ম্যাচের বাজার করতে যাওয়ার অভিঙ্গতা এবং বাজারের কিছু মূহূর্ত। ||10% beneficiaries @shy-fox. ||
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে যে যেখানে, যেভাবে আছেন, ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় ভালো আছি। আবারও সময়ের কাটা দেখতে দেখতে আপনাদের সামনে চলে আসলাম নতুন, একটা পোষ্ট নিয়ে। আমরা প্রাই সবাই সপ্তাহে কোনো না কোনো দিন বাজারে যাই কিছু কেনা কাটা করতে।সেটা হতে পারে পোশাক কিংবা সবজি। তবে যারা বেশির ভাগ বাজারে গিয়ে কোনো সবজি কেনেন না। মানে বাজারে যান না, তারা যখন বাজারে বাজার করতে যায়। তারা এক ধরনের অসস্থিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিজেকে পার করে নিয়ে যান। আজকে আমি আপনাদের সাথে ম্যাচের বাজার করা নিয়ে আমার নিজের অভিঙ্গতাটা শেয়ার করব। আশা করি আমার আজকের পোষ্টটা পড়লে বুঝতে পারবেন, ছাত্র জীবনে একজন ছাত্র সাফল্যের চূড়াই যাওয়ার জন্য সকল কাজই করে থাকে। আমার পোষ্টের ১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox কে। চলুন শুরু করি আজকের পোষ্টের বিষয় বস্তু------
কথাই বলে, বড় হওয়ার সাথে সাথে দায়িত্বটাও বাড়ে, আর একা থাকার সাথে সাথে নিজের কাজটাও বেড়ে যায়। আমরা ছাত্ররা যখন বাসায় থাকি, তখন যদি আমাদের পিতা-মাতা আমাদেরকে বাজারে যেতে বলে বা বাজার থেকে কোনো জিনিস কিনে আনতে বলে, তখন আমরা তাদের মুখের উপর সরাসরি না শব্দটাকে ব্যবহার করি। তবে সকল সন্তানেরা আবার এমন হয় না। কিন্তু এই হা শব্দটা বলা সন্তানই যখন বাইরে নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, একা পরিবারকে রেখে থাকতে শুরু করে, তখন সব কাজই করতে শুরু করে। তখন আর বাজারে যাওয়ার কথাই না শব্দটা বের হয় না। কারণ, এখন নিজের খাবারটার চিন্তা নিজেরই করতে হবে। না খেয়ে থাকলে কেউ কখনও খাবার খাওয়ার কথা বলবে নানে। তাই নিজেকেই নিজের সকল দিক নজর রেখে পথটা চলতে হয়।
আমি অনেক দিন ম্যাচে না থাকার কারণে বাজার করতে যাওয়া হতো না। আর বাসায় গেলে সব বাজার আব্বুই করে আনে। আমি কখনও তেমন একটা বাজারে বাজার করতে যাই না। আবার আজকে শুরু হলো ম্যাচের বাজার করা। অনেক দিনই হলো ম্যাচে এসেছি। কিন্তু সবাই না থাকার কারণে,ম্যাচে রান্না হতে না। আজকে ১ তারিখ তাই সবাই ম্যাচে এসেছে, আজ থেকে ম্যাচেই রান্না হবে। যেহেতু আজকে মাসের প্রথম দিন তাই আজকে সকালে বাজারে যাওয়া লাগল। আমি এবং আমার এক বড় ভাই সকাল ৯:৩০ দিকে বাজার করার জন্য ম্যাচ থেকে বেরলাম। অনেক দিন পর আমি আজকে ম্যাচের বাজার করতে গেলাম।
বাজারে যাওয়ার সময়
Device: Itel vision 1.
w3w link
এরপর আমরা একটা রিকসা নিয়ে নারিকেল তলা গেলাম। সেখানেই রেলেরা পাশ দিয়ে এবং এনএস রোডপর পাশের জায়গায় বড় বাজার বসে। সব দিনেই এখানে বাজার বসে। এখানে সব চেয়ে বেশি বাজার করতে আসে, ম্যাচে থাকা ছাত্ররা। ভোর থেকেই এই বাজারে খুব ভীর থাকে। একটু দেরিতে গেলে পা দেওয়ার জায়গা থাকে না। এখানে মাছ,মাংস, সবজি সহ সকল প্রকার বাজার পাওয়া যায়। আমরা রিকসা থেকে নেমে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে যাওয়ার সময় লোকের ভীরে যেন পা দেওয়া যাচ্ছিল না। আজকে থেকে সব ছাত্রদের ম্যাচই প্রাই খুলে গেছে, যার জন্য বাজারে একটু বেশিই ভীর ছিল।
বাজারে ঢোকার সময়
Device: Itel vision 1.
w3w link
রাস্তার দুইধার দিয়ে নানা ধরনের ফল সবজি সহ নানা ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রয় করছেন। আমরা বাজারের ভিতরে ঢুকে আগে মসলার দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে আগে সকল মসলাগুলো অডার দিয়ে চলে গেলাম। সবজির বাজারে। বিভিন্ন ধরনের তরকারি কিন্তু। প্রতিটা সবজির দামই খুব বেশি। বাজারে ছিল প্রচন্ড ভীর। আমরা নানা ধরনের কিছু সবজি কিনলাম। আমাদের প্রয়োজন মতো।
সবজির বাজার
Device: Itel vision 1.
