নাটোরের গ্রীন ভ্যালি পার্কে ভ্রমন ও ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমরা সকল বন্ধুরা মিলে এবার শীতের ভিতরে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি নাটোরে গ্রীন ভ্যালি পার্কে। আসলে প্রতি বছর শীতের সময় আমরা ভ্রমণ করে থাকি, এ বছরে একটু পরে ভ্রমণ করলাম। তবে বন্ধুদের সাথে নিয়ে এই ভ্রমণের মুহূর্ত অনেক আনন্দের সাথে আমরা উপভোগ করি। যার কারণে আমরা সকল বন্ধুরা ঠিক করলাম নাটোরের লালপুরে অপরূপ সৌন্দর্যময় গ্রীন ভ্যালি পার্ক যাবো।এই পার্কে যেন আরো নতুন নতুন ভাবে সাজিয়েছে, পার্কের সৌন্দর্য দৃশ্যগুলো অনলাইনে ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লেগেছিল। যার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নাটোরে ভ্রমণ করতে যাব। তাই আমরা সবাই মিলে ভ্রমণ করেছি আর সেই নাটোরে ভ্রমণ করার মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। বিশেষ করে সকলে একসাথে আমরা ভ্রমণ করেছি, বিশেষ করে আমাদের সাথে অনেকগুলো স্যাররা গিয়েছিল এবং তাদের পরিবারসহ ছিলো। নাটোরে ভ্রমণ করা সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগবে।
এই ভ্রমণের জন্য আমরা তারিখ ঠিক করলাম। আর আমরা ১৭ ই ফেব্রুয়ারি সকল বন্ধুরা মিলে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সকাল সাড়ে ছয়টায় আমাদের বাস ছিল। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে এই বাস যাত্রা শুরু করবে। আসলে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে নাটোরে যেতে মাত্র ২ ঘন্টা সময় লাগে। যদি ভাল বাস হয় ২ ঘন্টা লাগে, আর একটু জ্যামে পড়ে গেলে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আমরা পৌঁছে যাব। যার কারণে সকাল সাড়ে ছয়টায় আমি বাসের কাছে আসলাম এবং স্যারদের মধ্যে অনেকে আসেনি যার কারণে আমাদের বাসটি ছাড়তে সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছিল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে আমরা বাসে উঠে গেলাম। বাসে ওঠার পরে আমি আমার সিটে বসলাম। সকলেই বাসের ভিতর অনেক আনন্দের সাথে গান শুনতে ছিল এবং নাচানাচি করতে ছিল তবে বাসের ভ্রমণ আমার খুব একটা ভালো লাগে না, মাথা ঘুরে এবং বমি বমি লাগে। যার কারণে আমি বাসের ভিতরে খুবই চুপচাপ বসে ছিলাম। আর অন্যরা মজা করছিলো, সেই দৃশ্যগুলো দেখতেছিলাম তো আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আমরা গ্রীন ভ্যালি পার্কে এসে পৌঁছালাম। সেখানে আমাদের বাসটি পার্কিং করল, আমরা তখন বাস থেকে নামা শুরু করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
নাটোরের লালপুরে যখন আমরা আসলাম। এই গ্রিন ভ্যালি পার্কের সামনে বাস পার্কিংয়ের জন্য বিশাল একটি মাঠ রয়েছে। আর সেখানে অনেক বাস ছিলো,হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা এখানে ভ্রমণ করতে এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। আসলে এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে আমরা আমাদের বাস থেকে পিকনিকের সকল জিনিস নামিয়ে একটি ভ্যানে করে নিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে লাগলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
গ্রিন ভ্যালি পার্কের ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে একটি গেট রয়েছে। এই গেটের ফটোগ্রাফি করলাম, এই গেটটি দুই দিকে পালকির মতো অবস্থা। মানে দুই দিকে যেন পালকি দিয়ে এই গেটটি ভাস্কর্য তৈরি করা। আসলে এই ডিজাইনটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই গেটের ভেতর দিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করে দেখতে পেলাম আর একটু সামনে বিশাল বড় টিকিট কাউন্টারের গেট রয়েছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
টিকিট কাউন্টারের সামনে বিশাল বড় একটি বিল্ডিং দেখতে পেলাম। আর এটি খুবই সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা। দেখে মনে হচ্ছিল পুরনো ঐতিহ্যময় কারুকাজ ছিল, এখানে যেন টিকিট বিক্রি করা হয়। সেখান থেকে আমরা টিকিট কাটা শুরু করলাম। প্রতি জনের টিকিটের মূল্য ছিল ৫০ টাকা করে। তবে এই টিকিটগুলো আমাদের কেটে দিয়েছিল। টিকিট নিয়ে প্রবেশ করার সিস্টেম গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা বিষয়ে যেন নিরাপত্তা পহরী রয়েছে। খুবই সতর্কতার সাথে এই পার্কের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
আমরা সবাই একসাথে টিকিট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। এই পার্কের ভিতর প্রবেশ করে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেছি। এত সুন্দর পরিবেশ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখে যেন মনে হচ্ছিল মানুষ এতো সুন্দর পার্ক তৈরি করতে পারে । এত সুন্দর একটি জায়গায় এসে মন অনেক শান্ত হয়ে গেল। আসলে এই পার্কের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তো এই দৃশ্যগুলোরই আমি তখন ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
শীতের সময় ভ্রমণ করা খুবই মজার।নাটোরের কাঁচাগোল্লার কথা অনেক শুনেছি।এখন দেখছি আমার নামে পার্কও রয়েছে, হি হি।যাইহোক গ্রীন ভ্যালি পার্কটি খুবই সুন্দর।আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন বন্ধুরা মিলে আশা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোরের দূরত্ব তাহলে খুব একটা বেশি না, মাত্র দুই ঘন্টা সময় লাগে। তবে সেখানে দেখছি প্রচুর মানুষের আনাগোনা আবার জায়গাটার সৌন্দর্য আগের থেকে কিছুটা গোছালো হয়েছে।