বন্ধুত্বের বন্ধন // পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুত্বের বন্ধন কখনোই ভোলা যায় না। আর প্রিয় বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতিগুলো যেন সবসময় আমাদের মনে করিয়ে দেয়। আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধুত্বের বন্ধন গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে, এই প্রিয় বন্ধুদের সাথে যদি হঠাৎ করে দেখা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন সেই পুরনো দিনে ফিরে যায়। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে, আর এই বন্ধুত্বের বন্ধনটি ছিল অনেক শক্তিশালী।
স্কুল জীবনে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতির পাতা থেকে আজকে গল্পটি শেয়ার করছি। আসলে স্কুল জীবনে আমি আমার বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ মুহূর্ত উপভোগ করতেছিলাম। সেই দিনগুলো অনেক আনন্দময় ছিল যখন ক্লাস নাইনে উঠলাম। তখন নতুন একজন স্টুডেন্ট ভর্তি হল আর তার নাম ছিল রফিক। আর রফিক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করত। তার বাবা ছিল একজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা। যার কারণে যখন ট্রান্সফার হয়ে আমাদের সিরাজগঞ্জে আসে। আমাদের স্কুলে ভর্তি করে হয়।আর রফিকের দেখতে অনেকটাই স্মার্ট ছিল।
রফিক স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সবার সাথে মেশার চেষ্টা করত এবং সবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করত। কিন্তু সবাই ওভাবে কথা বলতো না, কারণ নতুন একজন স্টুডেন্ট এসেছে যার কারণে সবার মধ্যে একটা হিংসা ছিল। কিন্তু আমি রফিকের পাশে বসলাম এবং রফিকের সাথে কথা বললাম। রফিকের সাথে কথা বলে খুবই ভালো লাগলো, কারণ সে এত সুন্দর ভাবে কথা বলে আর আন্তরিকতা ছিল অনেক বেশি। যার কারণে অল্প দিনের মধ্যে আমার রফিকের সাথে ভালো একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে যায়। আর রফিক খুবই ভালো স্টুডেন্ট ছিল। যার কারণে ওর কাছ থেকে আমি পড়াশোনা বিষয়ে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আর এই বন্ধুত্বের বন্ধন যেন আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এভাবে যেন আস্তে আস্তে রফিকের সাথে আমার খুবই ভালো একটা সম্পর্ক হল। যার কারণে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধনটা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং আমরা পাঁচজন মিলে খুবই ভালো একটা বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম। আর এই বন্ধুরা মিলে মিসে থাকতাম। যখন আমরা ক্লাস নাইন থেকে টেন উঠলাম, তখন দেখতে পেলাম রফিকের রোল ৩ হয়েছে এবং আমার হয়েছে চার আর আমার বন্ধুর সাজু এবং সুজনের হয়েছিল ১, ২। যার কারণে আমরা এই পাঁচ বন্ধু সবসময় একই জায়গায় থাকতাম এবং পড়াশোনা যেন আমাদের কেউ পিছে ফেলাতে পারতো না। সেদিকে আমরা প্রতিযোগিতা দিয়ে পড়াশোনা করেছি।
রফিক খুবই ভালো পড়াশোনা করত। আসলে ও ঢাকাতে পড়াশোনা করেছে, যার কারণে পড়াশোনার প্রতি অনেক আগ্রহ, কিন্তু ও খেলাধুলা তেমন করতো না। কারণ ঢাকা শহরে যেসব শিশুরাও পড়াশুনা ব্যস্ত হয়ে যায় তাদের খেলাধুলার সময় থাকে না। যার কারণে রফিকের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। রফিক পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলো, খেলাধুলা করত না যার কারণে আমরা যখন খেলাধুলা করতাম তখন ও মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের খেলাধুলা দেখতো। আর অল্প অল্প খেলতে বললেও সে খেলতে চেতনার, কারণ ওর খেলার প্রতি যেন কোন আগ্রহ হতো না,তারপরে আমরা একসাথে ওকে নিয়ে খেলাধুলা করার চেষ্টা করতাম।
🙏🤲🙏
https://twitter.com/rayhan111s/status/1685499672859938817?t=UC8llGjQrohoNdToAeEupQ&s=19
টুইটারে ট্যাগ ব্যবহার ঠিক আছে ভাই, টুইট করার শুরুতেই যদি পোস্ট সংক্রান্ত কিছু কথা লিখতেন তাহলে আরও ভালো হতো ভাই। 🙏
অবশেষে আপনারা পাঁচ বন্ধু একই কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলেন কিনা অবশ্যই জানাবেন ভাইয়া। আসলে স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থাকে। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার গল্পটি পড়ে আমার কিন্ত সেই স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। স্কুল জীবনের মত বন্ধু জীবনে আর হয় না। আর স্কুল জীবনের বন্ধুত্বের মত বন্ধুত্ব হয়ও না। যেমন ছিলেন আপনারা পাঁচ বন্ধু। কিন্তু গল্পের মধ্যে তো আকর্ষণ রেখে দিলেন। অবশেষে কি আপনারা পাচঁজন এক কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলেন?
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বন্ধুত্বের বন্ধনের গল্প পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো । আমরাও এরকম অনেকগুলো বন্ধু ছিলাম যারা সব সময় একসাথে বসতাম। যেখানে যেতাম একসাথে যেতাম স্কুল লাইফের এই সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সত্যিই অনেক মধুর। অনেক ভালো লেগেছে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। রফিক ও আপনাদের পাঁচ বন্ধুর ব্যাপারে আরো জানতে ইচ্ছে। আশা করছি পরবর্তীতে আপনারা পাঁচজন একসাথে পড়েছিলেন কলেজে। খুব দ্রুত পরবর্তী পর্ব দেখতে চাই।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