💞 মমতার বন্ধনে স্কুলের ম্যাডাম হয়ে গেলো মা👩👧পর্ব-২🌹||🫣[১০% @shy-fox ]🌹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
মমতার বন্ধনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রহিমা ম্যাডাম যখন আমার মা হয়ে যায়। সেই গল্পের আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ স্কুল জীবনে আমাদের অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। আর সেই স্মৃতিময় দিনের গল্প গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে জানো ভালো লাগে। কারণ আমার বাংলা ব্লগ একটি পরিবার আর এই পরিবারের সকলের সাথে পুরনো দিনের সেই স্মৃতি গল্প গুলো শেয়ার করতে পেরে জানো মনের মধ্যে অনেক শান্তি লাগে। তাই আজকে আমি রহিমা ম্যাডামের স্মৃতিময় সেই গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি, তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক,,,।
তোর জন্মদিনে প্রথম আমি যেদিন রহিমের ম্যাডামকে মা বলে ডেকে ছিলাম। সেদিন রহিমা ম্যাডাম খুবই খুশি হয়েছিল। সে আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করে দিল এবং সেই কান্নাটি ছিল হাসির কান্না।মা ডাক যে কত মধুর এবং মায়াবী রয়েছে সেটা একজন মেয়েই বুঝে, আর মা হওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেকটা মেয়ের রয়েছে। আর মা ডাকটি শুনতে যেন খুবই ভালো লাগে, রহিমা ম্যাডামের মুখে আমি সেদিন অনেক হাসি দেখেছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল এবং ম্যাডামের স্বামী ও আমাকে জড়িয়ে ধরল এবং আমাকে বাবা বাবা বলল ডাকলো।ওই দিন তাদের মুখে অনেক আনন্দ ছিল সকলের সাথে কেক কাটা হল এবং আনন্দময় পরিবেশ মধ্যে জন্মদিন পালন করা হলো, অনেক রাত হয়ে গেলো আমাকে সেদিন ওই রাতে ম্যাডামের বাসাতেই থাকতে বলল , কিন্তু বেশি রাত হওয়ার কারণে দেখি বাবা আমাকে নিতে এসেছে। ম্যাডাম বললো আজকে এখানেই থাক, আমি কালকে নিয়ে যাবনি তো বাবা বলল যে না ওর মা অনেক টেনশন করছে, তাহলে আজকে নিয়ে যাই।কালকে আপনি স্কুলে যাওয়ার সময় একটু আগে গিয়ে আমার বাড়ি থেকে ওকে নিয়ে আসেন। ম্যাডাম বলল ঠিক আছে। ওরা দিন অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। তো রাতে খাবার খেয়ে রহিমা ম্যাডাম আমাকে খাবার তুলে খাইয়ে দিল। আমার জন্য নতুন শার্ট প্যান্ট কিনেছিল সেগুলো পরে দিলো। সত্যি আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। ম্যাডাম এর মুখে আনন্দময় মুহূর্ত দেখতে পেতো সবাই খুবি খুশি হলো। রাতে খাবার খেয়ে আমি বাবার সাথে আমার বাড়িতে চলে আসলাম।
রাতে বাড়ি এসে আমার মায়ের কাছে শুয়ে ম্যাডামের বাড়িতে কাটানো সেই গল্পগুলো করতে লাগলাম। মা অনেক খুশি হল। বলল ম্যাডামের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করবা।তাকে জানো কখনো কষ্ট দাও না। তার সন্তান নেই যার কারণে তোমাকে সন্তান বানিয়েছে তুমি তাকে সম্মান করবা। মার কথা শুনে ভালোই লাগলো। বললাম ঠিক আছে এরপরে মার সাথে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে যখন স্কুলে যাব, আমি খাওয়া দাওয়া করে বসে ছিলাম, এমন সময় দেখি রহিমা ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে এসেছে। ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে এসেছে এবং আমার মার জন্য শাড়ি নিয়ে এসেছে। মাকে শাড়ি দিলো মা ম্যাডাম গল্প করতে লাগলো।রহিমা ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে সকালে খাবার খেয়ে আমাকে সাথে নিয়ে স্কুলের দিয়ে রওনা দিলো।স্কুলের সকল স্যার ম্যাডামরা জানতে পারল যে রহিমা ম্যাডাম আমাকে তার সন্তান বানিয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে সবাই খুশি হলো।
