স্টিমাইট প্লাটফর্মে আমার এক বছর পূর্ণ।||(১০/০৮/২০২০-থেকে-১০/০৮/২০২১).| আমার বাংলা ব্লগ|
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে যে যেখানে যেভাবে, যে অবস্থায় আছেন ভালো আছেন। মানুষ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং তার মেধাশক্তিও বৃদ্ধি পায়। সে নতুন নতুন বিষয়ের সাথে পরিচিতি লাভ করে এবং নিজেকে নতুন ভাবে তুলে ধরার চেষ্টটা করে। একজন মানুষ যখন কোনো বিষয়ের সাথে জরিত থাকে, ধীরে ধীরে সেখানকার পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টটা করতে থাকেন। কাজের মাধ্যমে মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে ওঠা বসা করলে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা এবং বোঝা যায়। যা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি অনেক দিন ধরে এই স্টিমাই প্লার্টফর্মে কাজ করছি। আমার স্টিমাই যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ই আগস্ট। এটা এখন আমার জীবনের একটা অংশ ধরে নিতে পারেন। আজকে এই প্লার্টফর্মে আমার এক বছর পূর্ণ হলো। এই এক বছর ধরে স্টিমাইটের সাথে কাটানো আমার সকল অভিঙ্গতা, মানুষের সাথের পরিচিতি লাভ, নতুন জিনিজ শেখা সহ যত ধরনের কথা এক বছরে আমি আমার জীবনে জানতে পেরেছি সেটা আজকে শেয়ার করব। আশা করি আমার একটা বছর স্টিমাইটে কিভাবে কাটালাম সেটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।চলুন শুরু করি-
স্টিমাইটে আমার প্রথম যাত্রা যেভাবে শুরু?
কথায় আছে কোনো কিছু করতে হলে অবশ্যই তার জন্য প্রয়োজন একটা নিদির্ষ্ট মাধ্যম। যখন সারা বিশ্বে করোনা নামক অদৃশ্য শক্তির কারণে সব জন জীবন কষ্টে দিন পার করছিলেন। তখনই আমাদের কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি ম্যাচ থেকে বাসায় চলে আসি। কিন্তু বাসায় সারাটা দিন থাকতে কারুরই ভালো লাগে না। আমারও লাগত না। তখন আমার স্মাটফোনও ছিল না যে সময়টা কেটে যাবে। কিছু দিন বাসায় থাকার পর, আমি একটা মাধ্যমে @rex-sumon ভাইয়ের সাথে পরিচিতি লাভ করি। আমার একজন পরিচিত শিক্ষকের চাচাতো ভাই হন তিনি। তার মাধ্যমে আমি ভাইয়ের সাথে দেখা করি। এরপর @rex-sumon ভাইয়া আমাকে এবং আমার এক বন্ধুকে এই প্লার্টফর্ম সম্পর্কে সকল বিষয় বলেন। আমার পরিবারিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তাই আমার নিজের লেখা পড়াটা নিজেকেই চালানোর চেষ্টটা করতে হয়।
এই প্লার্টফর্ম সম্পর্কে জানার পর, এখানে কাজ করার ইচ্ছা আমাও জেগে ছিল। কিন্তু ইচ্ছা করলেই তো আর সব কিছু করা হয় না। তার জন্য দরকার হয় কিছু জিনিস।এখানে কাজ করতে হলে প্রয়োজন ছিল একটা ভালো স্মাটফোন বা ল্যাপটোপ। যার কোনোটায় আমার ছিল না। কারণ তখনও আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করতাম না। আর আমার পরিবারের সার্মথ্য ছিল না স্মার্টফোন কিনে দেওয়া। কিছুটা হতাশ হলেও। আলোর দেখা দেখিয়েছিলেন @rex-sumon ভাইয়া।তিনি আমাকে বলেন তুমি বাসায় যাও দেখি আমি কি করতে পারি। এরপর কয়েক দিন পর তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি কিছু টাকা পাঠাচ্ছি সেটা দিয়ে তুমি একটা মোবাইল কিনে আপাতত কাজ করা শুরু করো। তখন আমি নিজে যে কত খুশি ছিলাম, তা আপনাদের বোঝাতে পারব না। @rex-sumon ভাই আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ ছিলেন না। তবুও আমার জন্য যতটা করেছেন এর জন্য আমি সারাটা জীবন ওনার কাছে কৃতঙ্গতা শিকার করছি। তাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এরপর আমি ৭,৫০০হাজার টাকা দিয়ে একটা ফোন কিনি তারপর ভাইয়া আমাকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দেন এবং এখানে কাজ করার সকল নিয়ম কানুন বলে দেন। এখনও আমি সেই ফোন দিয়েই কাজ করি। আমার সকল দিক নির্দেশনা তিনি আমাকে দিয়ে থাকেন। এখন পর্যন্ত যে কোনো সম্যা হলে তিনি তা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টটা করেন। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও তিনি আমার পাশে থাকবেন।
