জ্ঞানকে নিজের মধ্যে না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন!||১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox কে।||
আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছি, যেখানে যেকোনো কিছু দেখে দেখে মুখোস্ত করো এবং পরিক্ষার খাতায় সেটা লিখে আসো। বাস্তবে সেটা সম্পর্কে তুমি বুঝলে কিনা সেটা দেখার দরকার নাই। তোমার দেখার দরকার তোমার জিপিএ কত হলো। কারণ সমাজ তোমাকে তোমার যোগ্যতা নয় বরং তোমার জিপিএটা জানতে চাইবে। আসলে আজকে যদি আমরা নিজেরকে প্রশ্ন ছুরে দেয়,যে আমরা শিক্ষা জীবন থেকে কতটুকু শিখতে পারলাম এবং কতটুকু তা বাস্তবে কাজে লাগাতে পারলাম। তাহলেই কিন্তু এতোটা সময় করে পড়ে আসার শিক্ষাটা এক মিনিটেই আমরা বুঝতে পারব। আমরা যদি পড়ার সময় কোনো বিষয় বুঝে পড়ার চেষ্টটা করি তাহলে আমার পরর্বতী জীবনে সেটা সফলতা বয়ে এনে দিবে। কোনো কিছু পড়ার সময় খেয়াল রাখা উচিত-
- আমি কি বিষয়টা বুঝে পড়ছি,, না দেখে দেখে মুখোস্ত করছি!
- আমি কি বিষয়টা পড়ার পর অন্যকে বিষয়টা বোঝাতে পারব,,, না আমার মধ্যে ভয় কাজ করবে।
- বিষয়টা পড়ার পর কি পরে আমাকে বিষয়টা আবার পড়তে হবে,না বিষয়টা এখন পড়লেই মনে থাকবে!
- আমি কি বিষয়টা সম্পর্কে যে কোনো কাজ করতে পারব,,, না, আমার মাঝে ভীতিটা কাজ করবে!
একটা বিষয় পড়ার সময় আমাদেরকে নানা বিষয় চিন্তা করতে হবে। তারপর বিষয়টা পড়া শুরু করতে হবে। কারণ বিষয়টা যে শুধু পড়লে হবে তা কিন্তু নয়। সেটাকে বাস্তবে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিষয়টা দিয়ে যে কাজগুলো করা যায় সবগুলোতেই আমাদেরকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ধরুন,,,,, আপনি একটা বিষয় বুঝে খুব ভালো ভাবে পড়লেন, কিন্তু বিষয়টা অন্য কাউকে বোঝাতে পারছেন না। তাহলে কিন্তু আপনার শিক্ষাটা সঠিক হলো না। আপনাকে নিজে বোঝার পাশা পাশি অন্যকে বোঝানোর দক্ষতাটা থাকতে হবে। তাহলেই আপনে সেই বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা যায়, একজন ছাত্র খুব ভালো নম্বর নিয়ে তার লেখা পড়াটা শেষ করেছে। কিন্তু চাকরি করতে গিয়ে বিপদের মুখে, কারণ সে সবার সামনে কথা বলতে পারেনা। যদি সে তার শিক্ষা জীবনেই জ্ঞান অর্জনের পাশা পাশি সেটাকে কাউকে বোঝানো বা মানুষের সামনের উপস্থাপন করতো তাহলে,তার মুখের যে জরতা সেটা কেটে যেতে। তংন তার চাকরি জীবনে গিয়ে তাকে আর সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। যখন আপনে কোনো বিষয়, সম্পর্কে জানবেন তখন অন্যকেউও সেটা জানানোর চেষ্টটা করবেন। এতে বিষয়টা নিয়ে আপনার অনুশীলনটা একটু বেড়ে যাবে, এবং অন্য কেউ বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পারবে।
তাহলে আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো বিষয় বুঝে পড়তে হবে, সেই বিষয় অন্যদের সামনে উপস্থাপনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে, বিষয়টা সম্পর্কে জ্ঞান ভবিষ্যৎের কাজের জন্য নিজের মেধায় ধরে রাখতে হবে,, নিজের ভিতরের সব ভয় ভীতিকে দূর করতে হবে। আমরা যদি নিজে সব দিক থেকে পরিপাটি করে তৈরি করতে পারি তাহলেই, আমাদের শিক্ষা জীবনটাকে সফলতার চূড়াই নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা একটা বিষয় মুখোস্ত না করে, সেটাকে কয়েকবার বুঝে পড়ার চেষ্টটা করি, তাহলেই সেই বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা যাবে। আমাদের শিক্ষাটাকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তাহলেই সাফল্য নিশ্চিত, তা না হলে যতই আমরা ডিগ্রি অর্জন করি না কেন, তার কোনো মূল্যই থাকবে না। এজন্য আসুন আমরা আমাদের নিজেদের জ্ঞানকে নিজের মধ্যে না লুকিয়ে রেখে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়।
শিক্ষা নিয়ে উপরের সকল লেখাগুলো আমার নিজের লেখা, লেখাগুলো আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বা শিক্ষা ব্যস্থাকে ছোট করে দেখার জন্য বলি নাই। দয়া করে লেখাগুলোর ভালো দিকটা চিন্তা করবেন,,,, খারাপ দিকটা মাথা থেকে বের করে দিবেন। আশা করি আমার আজকের লেখাটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।
আমার পরিচয়
আমি মো:রাসেল আহমেদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় পর্বে অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে এবং যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
বাহ অনেক সুন্দর লিখেছ। বর্তমান সমাজের মানুষদের শিক্ষা সম্পর্কে ধারণাটা তুমি তোমার পোস্ট বর্নণা করেছ। যা প্রকৃত সত্য। এবং শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখেছ। খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ পোষ্টটা পড়ার জন্য।
জ্বি ভাই, আমিও মনে করি। নিজের জ্ঞান নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দিতে হবে সারা বিশ্বে। কেননা, আপনি যা জানেন তা যদি অন্যকাউকে শিখিয়ে দেন, তাহলে অন্য কেউ যা জানে তা আপনাকে শিখিয়ে দিবি। এতে করে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক হবে মধুর। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় লেখার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার পোষ্টটা পরো এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।🙏🙏💞
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই। আসলে জ্ঞানকে নিজের মধ্যে না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া উচিত। কারণ বিদ্যা দানে বাড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করছে। আর আপনি একদম ঠিক লিখেছেন। জ্ঞানকে নিজের মধ্যে না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ ভাই।