DIY ( এসো নিজে করি)...|| নারিকেলের পাতার সাহায্যে চশমা তৈরি..||♦
আসসালামু আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে খুব ভালো আছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি "আমার বাংলা ব্লগ " কমিউনিটির সাথে নিজেকে সুন্দর ভাবে জরিয়ে ফেলেছি। হয়ত আমার সামনের দিনগুলোতে সম্পর্কটা আরও জোরালো হবে। দাদা সহ এখানকার সকল মোডারেটরদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বুদ্ধির কারণে আজ আমাদের কমিউনিটি এতো দূরত এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে @rme দাদা "এসো নিজে করি" একটা ইভেন্ট চালু করেছেন। যেখানে সবাই সবার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টটা করবে এবং সেটা নিয়ে পোষ্ট তৈরি করবে। আজকে আমি DIY( এসো নিজে করি) ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমার এখন অনলাইনে ক্লাস চলছে তাই বেশি সময় এখানে ব্যায় করতে পারছি না। আশা করি সব সময় চেষ্টটা করব যত সম্ভব সময় দেওয়া যায়।
আমি গ্রামে বাস করি। গ্রামের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতার সাহায্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানিয়ে থাকেন। যেগুলো দ্বারা তারা তাদের সৃজনশীলতকা বিকাশ ঘটায়। আজকে আমি সে রকমই গাছের পাতা দিয়ে কিছু একটা বানানোর চেষ্টটা করেছি। আজকে আমি নারিকেলের পাতা ব্যবহার করে।একটা চশমা কিভাবে বানাতে হয় সেটা দেখানোর চেষ্টটা করব। চলুন শুরু করি
নারকেলের পাতার সাহায্যে চশমা তৈরি
প্রথম ধাপ-
প্রথমে কয়েকটা নারিকেলের পাতা জোগার করে নিয়ে তাদের সাইজ অনুযায়ী কেটে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ-
এরপর নারকেলের পাতার মাঝে যে মোটা শিশটা আছে, সেটা এড়িয়ে পতাটা আলাদা করলাম। আলাদা করলে দুইটা পাতা পাওয়া যায়।
তৃতীয় ধাপ-
এরপর একটা পাতাট মাথা থেকে এক আঙ্গুলের পরিমাণ সাইজ করে একটু পাতা কেটে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ-
এবার ছোট পাতাকে বড় লম্বা পাতাটার মাতার দিকে একটু নিচে রেখে হাতের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। এরপর ছোট পাতার দুই পাশ থেকে ভাজ করে নিতে হবে। ছবিতে দেখানোর মতো করে।এরপর উপরে যে বড় পাতার মাথা থাকবে সেটাকেও ভাজ করতে হবে এবং আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে।
পঞ্চম ধাপ-
এরপর ভাজ করা অংশটুকু চেপে ধরে পাতার অপর মাথাটা অন্য হাতে নিয়ে চেপে রাখা মাথার ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে টান দিয়ে গোল মতো করে এটে নিতে হবে। যাতে ছোট ভাজ করা পাতাটা পড়ে না যায়।
ষষ্ঠ ধাপ-
সপ্তম ধাপ-
একই রকম ভাবে অপর পাশেও আমি চশমার কাচের মতো গোল করে বানিয়ে নিলাম। তবে আমি চেষ্টটা করেছি দুইটা গোল একই রকম করার।
অষ্টম ধাপ-
এখন আমি নারিকেলের পাতার যে শক্ত শিশটা বের করেছিলাম। সেটা কেটে নিলাম দুইটা এই সাইজের। চশমার ডানটি বানানোর জন্য।
নবম ধাপ-
এরপর গোল করে বানানো চশমার কাচের দুইপাশে কাঠি দুইটা সুন্দর করে গেথে দিতে হবে। ছবির মতো করে গেঁথে দিবেন। হয়ে গেল, আমার আজকের নারিকেলের পাতা দিয়ে চশমা তৈরি।
এগুলো ছোট বাচ্চারা পাতা দিয়ে খেলার সময় তৈরি করে চোখে দিয়ে বেড়াই। আমি নিজেও বানিয়ে চোখে পড়েছি। যদিও চশমাটা পড়ে আমাকে মোটও ভালো লাগছে না।তবুও আমি আপনাদের সাথে ছবিটা শেয়ার করলাম।
আশা করি আমার আজকের "এসো নিজে করি" কাজটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। আমি মনে করি এরপরে আরও ভালো এবং নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে পারব।তত ক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন-সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আজকের "এসো নিজে করি " পোষ্টটা দেখার জন্য।
ভাই ছোট বেলার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন, শুধু চশমা কেন? ঘড়ি ও গাড়ি এগুলোও বানাতাম আমরা, বেশ মজা করতাম তখন এগুলো দিয়ে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
🥰🥰 যাক ভাইয়া আপনাদের ছোট বেলাটা মনে করাতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ,খুব সুন্দর চশমা।আপনাকে খুব ভালো মানিয়েছে।আমরাও ছোট বেলায় এভাবে ঘড়ি,চশমা ও কানের দুল বানাতাম।ধন্যবাদ দাদা।
আমি আসলে নিজেকে এভাবে দেখে নিজেই আগে হেসেছি। যানি সবাই হাসবে তাও ছবিটা দিয়েছি।
ধন্যবাদ বোন আপনাকে আপনার মতামতটা জানানের জন্য।
না দাদা,ক্রিয়েটিভ বিষয় মানেই রসিকতা,সৃজনশীলতা সবই ফুটে উঠবে।স্বাভাবিক বিষয়।
এটা সত্য কথা বোন। ধন্যবাদ।
চশমাটা খুব সুন্দর হয়েছে। DIY ইভেন্ট এ অ্যাটেন্ড করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর হয়েছে ভাই
ধন্যবাদ।
দিলেন তো ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে ।ভালো হয়েছে ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
🥰🥰 ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই ব্লগ দেখে ছোট বেলার সোনালী দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ ভাই
বাহ, অসাধারণ খুব সুন্দর চশমা।আপনাকে খুব ভালো মানিয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই।
ছোটবেলা এগুলো তৈরি করে অনেক খেলেছি। খুব সাধারণ জিনিস তৈরি করলেও অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আজকে। নারকেল গাছের পাতা দিয়ে বাঁশি বানাতাম চশমা বানাতাম আরো অনেক কিছু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।খুবই ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।