সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজ মহান ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতি এই দিনটি খুবই আনন্দের সাথে উদযাপন করে। আসলে স্বাধীনতা আমাদের বড় একটি পাওয়া। যে জাতি স্বাধীন নয় সে জাতি বোঝে স্বাধীনতা কতটা মর্যাদা। আসলে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মজাটাই অন্যরকম। স্বাধীনভাবে আমরা হাসিখুশি ভাবে জীবন পরিচালনা করতে পারি, কিন্তু পরাধীন ভাবে বেঁচে থাকা যেন অপরাধীর মত বেঁচে থাকতে হয়। আর অপরাধী ব্যক্তি কখনোই তার স্বাধীনভাবে জীবন পরিচালনা মজাটা বুঝতে পারে না।তাই স্বাধীনতা একটি মূল্যবান আর স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা জাতি তার স্বাধীনতা এনেছে খুবই কষ্ট করে আর আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে একবুক রক্তের বিনিময়ে। স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি এবং মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি। সত্যি স্বাধীনতা আমাদের একটি সম্পদ। আর এই স্বাধীনতাকে আমাদের গুরুত্ব তার সাথে ধরে রাখতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষা করা খুবই কঠিন। স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন তার চাইতে রক্ষা করা আরো বেশী কঠিন। তাই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমার স্বাধীনতা সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
বাঙালি জাতি অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে অসহায় এবং মূল্যহীন হয়ে থাকত। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের অর্থাৎ আমাদের কোন সম্মানী করত না এবং আমাদের অধিকার আমাদের দিত না। তার প্রতিটা ক্ষেত্রে বৈষম্যতা করতো।তারা নিজেরা সব সময় এগিয়ে যেত এবং বাঙালি জাতিকে পিসি রাখার জন্য এবং বাঙালি জাতির থেকে অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করত। আর বাঙালির জাতির সকল বিষয় নির্মমভাবে সহ্য করে যেত। আসলে বাঙ্গালী জাতি ছিল নিরীহ। তাই তারা সকল কষ্ট সহ্য করেছে, কিন্তু যখনই তারা মায়ের মাতৃভাষাকে নিয়ে কথা বলে তখন আর বাঙালি জাতি চুপ করে থাকেনি।সেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা সূত্রপাত ঘঠে।
পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে সবসময় নির্যাতন করত। আর এই নির্যাতনটাই ইতিহাসকে নাড়া দিয়ে দেয়। তারা ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে ঘুমন্ত বাঙালির উপরে নির্মমভাবে হত্যা চালাতে শুরু করে। এটি অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত। সত্যি সেদিন বাঙালিরা ঘুমিয়েছিল ঘুমন্ত বাঙালির উপর নির্মম ভাবে হত্যা। বাঙালিরা বুঝতেই পারিনি কি হচ্ছে তাদের সাথে। তারা ঘুমিয়ে ছিল আর এই ঘুমন্ত বাঙালির উপরে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে রক্তে ভেসে দেয় বাংলার রাজপথে।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ ই মার্চ ভাষণে বাঙ্গালীদের উদ্দেশ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণটি ছিল স্বাধীনতার মূল সূত্র। এই ভাষণের কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার রূপ নেয়। তারা স্বাধীন হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।বুকের রক্তে দিতে তারা দ্বিধাবোধ করে নিয়ে। আসলে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের স্বাধীনতার মূল অস্ত্র ছিলো বাঙ্গালিদের জন্য, এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিরা নতুন ভাবে গড়ে ওঠে এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতার শপথ গ্রহণ করে।৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মূল কথা ছিল এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এই ভাষণটি দেওয়ার পর বাঙালি জাতির রক্ত যেনো আর ধরে রাখতে কেউ পারেনি। তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং স্বাধীনতা একমাত্র তাদের লক্ষ্য এটা তারা তখনই বুঝে ছিল এবং তারা নিজের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য তৈরি হতে থাকে।
২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন অপারেশন সার্চলাইট অর্থাৎ নির্মমভাবে ঘুমন্ত বাঙালিকে হত্যা করতে থাকে। এই ২৫ মে মার্চ রাতের শেষ প্রহরে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ রাতের প্রথম পহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর এই স্বাধীনতার ঘোষণাটি বাঙালি জাতিরা স্বাধীনতার অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ২৬ শে মার্চ প্রথম পহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বাধীনতার মূল অস্ত্র হিসাবে নিয়ে বাঙালির বীরসন্তানেরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যার কারণে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, পেয়েছি একটি লাল সবুজের পতাকা।
আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আসলে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে খুব মূল্যবান হৃদয় ছোঁয়া কিছু কথা তুলে ধরেছেন যেটি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযোদ্ধার সময় দেশকে রক্ষা করার জন্য শহীদ হয়ে যাওয়া প্রত্যেকজনকে।।
শহীদদের আত্মত্যাগ এবং জীবনের বিনিময়ে আমরা আজ এই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র পেয়েছি তাদের প্রতি আমরা যতই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এ যেন শেষ হবার নয়।।
স্বাধীনতা দিবসের কেন্দ্র করে আপনি অনেক সুন্দর একটি আলোচনা পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
সত্যি ভাইয়া স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি। স্বাধীনতা অনেক কষ্টে আমরা অর্জন করেছি। লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা কে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আপনি স্বাধীনতা দিবসে অনেক সুন্দর ভাবে নিজের মনের কথাগুলো তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২৬ শে মার্চ বাঙালি জীবনের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে কিভাবে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি এই পোস্ট তারই বহিঃপ্রকাশ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকেও মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল ভাই। এই স্বাধীনতা অনেক সাধনার অনেক কষ্টের অনেক রক্তের জন্য হয়েছে। আমরা কখনোই স্বাধীনতা কে ভোলার মতো নয়। আপনার পুরো পোস্টটায়, আপনার উপলব্ধি ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