স্টিমাইট প্লার্টফর্মের বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক তৈরি--
আমি আমার স্টিমাইট যাত্রার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অনেক।কমিউনিটিতেই কাজ করেছি। তবে সেখানে হয়ত নিজের মনের ভাষাটা সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারি নাই। কারণ সেখানে মনের ভাবটা ইংরেজির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হতে। যার কারণে অনেক সময় মনের আবেগটা প্রকাশ পেতো না।এভাবেই কাজ করতে করতে আমি "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির" সাথে পরিচিতি লাভ করি। যেখানে আমি আমার নিজের ভাষা বাংলাতে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। আমি কমিউনিটিটা দেখে খুবই খুশি ছিলাম।কারণ নিজের ভাষায় মনের ভাবটা প্রকাশ করতে পারার আনন্দটা অনেক বেশি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিটা @rme দাদা খুলেছেন এবং তিনি এখানে নিজের স্বার্থ ছাড়া সবাইকে সার্পোট দিয়ে যাচ্ছেন। যা অন্য কোনো কমিউনিটি দেয় বলে আমার জানা নেই। এখানে আছেন কয়েকজন মোডারেটর, @hafizullah, @shuvo35, @moh.arif, @blacks, @winkels, @rex-sumon, যারা তাদের মেধা এবং জ্ঞান দিয়ে প্রতিটা সময় প্রতিটা মূহূর্ত আমাদেরকে গাইড করছেন, যাতে আমরা আমাদের প্রতিভাকে প্রকাশ করতে পারি। আমি তাদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আমি সব সময় তাদের সাথে থেকে কাজ করতে পারব। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি দাদাকে অন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এতে সুন্দর একটা কমিউনিটি পরিচানলা করার জন্য।
স্টিমাইট প্লার্টফর্ম থেকে মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি.!
এই প্লার্টফর্মে কাজ করার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমি বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছি। তাদের জীবন জীবিকা সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি। আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুসের সাথে, যারা বড় বড় পেশায় কর্ম রত আছেন তাদের সাথে কাজ করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। এখানে সব ধরনের পেশার মানুষই কাজ করেন। তাদেরকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না, একজন মানুষ শুধু একটা বিষয়ে অভিঙ্গতা থাকলেই হবে না। চেষ্টটা করতে হবে নানা ধরনের অভিঙ্গতা নিজের জীবনে আয়ত্ত করা। নানা পেশার মানুসের সাথে নিজেকে জরাতে পেরে আমি খুশি।
স্টিমাইট প্লার্টফর্ম থেকে নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান লাভ-
এখানে কাজ করার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমি সব সময় অন্যদের কাছ থেকে নতুন নতুন বিষয় প্রতিনিয়ত শিখতে পারছি। নিজের জ্ঞানটাকে বৃদ্ধি করতে এটা আমার খুবই উপকার করছে। বিভিন্ন ধরনের মানুষের অভিঙ্গতাও বিভিন্ন রকম। সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের সবার জন্য জরুরি। আমি এখানে যেমন অন্যের সৃজনশীলতাকে দেখে নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারছি। ঠিক তেমনই আমার যতটা সৃজনশীলতা আছে সেটা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে পারছি। আমি সব সময় চেষ্টটা করে।যাচ্ছি যাতে প্রতিটা সময় নতুন নতুন কিছু নিয়ে কাজ করার এবং সব সময় আমার পোষ্টের কোয়ালিটিগুলো বৃদ্ধি করার জন্য। আশা করি আমি সামনে আরও অনেক কিছু শিখবো এবং মানুষকে শেখানের চেষ্টটা করব।
স্টিমাইট থেকে আয় করা অর্থ আমি যে কাজে ব্যয় করি?
