প্রকৃতির শান্তির খোঁজে শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
প্রচন্ড গরম আর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শহরে টেকা যেন খুবই কষ্টকর হয়েছে। তাই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় সবুজের মাঝে গিয়ে একটু প্রশান্তি উপভোগ করব। কারণ সবুজ প্রকৃতির মাঝে গেলে শীতল বাতাসে মনের মাঝে ভালো লাগে। তাই শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার এই অনুভূতি যেন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে যখন আমাদের গ্রামে প্রবেশ করেছি গ্রামের রাস্তা পাশে সবুজ প্রকৃতির গাছপালা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। শীতল বাতাসে যেন অনেকটাই ভালো লাগলো। আর এই শীতল প্রকৃতির মধ্যে ভালো লাগার কারণ হলো রাস্তার পাশ দিয়ে গাছ লাগানো ছিলো। শহরে এত গাছ নেই, আমাদের গ্রামের এই রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক গাছ রয়েছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে শাড়ি বেঁধে গাছ থাকার কারণে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ভ্রমণের মুহূর্তটা তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। তাই আপনাদের মাঝে সেই ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরলাম। আশা করছি গ্রাম বাংলার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগবে।
প্রথমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, শহরের বিশ্ব রোডের রাস্তা পার হয়ে গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত, এটি আমাদের পাশের গ্রামের রাস্তা। এই রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। আর এই রাস্তাটি একদম নিরিবিলি ফাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাস্তার দুপাশে শাড়ি বেঁধে গাছ আর অপরূপ সৌন্দর্যময় এই রাস্তার দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগলো। এ রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন বাতাসে যেন শরীরটা শীতল হয়ে যাচ্ছিল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
আসলে রাস্তাটি ছিল ফসলের মাঠের মাঝ দিয়ে, দুপাশে শুধু ফসলের মাঠর, সবুজ দৃশ্য আর মাঝখানে এই সৌন্দর্যময় রাস্তা এবং রাস্তা পাশ দিয়ে শাড়ি বেঁধে হাজারো গাছ লাগানো। এই গাছগুলো থাকার কারণেই যেন এখানকার প্রকৃতি অনেক শান্ত রয়েছে। আসলে এখন যে তাপমাত্রা এই তাপমাত্রাকে হার মানাবে এই গাছের কারণে। যার কারণে এখানে তাপমাত্রা অন্য অন্য জায়গার তুলনায় অনেক কম ছিলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
অপরূপ সৌন্দর্যময় এই রাস্তা দিয়ে ভ্রমণের শেষে আমাদের গ্রাম বাংলার মেঠো পথের রাস্তায় প্রবেশ করলাম। আসলে আমাদের গ্রাম বাংলার রাস্তাটি এখনো মেঠো পথ রয়েছে। আর এই মেঠো পথের দু পাশ দিয়ে অনেক গাছ লাগানো ছিল। যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগতেছিল, এমনিতেই মাটির রাস্তা, আর দুপাশ দিয়ে গাছের দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতেছিলাম। সেই মুহূর্তটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
মেঠো পথের এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, আর দৃশ্যগুলো দেখতে ছিলাম। সবুজ ফসলের মাঠের দৃশ্য দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। আসলে গ্রামের এই অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো আজকে খুবই উপভোগ করেছি। কারণ অনেকদিন পর এই সুন্দরময় দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়েছি, শহরের চার দেওয়ালের বিল্ডিং গুলোর মাঝ থেকে যখন গ্রামের এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায়, তখন অনেক বেশি ভালো লাগে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে একটু সামনে আসলাম, সামনে এসে দেখতে পেলাম এখানে অনেক গাছ ছিল। এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। আর এখানে অনেক তাপমাত্রা ছিল, আসলে দুপাশ দিয়ে ফসলের মাঠের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু গাছ না থাকার কারণে গরমের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে এখানে।