বন্ধুদের সাথে ইকোপার্কে ভ্রমন করতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আসলেই স্কুল জীবনের স্মৃতিময় গল্পগুলো এখন খুবই মনে পড়ে। আর জীবনের সবচাইতে আনন্দময় মুহূর্ত ছিল স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের একটি গল্প নিয়ে এসেছি। আর এই গল্পটি হল আমরা চার বন্ধু মিলে সিরাজগঞ্জে ইকোপার্কে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম। ইকোপার্কে ভ্রমনের সেই দিনটি অনেক আনন্দের ছিলো। সেই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ছে, তাই স্মৃতিময় গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। আর এই নাইনের বছরটা ও অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছিম বন্ধুরা মিলে কোথাও গেলে একসাথে দলবদ্ধ ভাবে যেতাম। আর আমাদের একটি দল ছিল বিশেষ করে আমরা চার বন্ধু সবসময় একই জায়গায় থাকতাম এবং আমাদের সাথে আরো বন্ধুরা থাকতো। তবে আমরা চার বন্ধু ছিলাম একদম কাছের। এক জায়গায় ঘুরতে যেতাম এবং টিফিনে খাবার খেতে। সেি দিনগুলো খুব মনে পড়ছে। তো আমার বন্ধু হাসান বললো ইকোপার্কে ভ্রমন করতে যাব। আমরা চার বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে ইকো পার্কে ঘুরতে যাব। আমি এর আগে ইকোপার্কে ঘুরতে যায়নি।তাই আমার ইচ্ছাটা বেশি ছিলো। তো আমি বললাম আমরা বৃহস্পতিবারে ইকোপার্কে যাবো।তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা ইকোপার্কে ভ্রমন করতে যাব বৃহস্পতিবারে হাফ স্কুল করে।
তাই বৃহস্পতিবারেই স্কুল শেষের পরে আমরা চার বন্ধু মিলে মাঠের ভিতরে আসলাম এবং মাঠের ভিতর থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আজকে আমরা ইকোপার্কে যাব। আমাদের স্কুল থেকে ইকো পার্কে সাইকেলে যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। আমরা সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করলাম। আসলে এর আগে আমি কখনও ইকোপার্কে যায়নি। তাই আমার ইচ্ছা খুব বেশি ছিল। হাসান এর আগে একবার গিয়েছিল।তাই ইকোপার্কের বিষয়গুলোকে ভালোভাবে চেনে। তাই আমরা সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। যাত্রাপথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম।বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে আমরা যাচ্ছিলাম এবং হাসান আর সাজু সাইকেলের প্রতিযোগিতা দিয়েছিল। আমরা চার বন্ধু সাইকেল নিয়ে যাত্রা করছিলাম,সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল।
প্রায় এক ঘণ্টা ২০ মিনিট আমরা সাইকেল চালিয়ে ইকোপার্কে আসলাম। ইকোপার্কে গেট এ ঢোকার আগেই যেন ইকোপার্কের প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখেছিলাম। হাজার রকমের গাছপালা আমি দেখে অবাক। পাশ দিয়ে ট্রেনের রাস্তা, সত্যিই এই দৃশ্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। যখন আমরা ভিতরে ঢুকবো তখন টিকিটের মূল্য ১০ টাকা করে। কিন্তু আমরা স্টুডেন্ট যার কারণে আমাদের থেকে চারজন থেকে মাত্র ২০ টাকা নিয়েছে।আর দুজনকে বোনাস হিসেবে দিয়েছে, ইকোপার্কে টিকেট ম্যানকে ধন্যবাদ দিয়েছি। তার ব্যবহার আমার খুবই ভালো লেগেছে। সে বলল যে আমার ছেলেও তোমাদের স্কুলে পড়ে। তাই আমাদের থেকে টাকাটা নিয়ে ভালোই হলো, তার সাথে কথা বলে তো আমরা যখন ইকো পার্কের গেটের ভিতরে ঢুকলাম। তখন দেখতে পেলাম ইকোপার্কের গেটের পাশেই একটি বড় খাঁচার ভিতর অনেকগুলো বানর রয়েছে, আর এই বানরগুলো কলা খাচ্ছিল এবং অনেক লাফালাফি করছিল। সেই দৃশ্যটি দেখতে ছিলাম আর আমি হাসতে ছিলাম।
ইকো পার্কের ভিতরে হাজার রকমের গাছপালা রয়েছে। আর এই গাছপালা গুলো আমি কখনই দেখিনি এত সুন্দর সুন্দর গাছপালা সত্যি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মাঝখান দিয়ে রাস্তাটি খুবই সুন্দর।চারপাশে প্রকৃতির সৌন্দর্য দৃশ্য দেখেছিলাম আর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমরা চার বন্ধু মিলে একটা প্রতিযোগিতা করলাম। আর এই প্রতিযোগিতাটি হলো আমরা এখান থেকে চার বন্ধু মিলে ১০ মিনিটে একটা দৌড় প্রতিযোগিতার দেবো।আর দৌড় প্রতিযোগিতায় যে ফাস্ট হবে তাকে তিন বন্ধু মিলে টাকা তুলে গিফট দিতে হবে। এখান থেকে দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ইকো পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে পারব। আর প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। তাই আমরা চার বন্ধু মিলে একসাথে দৌড় প্রতিযোগীতা শুরু করে দিলাম।
গল্পটি চলমান
বন্ধুদের সাথে ইকোপার্কে ভ্রমন এবং সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে দৌড় প্রতিযোগিতায় মনে হচ্ছে আপনার বন্ধু হাসান ফার্স্ট হয়েছিল।
খুবই সুন্দর ভাবে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা।
বন্ধুদের সাথে ইকোপার্কে ভ্রমন করতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প গুলো পরে ভালো লাগলো। পোস্ট পরেই বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। গাছ পালা আমার গো ভীষণ ভালো লাগে। আপনার লেখা পরে বুঝলাম সুন্দর পরিবেশ ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।
আমি তো ইকোপার্ক এর নাম শুনে কলকাতার ইকোপার্ক মনে করেছিলাম হাহা।
যাইহোক ভালো ছিল আপনার অনুভূতি। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো সবসময় সেরাই হয়।✌️
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।