বাবার সাথে শসা বিক্রি করতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প //শেষ-পর্ব-
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বাবার সাথে আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের অনেক গল্প রয়েছে। বিশেষ করে ছোটবেলার এই মুহূর্তগুলো যেন বাবার সাথে অসাধারণ ছিল। আসলে বাবা কোথাও গেলেই আমরা বাবার সাথে বের হতে চাইতাম। আর বাবাকে নিয়ে যেন আমাদের পথ চলাটা শুরু হয়েছে। আর সত্যিই সেই ছোটবেলার দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বাবার সাথে আমার জীবনের অনেক গল্প রয়েছে। সেই জীবনের গল্প থেকে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। এই গল্পটি হল বাবার সাথে শসা বিক্রি করতে যাওয়ার মুহূর্ত। এই স্মৃতিময় গল্পটির ২ টি পর্ব শেয়ার করেছি আজকে শেষের পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষের পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।
শসা বিক্রি করে অনেক কিছু বাবা আমাকে কিনে দিয়েছিল। সেগুলো নিয়েই যেন আমি আনন্দের সাথে বাসার দিকে রওনা দিয়েছি এবং নদীর ঘাটের দিকে আসতে ছিলাম। এমন সময় রাস্তার পাশে একটি আমগাছ ছিল, সেখানে অনেক মৌমাছি ধরেছিল। আর আমাকে বাবা দুই টাকা দিয়েছিল যে স্কুলে গিয়ে এই টাকা দিয়ে কিছু কিনে খেতে। সেই টাকাটির উপরে একটি মৌমাছি আসে আর বাবাকে বলার সাথে সাথে এসেই মৌমাছিটিকে বাবা হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পরে দেখতে পেলাম আরো অনেকগুলো মৌমাছি এসেছে এবং আমাকে ধরেছে আমি তো অনেক কান্না করে দিলাম। বাবা আমাকে নিয়ে একটু তাড়াতাড়ি আসতে লাগলো এবং আমাকে অনেকগুলো মৌমাছি কামড়াচ্ছিল। সত্যি এই ঘটনা দেখতে পেয়ে আশেপাশের অনেকে মানুষ ভয়ে তাড়াতাড়ি পালিয়ে গেল।
তারপরে বাবা তার হাতে শসা বিক্রি করার বস্তাগুলো ছিল। এই বস্তা দিয়ে আমাকে জড়িয়ে কোলে নিয়ে তাড়াতাড়ি নদীর ঘাটের নৌকার কাছে আসতে লাগলো। আসলে এই বস্তার ভিতর যেন মৌমাছি গিয়ে আমাকে কামড়াতে লাগলো। আর উপরে তো বাবাকে কামড়াচ্ছেই। আমি এত ভয় পেয়েছিলাম,আর বাবা বারবার চিৎকার করে বলতেছিল কে আছো তাড়াতাড়ি আসো আমার ছেলেকে বাঁচাও।আর বাইরে থেকে বাবাাে মৌমাছির কামড়াচ্ছে সেটা মনেই করছে না। বাবা শুধু আমার চিন্তা করছে যে আমার ছেলেটাকে বাঁচাও।
বাবা অমনি আমাকে তাড়াতাড়ি করে নৌকার কাছে নিয়ে আসলো এবং বাবার ডাকে নৌকা থেকে মাঝিরা আমার কাছে চলে আসলো। এই মাঝি গুলো আমাদের গ্রামেরই ছিল। তারা তাড়াতাড়ি করে কোথা থেকে যেন সোলার বেড়া ভেঙ্গে নিয়ে এসে আগুন ধরিয়ে ধোয়া করলো এবং আমাকে নৌকার উপরে শুয়ে দিয়ে। সেই ধোয়াগুলো দিয়ে মৌমাছি চলে গোলো।তারপর আমার গায়ে থেকে মৌমাছির কামড়ানো শালগুলো বের করতে লাগলো এবং বাবাকে অনেক কামড়িয়েছে বাবার থেকেও সালগুলো বের করতে লাগলো। আমি তখন ব্যথায় কানতেছিলাম।
তারপরে আমাদের গ্রামের নৌকা আর দেরি করল না। আমাদের নিয়ে তাড়াতাড়ি গ্রামের দিকে রওনা দিল। গ্রামে এসেই বাবা আমাকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে আসলো এবং বাড়িতে নিয়ে এসে মাকে বলার সাথে সাথে মা কান্না করে দিল এবং কোথা থেকে যেন মধু নিয়ে এসে আমার যেখানে যেখানে মৌমাছি কামড়েছে সেখানে মাখিয়ে দিল এবং বাবা ডাক্তারও নিয়ে আসলো। সে এসে আমাকে ইঞ্জেকশন দিল আর আমি তখন ঘুমিয়ে গেলাম এবং রাতের বেলা উঠে দেখি আমার প্রচন্ড জ্বর আমার পাশে মা বসে ছিল এবং বাবাও ছিল। আসলে বাবাকে অনেক কামড়িয়েছে কিন্তু বাবা নিজের কষ্ট মনে করেনি।
স্মৃতিময় এই গল্পটির প্রথম পর্বটি আমার পড়া হয়নি ভাই। তবে শেষ পর্বটি পড়ে সত্যিই খুব দুঃখ পেলাম। আসলেই খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা এটি ।হঠাৎ করে আপনাদেরকে মৌমাছি কামড়ানোর কারণটা বুঝতে পারলাম না। তবে আপনার আর আপনার বাবার অনেক কষ্ট হয়েছিল সেটা তো বুঝতেই পারছি। যাই হোক আপনারা শেষ পর্যন্ত মৌমাছির হাত থেকে বেঁচে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন এটাই অনেক।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাবার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে আসলে অনেক কষ্টের মধ্যেও বাবার তার সন্তানকে আগলে রাখে। আপনাকে অনেক মৌমাছি কামড়িয়েছে কিন্তু আপনার বাবাকে যে কামড়িয়েছে সেদিকে তার খেয়ালই নেই। আপনাকে রক্ষা করতেই তার যেন সকল চেষ্টা সত্যি গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
শশা বিক্রি করে আসার পথে মৌমাছি আপনাকে আক্রমণ করেছে।আংকেল আপনাকে বাঁচাতে বস্তা দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে আর আপনাকে মৌমাছিরা না পেয়ে আংকেলকে কামড়িয়েছে।তবুও নিজের কষ্ট কে কষ্ট মনে না করে আপনাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেছে। আসলে বাবারা এমনি হয়ে থাকে।সন্তানের সুখের জন্য যে কোন বিপদকে হাসি মুখে মেনে নিয়ে থাকে।ভাগ্য ভালো নৌকার মাঝিরা বুদ্ধি করে ধোয়া করে মৌমাছিদের তারিয়ে ছিলো।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।