"জীবন মানেই কেনা-বেঁচা"......🤔
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন।আমরা দৈনন্দিন জীবনে কেনা-বেঁচা শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আজকে আমি আমার নিজের ভাবনা থেকে লেখা কেনা-বেঁচা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আগেও অনেক বিষয় নিয়ে ছোট গল্প আকারে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।আশা করি আজকেও লেখাটাও আপনাদের পছন্দ হবে।চলুন শুরু করি।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে "কেনা-বেঁচা "কথাটার সাথে সবাই পরিচিত।কারণ সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে থাকি না হয় বেচেঁ থাকি।সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাজারে যাওয়া লাগে সবজি, মাছ, মাংস সহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে।এসব জিনিস কিনতে গিয়ে পরিচিত হতে হয় নানা ধরনের পেশার মানুষের সাথে, নানা শ্রেণির মানুষের সাথে।আবার কোনো জিনিস কেনার সময় করতে হয় নানা ধরনের দর কষা কষি।ক্রেতা চায় অল্প দামে কিনতে আর বিক্রেতা চান বেশি দামে বিক্রয় করতে।যাতে তার লাভটা একটু বেশি হয়।আর ক্রেতা ভাবেন অল্প দামে কিনলে তার টাকা বাচঁবে।আমরা সবাই নিজ নিজ চিন্তা ভাবনা নিয়ে বেশি ভাবতে থাকি।কখনও অন্যের দিকে তাকায় না।তবে আমি জীবনে সব থেকে মনে হয় ভিন্ন ধরনের মানুষ।বিশেষ করে সেটা কেনাকাটার ক্ষেত্রে।আমার কোনো ধরনের জিনিস কিন্তু গিয়ে দাম দর করতে ইচ্ছা করে না।আমার কথা হলো একটা জিনিস দেখে পছন্দ হয়েছে মানে সেটা নিতে হবে এতো দাম দর করার কিছুই নাই।
আমার আব্বু আমাকে সব সময় বলে বাপরে একটু দেখে শুনে বাজার করতে হয়। দাম দর করে কিনতে হয়।আমি তখন বলি ও সব আমার দ্বারা হবে না।আমি যা দাম চাইবে তাই দিয়ে কিনে আনব।এই তো আর কয়েক দিন পরই মুসলমানদের ঈদ-উল আযহা।এই দিনে কুরবাবি করা হয়।সেটা জন্য সবাই ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই পশু কেনা বেচাঁ শুরু করে দেন।যারা কুরবানি দিবেন তারা বিভিন্ন হাঁটে গিয়ে অথবা মানুষের বাসায় গিয়ে পশু পছন্দ করে দর দাম করে পশু ক্রয় করে থাকেন।সারা বছরের একটা সময় সব চেয়ে বেশি পশু বেচা-কেনা হয়। আর সেটা হলো কুরবানির আগের কয়েকটা দিন।এই সময় পশুর দামটাও অনেক বেশি থাকে।একজন পশু বিক্রেতা যেন তার পশুকে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রয় করতে চান।গত কয়েক দিন হলো আমার চাচাতো ভাইদের গরু কিন্তু আসছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক।যেহেতু এখন লকডাউনের কারণে গরু হাঁটে নেওয়া যাচ্ছে না, সেহেতু বাসা থেকেই বিক্রয় করা লাগছে।
তবে বিক্রেতারা তাদের একটা নিদির্ষ্ট দাম ধরে রাখেন।যেটা হলে তারা তাদের পশুটা বিক্রয় করে দিবেন।আসলে আমরা এখন সব জায়গাতেই এই কেনা-বেঁচা শব্দটার সাথে পরিচিত লাভ করি।বাজারের সবাই যেন ওত পেতে বসে থাকে, কখন ক্রেতা আসবেন আর কখন তারা তাদের জিনিসগুলো বিক্রয় করবেন।তবে এখন এই ডিজিটাল যুগে মানুষকে আর কষ্ট করে বাজারে যেতে হয় না। করতে হয় না দাম কষা কষি।এখন অনলাইনেই চাইলে আমরা আমাদের জীবনের প্রয়োজনীয় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অডার দিতে পারি।এখানে কোনো দাম দর করার সুযোগ থাকে না।আমরা আমাদের পছন্দ মতো জিনিস ওদের দেওয়া দাম অনুযায়ী অডার দিলে সেই জিনিসটা আমাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে যাবে।কষ্ট করে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের আর বাজারে যাওয়া লাগবে না।তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটা দিক।যদিও এর জন্য অনেক বেশি টাকা দিতে হয়।তাও এটা এখন কার সময়ের জন্য ভালো আমি মনে করি।
তবে এটার একটা খারাপ দিকও রয়েছে।যারা কষ্টো করে রৌদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে খেটে সবজি ফলান তারা সঠিক দাম পান না।কারণ ক্রেতারা যদি তাদের কাছ থেকে জিনিস না কেনে তাহলে তাদের লোকসান হয়।পাইকারদের কাছে জিনিস দিলে অনেক কম দামে বিক্রয় করতে হয়।আসলে আমরা সবাই চায় যেন আমাদের দিক থেকে আমরা লাভ করতে পারি।সবারই চিন্তা কিভাবে আমরা সামনের দিনগুলো এখন থেকে ভালো করে কাটাতে পারব।কিভাবে আমাদের জীবনের মানগুলো ভালো করতে পারব।কেনা-বেঁচার মাধ্যে মানুষে মধ্যে তৈরি হচ্ছে স্থান বদলের।যে একদিন জিনিস খুচরা বিক্রয় করত, সে আজ পাইকারি জিনিস বিক্রয় করছে।যে ফুটপাতে জিনিস নিয়ে বসত।সে আজ বাজারে অনেক বড় দোকান দিয়ে বসেছে।মানুষের জীবন মান বদলে যাচ্ছে।
তবে কেনা-বেঁচার এই দুনিয়ায় সব দিক থেকে বিপাকে পরেছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।তারা এই মহামারির সময় না পারছে বাজারে গিয়ে কাজ করতে না পারছে বেশি দাম দিয়ে জিনিস কিন্তে।তারা যেন তাদের জীবন, পরিবার নিয়ে একটা গোল বৃত্তের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছেন।কিছুই যেন তাদের করার নাই।সন্তানের মুখে এক মুঠো ভাত তুলে দেওয়া যেন তাদের এখন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যানি না আমরা আমাদের জীবনের এই কেনা-বেঁচার হিসাবটা ভালো করে করতে পারব নাকি।না হিসাব শুরু আগেই শেষ করতে হবে। জীবনের হিসাবটা যেন শেষ সময় পর্যন্ত রাখতে পারি।যাতে জীবনটা কিছুটা হলেও ভালো রাখতে পারি।আসলে জীবনের মানে টায় কেনা-বেঁচা।
আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার লেখাটা পছন্দ হয়েছে।আমার লেখার মাঝে কোনো ভুল হলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।সবাই ভালো থাকবেন-সুস্থ থাকবেন।আর অবশ্যই সকল স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চলবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য।
Cc:
@rme
@rex-sumon
@hafizulla
@justyy.
ভালো লিখেছেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।