শীতকালে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আসলে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করার মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে সকল বন্ধুরা মিলে যখন ভ্রমণে বের হয়। সেই ভ্রমণের মুহূর্ত অনেক আনন্দ হয়ে থাকে। কারণ সকল বন্ধুরা মিলে সেই মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমরা উপভোগ করি। তাই বন্ধুদের সাথে স্মৃতিময় একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। এই গল্পটি ছিল শীতকালীন এ বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করার মুহূর্ত। আমরা পার্কে ভ্রমণ করেছিলাম। সেই মুহূর্তটা সত্যি অসাধারণ ছিল। তাই আজকে আপনাদের মাঝে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষ পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।
যমুনা নদী ব্রিজের পাশেই ইকোপার্ক রয়েছে। এই ইকো পার্কে আমরা বন্ধুরা মিলে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আসলে এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো এখন ভাবতেই যেন খুবই ভালো লাগছে। কারণ পার্কের ভিতরে আমরা সকল বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দের সাথে পশুপাখি গুলো দেখতে ছিলাম। আসলে এই পার্কের মধ্যে বিভিন্ন রকমের গাছপালা রয়েছে এবং পশুপাখি রয়েছে, এই সকল কিছু দেখে আমরা যখন পশ্চিম পাশে যমুনা ব্রিজের পাশে আসলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো, কারণ যমুনা ব্রিজের পাশে এসে নদীর সাথে ব্রিজের সৌন্দর্য দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তাই সেই দৃশ্যটি দেখার জন্য আমরা মূলত নদীর পাড়ে আসলাম।
পার্কের ভিতর দিয়ে আমরা যমুনা নদী ব্রিজের পাশে একটি গেট রয়েছে এই গেট দিয়ে বেরিয়ে আসলাম। গেট দিয়ে বেরিয়ে আসার পরেই আমরা যমুনা ব্রিজের নিচে আসলাম। যমুনা ব্রিজের নিচে নদীর অপরূপ সুন্দরময় দৃশ্য দেখতে পেলাম। আর এখানে একটি বালু চর পড়েছে, যার কারণে আমরা এই বন্ধুরা মিলে একটি নৌকা নিয়ে সেই চরে আসলাম। বালুচরের দৃশ্য এবং যমুনা ব্রিজের নিচে থেকে এত সৌন্দর্যময় সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতেছিলাম, যা অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। সকল বন্ধুরা আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করেছি।
এই বালুচরে তখন বালুগুলো ভিজে যেত আর ভেজা ভেজা এই বালুর ভিতরে আমরা সবাই নাম লেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আসলে বালুচরের এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো মুগ্ধ করেছিল আমাদের সবাইকে। কারণ নদীর পাড়ের এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে অনেক নৌকা চলাচল করতে ছিল। আর নৌকার ঢের পানি যখন এই বালুচরের উপর দিয়ে আসতেছিল তখন বাল গুলো ভিজে যাচ্ছিল। আর আমরা বন্ধুরা মিলে নাম লিখতে ছিলাম এবং ঢেউয়ের পানি এসে নামগুলো মুছে দিচ্ছিল, আসলে সকলেই মিলে যেন খুব আনন্দের সাথে সেই মূহুর্ত গুলো উপভোগ করতেছিলাম।
ওখান দিয়ে নৌকা যাচ্ছিল আমরা বন্ধুরা মিলে বললাম আমরা একটু ব্রিরিজের নিচে যাব। তখন সেই নৌকা আমাদের নিয়ে আসলো। আসলে যমুনা ব্রিজ অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য এই ব্রিজের দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নৌকায় করে ভ্রমন করে। আর বর্ষার পানিতে ব্রিজের দৃশ্য যেন আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে সেই নৌকায় করে ব্রিরবজের নিচে গিয়েছিলাম। আর ব্রিজের নিচে গিয়ে অনেকটাই সময় আমরা পার করেছি। তবে ব্রিরিজের নিচে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি।সবাই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই দৃশ্যগুলো যেন এখনো চোখের সামনে ভাসে। আসলে যমুনা ব্রিজের এই নিচের যাওয়ার অনুভূতি অনেকটাই আনন্দের ছিল এবং সেই অনুভূতি সত্যি হৃদয়ের ভিতরে গেথে রয়েছে।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1753468933771071557?t=0kUJ4G7whhmcPdBIQq7ggA&s=19