আর এই গরমের কারণে যেন এই রাস্তা দিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তখন তাপমাত্রায় একটু বেশি মনে হচ্ছিলো,আর রোদও ছিল যার কারণে এই রাস্তা দিয়ে অনেকটাই আসতে খারাপ লেগেছিল আমার।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফসলের মাঠের দৃশ্য দেখতে ছিলাম। আসলে গ্রাম বাংলার এই চির সবুজের ফসলের মাঠের দৃশ্য দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, অনেক ফসলের জমিতে এখন সোনালী আকার ধারণ করেছে। তার মানে ধানগুলো পেঁকে গেছে। আর কৃষকেরা এখন এই ধানগুলো কাঁটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সেই দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগবে।তাই এই পাঁকা কাঁচা ধানের জমির ফটোগ্রাফি করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
https://twitter.com/rayhan111s/status/1786267820260786443?t=7HoKh6TsA6TdmVod7slQYw&s=19
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে রাস্তার পাশে সবুজ ধান ক্ষেত গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। দিন শেষে আমরা যারা শহরে থাকি একটু গ্রামে সময় কাটাতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
শহর থেকে গ্ৰামের সৌন্দর্য হাজার গুণ তফাৎ । গ্ৰামের মধ্যে সবুজ প্রকৃতির মাঝে পাওয়া যায় এক অন্যরকম শান্তি।এই গরমের সময় শহরের থেকে গ্ৰামে একটু বেশি স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু শহরের মধ্যে মানুষের কোলাহল লেগেই থাকে। অপরদিকে গ্ৰামের মধ্যে সব সময় মনোরম পরিবেশের মধ্যে থাকা যায়। থাকে না কোন চিল্লাচিল্লি, গাড়ির শব্দ।তাই আমার কাছে গ্ৰাম সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
সত্যি কথা বলতে,গ্রামীণ পরিবেশটা অনেকটা শীতল শহরের তুলনায়। আর আপনি তো ভালোই করেছেন,এই সময়ে শীতল জায়গায় থাকা উচিত।গ্রামের প্রকৃতি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।তাছাড়া যেখানে গাছগাছালি আছে সেই জায়গাগুলো অনেক মনোরম লাগছে।
দীর্ঘদিন শহরে থাকার পর গ্রামে যাওয়ার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম। গ্রামীণ সৌন্দর্য শহর থেকে অনেকাংশেই বেশি সব সময়ের জন্যই।
আপনি গ্রামীণ সুন্দর্য তুলে ধরেছেন ছবির মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো।
গ্রামের সেই মেঠো পথ কতই না সুন্দর।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শহর থেকে গ্রামে আসার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। আপনি গ্রামের এই মেঠো পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তার চারপাশে গাছপালা ছিল যার কারণে শহরের তুলনায় এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার অনুভূতি ভালো ছিল। কারণ গাছপালা যেখানে রয়েছে সেখানে তাপমাত্রা অনেক কম। আর আপনাদের মেঠো পথের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেত আমার অনেক ইচ্ছা করছে।
বিশেষ করে গ্রামে অনেক বেশি লোডশেডিং করে। কিন্তু আমরা শহরের মানুষেরা লোডশেডিং করলে যতটা অস্বস্তি প্রকাশ করি কিন্তু গ্রামের মানুষের মধ্যে এমন অস্বস্তি নেই বললেই চলে। কারণ সেখানে গাছপালা বেশি ঠান্ডা আবহাওয়া বেশি। বিদ্যুৎ চলে গেলে বাইরে গাছ তলায় বসে থাকে সবাই মিলে। আপনি প্রশান্তির খোঁজে শহর থেকে গ্রামে গেলেন। আর এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া এত সুন্দর গাছের দৃশ্য গুলো দেখে।
অতিরিক্ত গরমে আপনি শহর ছেড়ে গ্রামে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলেই প্রকৃতির মাঝে নির্মলতা খুঁজে পাওয়া যায়।আর সারি সারি গাছের মাঝে মেঠো পথে শীতল হাওয়ায় হাঁটতে খুবই ভালো লাগে।সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।