কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখার অনুভূতি এবং কিছু ফটোগ্রাফি// পর্ব -১//সুগন্ধা পয়েন্ট//
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বিশ্বের সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যেটা বাংলাদেশে অবস্থিত আর এই সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে। সত্যিই কক্সবাজারে যাওয়ার অনুভূতিটা আমার অসাধারণ ছিল। আমি অনেকদিন হলো ভাবছিলাম কক্সবাজার যাবো, কিন্তু যাওয়া হচ্ছিল না। সমুদ্র সৈকতে গেলে মন খুবই ভালো হয়ে যায়। সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে দেয়। কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি আমাদের সিরাজগঞ্জ শহর থেকে এস.আই বাসে করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রওনা দিয়েছি এবং পরের দিন সকাল সাড়েআট টার দিকে আমি কক্সবাজারে ডলফিন মোড়ে পৌঁছেছি। দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা জার্নির পর, যখন কক্সবাজার আসলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো, আর কক্সবাজারে আমার বড় ভাই রয়েছে। যার কারণে আমার কোন সমস্যা হয়নি। আমার বড় ভাই টুরিস্ট এর ব্যবসা করে। যার কারণে ভাই খুবই সুন্দর একটি হোটেল আমাদের জন্য রেডি করে রেখেছিল। আর এই হোটেলটি নাম ছিল গোল্ডেন হিল।এই হোটেলটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, এই হোটেলের পরিবেশ খুব সুন্দর ছিল। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে কক্সবাজারে কাটানোর ফটোগ্রাফি এবং কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে এসেছি আপনাদের সাথে তো চলুন শুরু করা যাক,,,।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখার অনুভূতি এবং কিছু ফটোগ্রাফি📸👇
আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সুগন্ধা পয়েন্ট এর পাশেই হোটেল নিয়েছি। এই গোল্ডেন হিল হোটেল সুগন্ধা পয়েন্ট এর পাশে অবস্থিত। হোটেল থেকে সুগন্ধা বিচে যেতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লাগে তাও আবার হেঁটে যেতে। সত্যিই এত কাছে থেকে সমুদ্র সৈকত অনুভূতিটা দেখা অন্য রকম ছিল। খুবই ভাল লেগেছিল এই হোটেলটিতে যখন আসলাম। তখন খুবই ভাল লাগল হোটেল এর পরিবেশ দেখে।তো দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা জার্নির পরে হোটেলে ঢুকে গোসল দিয়ে, আগে একটা ঘুম দিলাম। যে বিকেল বেলা সূর্য অস্ত দেখতে যেতে পারি।তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
অবস্থান
ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল ৪:২০ বাজে, তো ভাইয়া বলল এখন সমুদ্রের পাড়ে গেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পাবে। আর এই দৃশ্যটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে, তো ভাইয়ের সাথে হেঁটে হেঁটে সমুদ্রের পাড়ে দিকে যাচ্ছিলাম। আমরা সুগন্ধা পয়েন্ট এর দিকে যাচ্ছিলাম। রাস্তাটি খুবই সুন্দর ছিল, সেখানে একটা ফটোগ্রাফি করলাম এবং এর পাশেই একটি পানির টাংকি তৈরি করা হচ্ছে। এটি এখন পর্যটকদের পানির অভাব দূর করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।দেখে ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে আবারও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসলাম এবং সুগন্ধা পয়েন্টে এসে কক্সবাজারের এই সুন্দর প্রকৃতির পরিবেশ দেখতে ভালো লাগলো। বালুর মধ্যে দিয়ে হাঁটতে ছিলাম সত্যি দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে আবার কক্সবাজারের মাটিতে পা রাখতে পেরে যেন অন্য রকম একটা অনুভূতি হচ্ছিল। অনেকেই বিকেলবেলা এসেছে। হাজার হাজার মানুষের সাথে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য সমুদ্রের পাড়ে এসেছি। শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে খুবই ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
বিকেলবেলা সমুদ্রের পানি অনেক নেমে গেছে। জোয়ার ভাটার কারণ,আর এই সৌন্দর্য দৃশ্য দেখার জন্য অনেক মানুষ এসেছে।সত্যি হাজার হাজার মানুষের সাথে সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এত ভালো লাগতেছিল যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
