আমরা এই দোকান থেকে চা খেলাম। আসলে মাটির কাপে চা অনেক মজাদার ছিলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
বিকেলবেলা নদীর তীরে ভ্রমণ করতে গেলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আজ পর্যন্ত নদী এলাকাতে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়নি কারণ আমাদের এলাকাতে নদী নেই। কিন্তু নদী না থাকলেও নৌকা ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
হালকা শীতের বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি আসলেই আনন্দদায়ক। প্রকৃতিও অপরুপ সাজে সজ্জিত হয় দেখে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বিকেল বেলায় নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ছবি গুলোতে প্রকৃতির সৌন্দর্য দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। সারি বেঁধে নৌকার ছবিটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে। পোস্টটি শেয়ার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1753469231969325096?t=VLdXE9Nh9cCWr1ysKjOR4A&s=19
আপনি তো নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এটি ঠিক এখন আগের তুলনায় ঠান্ডা অনেক কমে গেছে। আর নদীর পাশে আবহাওয়া গুলো এমনিতে বেশ চমৎকার হয়। তবে নদীর পাড়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ভালোই সময় কাটিয়েছেন নদীর ধারে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন একটু ঠান্ডা কমেছে এই কারণে কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। তবে আমাদের বাড়ির পাশে ও ছোট ফেনী নদী আছে। নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আর বিকেল বেলা নদীর ধারে এমনিতে মানুষ ঘুরাঘুরি বেশি করে। সেই তুলনা সকালবেলা নদীর ধারে মানুষ কম থাকে। যাইহোক অনেক সুন্দর করে ঘুরতে যাওয়া মুহূর্তে এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।