"কাঁচ কলা গাছের ভাদাল/শাশ ভাজির রেসিপি".....
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আমি মনে করি হয়ত অনেকেই এই ধরনের খাবার নাও খেয়ে থাকতে পারেন।কলা গাছের প্রায় সকল অংশই ব্যবহার করা হয়।আজকে আমি কাচঁ কলা গাছের ভিতরে যে ভাদাল বা শাশ থাকে, সেটা ভাজি করার রেসিপিটা শেয়ার করব।গ্রামের মানুষেরা এই খাবারটা সব চেয়ে বেশি খেয়ে থাকেন।তবে শহরের মানুষেরাও অনেক সময় বাজার থেকে কিনে বাসায় রান্না করে খেয়ে থাকেন।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।চলুন রেসিপিটা দেখে আসি-
রেসিপিটা বানানোর জন্য যে যে উপকরণ লাগে-
১.কাচঁ কলার ভাদাল/ শাশ আপনার প্রয়োজন মতো।
২.তেল।
৩.লবণ।
৪.হলুদ
৫. পেয়াজ, মরিচ, রসুন।
১. প্রথমে কাঁচ কলার গাছের উপরের ছালগুলো কেটে ফেলে তার ভিতর থেকে শাশটা বের করতে হবে।এরপর শাশটাকে বা ভাদালটাকে আপনাদের প্রয়োজন মতো সাইজ করে কেটে নিন।আমি এখানে ছোট ছোট চার টুকরা শাশ / ভাদাল ব্যবহার করেছি।
২. এরপর শাশ/ভাদালের উপরে একটা হালকা সাদা আবরণ থাকে।সেটা তুলে ফেলতে হবে।এরপর শাশটিকে পাতলা পাতলা চাক চাক করে কাটতে হবে।সবগুলো শাশের চাক করে নিতে হবে।
৩. এরপর চাক করা শাশগুলোকে পূর্ণরায় পেয়াজ কুচি করার মতো চিকন চিকন লম্বা লম্বা করে ভাজি করার মতো কুটতে হবে।কাটা শেষ হলে একটা পাত্রে রেখে দিতে হবে।
৪. এরপর এতে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে ভালো করে মাখাতে হবে। যাতে এর মধ্যে যে পানিটা আছে। সেটা বেরিয়ে যায়।এভাবে লবণ দিয়ে মাখানোর পর গামলাটার এক দিকে কাত করে রাখতে হবে। যাতে পানি এক জায়গায় এসে জমা হয়।এভাবে কয়েক মিনিট রাখতে হবে।
৫. এরপর একটা চুলায় কড়ায় বসাতে হবে।কড়াইটা গরম হলে এতে তেল দিয়ে দিতে হবে।তারপর তেলে আগে থেকে কেটে রাখা পেয়াজ,মরিচ এবং রসুন দিয়ে দিতে হবে।তারপর কিছু সময় নাড়তে হবে।
৬. কিছু সময় মসলাগুলো নাড়ার পর এতে সামান্য পরিমাণ হলুদ গুড়া দিতে হবে।হলুদ গুড়া দেওয়ার ফলে একটা সুন্দর কালার আসবে।হলুদ দেওয়ার পর কিছু সময় নাড়তে হবে।যত ক্ষণ না মসলাগুলো ভাজা হচ্ছে।
৭. মসলাগুলো ভাজা হলে তারপর এতে আগে থেকে কুটে রাখা কাচঁ কলার শাশ বা ভাদাল দিয়ে দিতে হবে। দেওয়া সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে এর সাথে পানি চলে না যায়।পানি নিংড়িয়ে দিতে হবে।
৮. এরপর এতে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে দিতে হবে। তারপর রান্না শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে নাড়তে হবে।একটা সময় দেখা যাবে ভাজিটার সুন্দর একটা কালার হয়ছে এবং শাশগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে।তখন আপনাদের পছন্দ মতো ভাবে দেখে নামিয়ে নিবেন।
এভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে, স্বল্প পরিমাণ উপকরণ দিয়ে একটা সুস্বাদু রেসিপি বানাতে পারেন।এটার পুষ্টিগুণ ও রয়েছে যথেষ্ট। এই ভাজিটা আপনারা ভাতের সাথে অথবা রুটির সাথে খেতে পারেব।আপনারা চাইলে আপনাদের ইচ্ছা মতো পরিবেশন করে খেতে পারেন।এই খাবারটার স্বাদটা অনেক সুন্দর হয়।
আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টটা করেছি প্রতিটা ধাপ আপনাদেরকে খুব সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।আপনারা চাইলে বাসায় এটা করে খেতে পারেন।আশা করি খুব ভালো লাগবে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার রেসিপিটা দেখার জন্য।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আবার দেখা হবে নতুন একটা রেসিপি নিয়ে।
Cc:
@rme
@rex-sumon
@hafizulla
@curators
এই খাবারটা আমার কাছে ভালোই লাগে। মাঝেমধ্যেই খাবারটি খাওয়া হয়। গ্রামবাংলায় এই রেসিপির প্রচলন এখনো ভালোই রয়েছে।
হুম ভাইয়া।এটা আমারও বেশ প্রিয় খাবার।আমাদের বাসায় আসেন খাওয়াবোনে।
ভাই আমারে দাওয়াত করেন, একদিন এসে চেক করে যাই কারন এই খাবারটা এখনো খাওয়ার সুযোগ হয় নাই আমার।
ভাইয়া কালকেই চলে আসেন আমাদের বাসায়। রান্না করে খাওয়াবোনে।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন, এই রান্নাটি অনেক আগে খেয়েছিলাম। খুব ভালো লাগে খেতে, ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।