আমি এতোটা দিন এখানে কাজ করে যতটা আয় করেছি, তার বেশির ভাগই আমার পড়াশুনার কাজে ব্যয় করেছি।আমি এজন্য স্টিমাইট প্লার্টফর্মকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে আমি এখান থেকে আয় করে আমার লেখাপড়াটাকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিতে পারছি, । আমি এর মাঝে মাঝে আমার বাসাও কিছুটা অর্থ দেওয়ার চেষ্টটা করি। আশা করি আমার সামনের পথ চলায় স্টিমাইট আমাকে আরও সাহায্য করবে। যাতে আমি সামনে আমার লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।
সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায় স্টিমাইট প্লার্টফর্ম,-
এখানে যারা কাজ করেন তারা সকলেই চেষ্টটা করেন তাদের সৃজনশীল চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করার। স্টিমাইট প্লার্টফর্ম মানুষের সৃজনশীল শক্তিকে আরও বারিয়ে তোলে। আমাদের বাল্য কালকে মনে করিয়ে দেয়। বিভিন্ন সৃজনশীল কর্ম কান্ডের মাঝে। যা যা দক্ষতা আছে সেটা এখানে প্রকাশ করা যায় খুব সহজে। নিজের জীবনের পিছনে হারিয়ে যাওয়ার সময়টাকে মনে করি দেয় স্টিমাইট প্লার্টফর্ম।
স্টিমাইটে আমার একটা বছর যেভাবে কাটলো?
একটা বছর আমি স্টিমাইটে খুব আনন্দের সাথে এবং মজা করে কাটিয়েছি। এখান থেকে আমি সব সময় নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছি। বিভিন্ন সময় আমি বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলেছি তাদের পোষ্ট পরে তাদের অভিঙ্গতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। দিনের সময়টা আমি অন্য কাজে না ব্যয় করে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমি এখানে কাজ করেছি। যার ফলে সময়ের সঠিক ব্যবহার করা হয়। যেটা আমাদের সবার করা উচিত। আশা করি সামনের যতটা দিন আমি নিজেকে এই প্লার্টফর্মের সাথে যুক্ত রাখতে পারব, তত দিন আনন্দে মজায় সবার সাথে আমার দিনটা, সময়টা ভাগ করে নিতে পারব। স্টিমাইট এখন আমার চলার সাথী। দিনের শুরুটা এবং রাতের শেষটা হয় স্টিমাইট দিয়ে।
আমি আমার একটা বছর স্টিমাইট যাত্রা থেকে হওয়া অভিঙ্গতা এবং নিজের ব্যক্তিগত কিছু কথা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যদিও আমি সকল বিষয়গুলো ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই। আশা করি তবুও আপনারা আমার স্টিমাইট যাত্রাটা সম্পর্কে সকল বিষয় জানতে পারলেন এবং এটা আমার জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে তাও বুঝতে পেরেছেন। আশা করি আপনাদের সকলের আর্শীবাদে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। সবাই ভালো থাকবেন-সুস্থ থাকবেন। আপনার স্টিমাইট যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতোটা সময় ব্যয় করে আমার স্টিমাইট যাত্রার একটা বছরের কাটা কিছু অভিঙ্গতা এবং নিজের ব্যাক্তিগত কিছু কথা নিয়ে লেখা পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।
তোমার আগামীর পথচলা আরও শুভ হোক। এক বছর পূর্তিতে তোমাকে শুভেচ্ছা জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভ কামনা।❤️
ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।আরো বহূদুর এগিয়ে যান🥰
ধন্যবাদ।
সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া আপনার আজকে স্টীমে ১বছর পুর্ন হলো আপনাকে অভিনন্দন,লেগে থাকুন সফলতা আসবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া 🥀
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার জন্য শুভ কামনা।
অসাধারন লিখেছেন। আপনার এই পথ চলা আরো অগ্রগামী হোক।শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর লিখেছেন।একবছর পূর্তিতে আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমাদের মিষ্টি পাওনা রইলো ভাইয়া।আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরে ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাসায় চলে আসেন। শুধু মিষ্টি না আরও অনেক কিছু রান্না করে খাওয়াবোনে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর গঠনমূলক কমেন্ট করার জন্য।
ভাইয়া, আপনি রান্না ও করতে পারেন বুঝি?তাহলে কমিউনিটির সবাই মিলে একদিন যাবোখনে আপনাদের বাড়ি।
হুম বোন পারি, তবে বেশি কিছু রান্না করতে পারি না। আসলে ম্যাচ থাকার কারণে অনেক রান্না শিখে গেছি। যখন ম্যাচের খালা রান্না করতে আসত না, আমরা নিজেরাই রান্না করে খেতাম।
অবশ্যই কমিউনিটির সবাইকে খাওয়াবো। ধন্যবাদ বোন।
ভালো লিখেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ।
বাহ!! পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।