w3w link
এরপর আমরা তরকারির বাজার থেকে বেরিয়ে আসলাম। মাংস কেনার জন্য। একটা দোকান থেকে আামরা মুরগির মাংস কিনলাম। এরপর ব্যাগটা মসলার দোকানের কাছে রেখে, মাছের বাজারের দিকে, গেলাম। মাছ কেনার জন্য। কিন্তু মাছের বাজারে গিয়ে দেখি বেশির ভাগই ইলিশ মাছ। অন্য মাছ খুব একটা নাই। যাও বা আছে, তার দামও চাচ্ছে অনেক বেশি। আমরা দুইটা রুই মাছ নিলাম। তারপর সেগুলোকে সেখান থেকেই পিচ পিচ করে কেটে নিলাম। ১৬ পওচ মাছ হলো। বাজার করা প্রায় শেষ।
মাছের বাজার
Device: Itel vision 1.
w3w link
এরপর বাজার করা শেষ। শুধু মসলার দোকান থেকে মসলাগুলো নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। তারপর আমরা চাউলের দোকানে গেলাম।সেখান থেকে ২৫ কেজি বস্তার এক বস্তা চাউল নিলাম। আজকে যেহেতু ম্যাচের প্রথম দিন তাই সব কিছুই কেনা লাগল। প্রাই ২ ঘন্টা বাজার করতে গেটে গেল।এরপর আমরা একটা রিকসা নিয়ে ম্যাচে আসার জন্য বেরলাম।
বাজার করে ফেরার পথে
Device: Itel vision 1.
w3w link
এরপর বাজার নিয়ে ম্যাচে চলে আসলাম। বাজার করা যে কত কষ্টের কাজ, যারা করেছে তাই শুধু বুঝতে পারবে। তাছাড়া ম্যাচে অনেকের বাজার এক সাথে করা লাগে যার জন্য সময় এবং কষ্ট বেশি হয়। যাই হোক কষ্ট হলেও বাজারটা করে নিয়ে ম্যাচ পর্যন্ত চলে আসলাম। অনেক দিন পর ম্যাচের বাজার করতে গিয়ে বেশ ভালো বাজার করার অভিঙ্গতা হলো এবং ঘোড়াও হলো।
অনেক দিন পরে ম্যাচের বাজার করতে যাওয়া কিছুটা মূহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনারা ম্যাচের জীবন সম্পর্কে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন। ম্যাচ জীবন সুখের এবং কষ্টেরও। তবে জীবনে বড় কিছু পেতে হলে ছোট কষ্টটকে মনে করতে নেই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের সুন্দর মতামতটা জানানোর জন্য।
মেসের বাজার করতে যাওয়া টা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয় বলে মনে হয়। কিন্তু কি ই বা করার আছে যেতে তো হবেই। বাজারটা খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে।
হুম ভাই। আমার নিজের ভালো লাগে না যেতে।
ভীষণ দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আমি সবসময় নিজেই বাজার করি। মাছের বাজার করতেও আমার ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
অনেক বড় হয়ে গেছ বন্ধু। এখন তুমি মেসের বাজারও করছ এটা অনেক ঝামেলার একটি কাজ। এতে করে তোমার কিছুটা অভিজ্ঞতা হলো। আমার বাসার বাজার মাঝে মাঝে আমি করি। এবং এই বাজারের জন্য আজ ক্লাসও করতে পার নাই। তোমার জন্য শুভকামনা।
হুম আজকে বাজার করতে গিয়ে অনলাইন ক্লাসটা করতে পারি নাই গো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
🙂🙂
আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা টা সত্যিই ভালো লাগলো আরো বেশি অবাক হচ্ছি যেখানে অনেকগুলো ইলিশ মাছ ছিল ইলিশ মাছ না নিয়ে রুই মাছ নিলেন কেন বুঝলাম না। আমার খুব প্রিয় ইলিশ মাছ নিয়ে আসলে হয়তো আমিও ইনজয় করতে পারতাম ধন্যবাদ আপনাকে এখন থেকে রোজ বাজার করবেন।
আসলে আপু এটা হলো ম্যাচের বাজার। আর ম্যাচের বাজার করতে গেলে একটা নিদির্ষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে বাজার করা হয়। যেহেতু ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই সেটা নেওয়া হলো না। সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মেসের বাজার করার অনেক গল্প শুনেছি। তবে আজকে আপনার কাছ থেকে এভাবে বর্ণনা শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর করে বেশ গুছিয়ে বাজার করার বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই।
আজ অনেক বাজার করেছেন ভাইয়া।ম্যাচে সব বন্ধুরা মিলে বাজার করার মধ্যে একটি আলাদা প্রশান্তি পাওয়া যায় মনে।আজ তাহলে ম্যাচে জমজমাট খাওয়া ও হবে।ম্যাচ জীবন কিছুটা কষ্টের হলেও বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতিবিজড়িত।হয়তো পরে অনুভব হবে ,সেই সময়টি বেশি কষ্টের।এটাই নিয়ম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সকল কথাগুলোই ঠিক বোন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ম্যাচের বাজার করতে যাওয়ার অভিঙ্গতা এবং বাজারের কিছু মূহূর্ত। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনার জন্য শুভকামনা
ধন্যবাদ ভাই।