রক্তের বাঁধন কখনোই চুপ থাকতে পারে না
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
রক্তের সম্পর্ক গুলো কখনোই ছিন্ন হয়ে যায় না। হয়তো পরিস্থিতির কারণে দূরত্ব বেড়ে যায়, কিন্তু এই বাধন যেন সারা জীবন রয়ে যায়। বিশেষ করে ভাই বোনের সম্পর্ক এবং ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক এবং আমাদের সমাজে দেখতে পাওয়া যায়, অনেক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে কিন্তু এই রক্তের বাধর ঠিকই প্রয়োজনের সময় আবারও এক হয়ে যায়। এক ভাই বিপদে পড়লে আর এক ভাই কখনোই চোখের সামনে চুপ করে থাকতে পারেনা। এটাই যেন রক্তের বাঁধন আর এটাই যেন রক্তের টান এক ভাই বিপদে পড়লেই,অন্য ভাই ছুটে চলে আসবেই। আসলে অন্য অন্য বন্ধন যেহেতু চুপ করে থাকতে পারে কিন্তু রক্তের সাথে যাদের সম্পর্ক তারা কখনোই চুপ থাকতে পারে না। একজন বিপদে পড়বেই তো আর একজন এই রক্তের টানেই কাছে চলে আসবে। তেমনি একটি সম্পর্ক নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে আমি আমার সেই গল্পটি শেয়ার করছি। আশা করছি এটা একটা বাস্তবমুখী গল্প।
এবার ঈদের দুই দিন পরে আমাদের গ্রামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামে যেন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে ছোট-বড় মিলে এই ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর আমাদের গ্রামের সাথেই পাশের এক গ্রামের খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই খেলাটি দেখার জন্য অনেক মানুষ এসেছে। আসলে সকলের সাথে এই খেলা দেখার মুহূর্তটা আনন্দের সাথে আমরা উপভোগ করতে ছিলাম। ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেন সকলেই এসেছিল তাদের সাথে নিয়ে এই খেলা দেখার মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর এই খেলাকে কেন্দ্র করেই যেন উৎসব মুখোর পরিবেশ ছিলো।গ্রামের সকলেই এই খেলায় উপস্থিত ছিল।
তবে একটা বিষয় হলো আমার চাচাতো ভাই। তারা দুই ভাই আর এই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঈদের একমাস আগে জমি নিয়ে তাদের ভিতরে মারামারি হয়েছে। যার কারণে দুই ভাই যেন শত্রুতায় একে অপরের বড় ধরনের শত্রু হয়েছে। কেউ কারো সাথে কথা বলে না। অনেকেই মিল করার চেষ্টা করেছে কিন্তু কেউই মিল হয়নি এর মধ্যে গ্রামে একটা ছোট শালিশের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও যেন দুই ভাইকে মিল করতে পারিনি। আসলে এই জমির কারণে ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক যেন অনেকটাই ছিন্ন হয়ে যায়।তো এই দুই ভাই ও সেদিন গ্রামের ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েছিল, আর এই ফুটবল খেলা দেখতে দেখতেই আমাদের গ্রামের একজন মানুষের সাথে অন্য গ্রামের একটা মানুষের সাথে কথা কাটা কাঠি হয় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। আর যখনই দুজনের মধ্যে মারামারি লেগে যায়, অন্য গ্রামের আরো কয়েকজন মিলে আমাদের গ্রামের সেই ব্যক্তিকে মারধর করে।এটা দেখতে পেয়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের যে ছোট ভাই ছিল সে গিয়ে তাদের সাথে মারামারি শুরু করে দেয়। আর যখনই আমার বড় চাচাতো ভাই অর্থাৎ যে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি হয়েছিল ঝগড়া হয়েছিল কথা হয়না দূর থেকে দেখেই যেন আর ঠিক থাকতে পারেনি।নিজের ভাইয়ের সাথে নিজের মারামারি, কথা কাটাকাটি তারপরেও যখন দেখছে নিজের ভাইকে অন্য কেউ ধরে মারছে। তখন আর সে ঠিক থাকতে পারেনি।এটাই রক্তে টান।রক্ত কথা বলে।নিজের ইচ্ছে না থাকলেও রক্ত টানে ঠিক থাকতে পারবে না।
তখন বড় ভাই একটা বাঁশ হাতে নিয়ে ছোট ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় এবং আশেপাশের সকলকে পিটিয়ে সরিয়ে দেয় ও ছোট ভাইকে রক্ষা করে বুকে টেনে নেয়। আর এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে যেন অনেক অবাক হয়ে যায়। আর রক্তের সম্পর্কই যেন এভাবে টিকে যায় যুগ যুগ ধরে। হাজারো চেষ্টা করেও গ্রামবাসী যাদের দুই ভাইকে এক করতে পারিনি। আর এই ছোট ভাইকে মারা দেখেই বড় ভাই নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। এটা যেন রক্তের টান। আর এই রক্তের বন্ধন কখনোই ছিন্ন হয় না। আজকে আমি বুঝতে পারলাম। আসলে এই ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। হয়তো উপস্থিত থাকলে রক্তের টানে আমিও এগিয়ে যেতাম। এই ঘটনাটি আমি শুনতে পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। যে দুই ভাই আবারো এক হয়েছে।
https://x.com/rayhan111s/status/1806335011421138960?t=rA1T276gB61qFr8SRL8WqQ&s=19
আসলে ছোট্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে মানুষ হট্টগোল বাজিয়ে দেয় মারামারি সৃষ্টি করে এগুলো কিন্তু খুবই খারাপ একটা বিষয়। আর জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মানুষের সত্যি খুবই ক্ষতি করে। তবে এই সমস্ত বিষয়গুলো খুব সহজে কাটিয়ে তোলা সম্ভব যদি উভয়কে পাশে বসিয়ে বোঝানো হয়।
আসলেই ভাই আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এটা যেন একদম বাস্তব আর রক্তের বাঁধন কখনো চুপ থাকে না। যখনই অন্য কেউ নিজের রক্তেকে আঘাত করবে তখন সেই রক্ত চুল থাকতে পারে না। সেই রক্ত ঠিকই গিয়ে প্রতিবাদ করবে। নিজেদের মধ্যে হাজারো ঝগড়া থাকলেও অন্যের করা আঘাত যেন রক্ত কখনোই চুপ থাকে না। আসলেই রক্তের বাঁধন একটা অসাধারণ বন্ধন। তো ছোট ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার পরেও, ছোট ভাইকে অন্য কেউ আঘাত করার সাথে সাথে বড় ভাই গিয়ে প্রতিবাদ করেছে।
রক্তের টান ভাইয়া নিজেরা নিজেরা যতো মারামারি কাটাকাটি হোক না কেন অন্য কারো সাথে হতে দেখলে কেউ কেউ ঠিক থাকতে পারে না। ঠিক বলেছেন আপনি নিজের ইচ্ছে না থাকলেও রক্তের টানে ছুটে যায়।ভালো লাগলো পুরা পোস্ট টি পড়ে এবং দুই ভাইয়ের মিলন হয়েছে তা জেনে। এতদিন শালিস বৈঠকে যা পারেনি তার রক্তের টানের মাধ্যমেই হয়ে গেছে ধন্যবাদ সুন্দর পুষ্টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার লেখা গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ছোট ছোট বিষয় কেন্দ্র করে অনেক কিছুই মারামারি গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হয় কিন্তু এগুলো খুবই খারাপ একটা বিষয়। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের ইচ্ছে না থাকলেও রক্তের টানে ছুটে যেতে হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আমাদের মাঝে পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।