তারপরে রহিমের ম্যাডামকে আমি মা বলে ডাকতাম। রহিমা ম্যাডাম খুবই খুশি হলো,আমাকে পড়াশোনা করতো এবং আমাদের বাড়িতে এসেও আমাকে প্রাইভেট পড়া তো, মাঝেমধ্যে আমাকে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে যেত এবং আমি মাঝেমধ্যে তারপরে থেকে তাদের বাড়িতে থাকতাম। রহিমা ম্যাডাম এবং তার স্বামীর মাঝখানে শুয়ে থাকতাম। সত্যি তাদের আমি পুরো সন্তান হয়ে গেছি এবং তাদের সাথে আমি খুবই ভালো ব্যবহার করতাম। তারা কোথাও গেলে আমাকে সাথে নিয়ে যেত এবং রহিমা ম্যাডাম তখন আমাকে নিজের সন্তানের মতোই পালন করত। খুবই ভাল লাগত আমাদের বাড়িতে আসত স্কুল ছুটি হলে রহিমা ম্যাডাম আমাদের বাড়িতেই থাকতো।আমাদের পরিবারের মধ্যে যেন একটা আত্মার বন্ধন তৈরী হলো। আমিও তাদেরকে মা বাবা হিসেবে মেনে নিলাম। তাদের সাথে থাকতে খুবই ভালো লাগলো। আমাকে খুবই বেশি ভালোবাসতো এবং আমার জন্য অনেক কেনাকাটা করতো।এভাবে মাস পার হতে লাগল, তাদের মুখে হাসি ফুটলো। তাদের একজন সন্তান হয়েছে এবং আমারও ভালো লাগলো কারণ আমার আরো দুজন মা-বাবা হলো। তাদের সাথে আমি একদম মিশে গেলাম সন্তানের মতোই। আমার সামনে পিএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তো আমি ফাইভে ফাইনাল পরীক্ষা দেব এ সময়।ম্যাডাম আমাকে খুব ভালোভাবে গাইডলাইন করতে লাগল। আমার পড়াশোনা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। যে আমাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে এবং বৃত্তি পেতে হবে এজন্য সে খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করতে লাগলো আমারকে।
আমার পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দেখে আমার মা বাবা খুব খুশী হলো। আসার বাবা বলল রহিমা ম্যাডামকে আপনি আমাদের বাড়িতে এসে ওকে পড়াবেন,আর মাঝেমধ্যে ওকে আপনি আপনার বাসায় নিয়ে গিয়ে পড়াবেন, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা একদম নিশ্চিত যে ওর মা-বাবা ও আপনারা।তখন রহিমা ম্যাডাম বলল রায়হান আমার সন্তান। আমি আমার সন্তানকে ভালবাসি এবং আমি চাই খুব ভালো পড়াশোনা করে কোন একটা কিছু করুক। যাইহোক রহিমা ম্যাডাম আমার পড়াশোনার বিষয়ে খুব সিরিয়াস হল এবং আমাকে সবসময় ভালো গাইড লাইন করতে লাগল। এভাবে পরীক্ষা একমাস আগের থেকে খুব ভালোভাবে পড়তে লাগলাম।আমার পিএসসি পরীক্ষার আর দুদিন রয়েছে। তাই এই দুদিন আগে দেখি রহিমা ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে চলে আসলো। আমার মাকে বলল আপা আজকে থেকে এই দুদিন আমি আপনাদের বাড়িতে থাকব এবং রায়হানকে ভালোভাবে পড়াবো, যেন ভালো একটা রেজাল্ট করে। মাও খুব খুশি হল, বলল সমস্যা নেই।আমার মা, রহিমের ম্যাডামকে নিজের বোনের মত দেখতে লাগল। সত্যি মা এবং রহিমের ম্যাডামের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল খুবই শক্ত এবং খুবই ভালো সম্পর্ক। আপন বোনের মতো তারা থাকত।
গল্পটি চলমান
মমতার বন্ধনে স্কুলের ম্যাডাম হয়ে গেলো মা হওয়ার প্রথম গল্পটি আমি পড়তে পারিনি। কিন্তু দ্বিতীয় গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলেই স্কুল জীবনে না পাওয়া না সহজ জিনিসগুলো আমাদের জীবনে খুব সহজে চলে আসে। তেমনি জন্মদিনে সামান্য মা ডাকে আপনি একজন মাকে পেয়েছিলেন। সুন্দর একটি মা পাওয়ার পাশাপাশি লেখাপড়ার প্রতি গাইডলাইন ও আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছিল এই কথাগুলো পড়ে আরো অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে রহিমা ম্যাডামের মতো প্রায় সকল নারী মা ডাক শুনলে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে।মমতার বন্ধনে স্কুলের ম্যাডাম হয়ে গেলো মা।গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে জানলাম।রহিমা ম্যাডামের কোন সন্তান না থাকার কারণে আপনাকে সন্তান বানিয়েছে। মা সন্তানের এই সম্পর্ক চির অটুট থাকুক শুভকামনা।♥♥
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।