সন্ধ্যা নেমে আসলো, সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে, এর মধ্যে ভেজা বালুর এই সৌন্দর্য দৃশ্য খুবই ভালো লাগলো। এই সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করলাম। সত্যি হাজার হাজার মানুষের মাঝে সমুদ্রের এই সুন্দর প্রকৃতি আমার খুবই ভালো লেগেছে। বড় ভাইয়ের সাথে সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম এবং বড় ভাই বললো আর কিছুক্ষণ পরেই সূর্য অস্ত যাবে, আর এই সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
আসলে বিকেলবেলায় সমুদ্রের পাড়ে অনেক ঝিনুক পাওয়া যায়। ঝিনুক কুড়াতে খুবই ভালো লাগে। সূর্যের লাল রশ্মির প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখতে লাগলাম। আর ভেঁজা বালুর মধ্যে দিয়ে ঝিনুক কুড়ানো দৃশ্য দেখতে পেলাম। অনেকেই দেখতে পেলাম ঝিনুক কুড়াছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
সন্ধ্যা নেমে আসলো, সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে। এই সমুদ্রের সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মাঝে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করতেছিলাম। সত্যি সূর্য যেন সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাচ্ছে, এই সুন্দর দৃশ্যটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখার অনুভূতি এবং কিছু ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত দেখার অনুভূতিটা বেশ ভালো লাগলো। আপনার বড় ভাই থাকার কারণে আপনার কোন সমস্যা হয় নাই, জেনে অনেক ভালো লাগল। ঝিনুক কুড়ানো ,সূর্যের লাল রশ্মির প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখতেই সত্যিই ভালো লাগে। সমুদ্রের সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মাঝে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া যেহেতু আপনার বড় ভাই ট্যুরিস্ট ব্যবসা করে সেহুতু নিশ্চয়ই আপনার যাতায়াত এবং সেখানে থাকা খাওয়া ঘোরাঘুরি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি। একেবারেই নিশ্চিন্ত। যাইহোক সেখানে গিয়ে খুব ইনজয় করেছেন । ঠিক বলেছেন সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি বেশ সুন্দর হয়।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মজা একমাত্র যারা সেখানে গিয়েছে তারাই বুঝতে পারবে। বিশেষ করে প্রতি শীতের সৃজনে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি এবং এক এক করে একটানা ছয় বছর আমি কক্সবাজার গিয়েছি। তবে এই বছরও যাব আর সেটি হচ্ছে ফেব্রুয়ারির দিকে। আশা করি আমাদের সাথে আপনিও জয়েন হবেন। যাই হোক অনেক চমৎকার ছিল আপনার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
আমার জানা মতে সুগন্ধা পয়েন্ট অনেক বেশি জমজমাট। যদিও লাবনী পয়েন্ট আগে জমজমাট ছিল। তবে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোন কারনে। আমরা গতবার গিয়েছিলাম সুগন্ধা পয়েন্টে, আমরাও অনেক মজা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাই আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেক আনন্দের সাথে ঘোরাফেরা করে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার ভীষণ শখ আমি কক্সবাজারে বেড়াতে যাব। কিছুদিন আগে আমার মামা বেড়াতে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে বলেছিল গোল্ডেন হোটেলে তারা একদিন রাত কাটিয়েছিল। আপনিও তো দেখছি ভাই একই হোটেলে রাত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোঝা গেল। বড় ভাই থাকলে আর কি চিন্তা। আপনার বেড়ানো আর ফটোগ্রাফি সবকিছু মিলিয়ে ভাল লাগলো। সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য সত্যি ই অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদের ওইখান থেকে ১৪ ঘন্টা লেগেছে বেশ লং জার্নি। কিন্তু আপনার ভাইয়া টুরিস্টের ব্যবসা করে আর ওখানে আছে এই জন্য আপনাদের অসুবিধা হয়নি। আসলে এরকম জায়গায় পরিচিত কেউ থাকলেই সুবিধা হয় বেশি। আমার কাছেও জায়গাটা ভীষণ ভালো লাগে। আমি দুইবার গিয়েছি কক্সবাজারে। সূর্যাস্তের মুহূর্ত গুলো ভীষণ সুন্দর লেগেছে। কক্সবাজারে সূর্যাস্তের মুহূর্ত টাই উপভোগ করতে বেশি ভালো লাগে। দ্বিতীয় পর্বে কি দেখাবেন তার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কক্সবাজার দেখলেই মনে হয় দীঘার সমুদ্র সৈকতে চলে এসেছি। ফটোগ্রাফি ভালো হয়েছে। তবে এতো লোকজনের হট্টগোলে কি অর্নব-সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পেরেছিলেন? ঘুরতে গেলে একটু নিরিবিলি ই ভালো লাগে। যতবেশী লোক ততবেশী শান্তি ভঙ্গতা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।