ছাত্র জীবনে ম্যাচে রান্না করার প্রথম অভিঙ্গতা (নুডুলস রান্নার রেসিপি)||10% beneficiaries @shy-fox. ||
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আবারও চলে আসলাম নতুন একটা পোষ্ট নিয়ে। ছাত্র জীবন মানেই কলেজে উঠছে ম্যাচে থাকা, ম্যাচে পড়াশুনা করা। কখনও ম্যাচে খাবার রান্না হয় তো কখনও হয়না। এজন্য ছাত্ররা নিজেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খারাবার রান্না করে খেয়ে থাকেন। ছাত্র জীবনে ম্যাচে রান্না করার প্রথম দিনের অভিঙ্গতা নিয়ে আজকে আমি কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগব এবং ম্যাচের জীবন সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। আমার পোষ্টের ১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox কে। চলুন শুরু করি আমার আজকের পোষ্টটা-
কথায় আছে, ছাত্র জীবনে কষ্ট,ত্যাগ শিকার না করলে সফলতার চুড়াই পৌছনে যায় না। কলেজে ভর্তির পর থেকেই আমি ম্যাচে থাকা শুরু করি। তবে আমি প্রায় ২ বছর হলো ম্যাচে থাকি। কোনো দিন ম্যাচে নিজে নিজে রান্না করে খাবার খাই নাই। কিছু দিন হলো আমি একটা নতুন ম্যাচে উঠেছি। সেখানে প্রায় ১৫ দিন মতো আমি একাই ছিলাম। খাবার আমার বোনের বাসা থেকে নিয়ে আসতাম।এরপর কয়েক দিন হলো আমার এক বড় ভাই আসছেন ম্যাচের। কালকে হঠাৎই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা দুইজনে মিলে ম্যাচে কিছু একটা খাবার রান্না করে খাব। তো যেহেতু ম্যাচে কিছু নামই শুধু গ্যাস ছাড়া তাই আমরা নুডুলস রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আমার আপার বাসা থেকে কিছু কাচা মরিচ আনলাম আর ম্যাচে পেয়াজ এবং একটু তেল ছিল। সেটা দিয়েই রান্নাটা শেষ করব।
আমরা বিকালে আসরের নামাজ কালাম শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে রান্নার কার শুরু করলাম। আমি এর আগে কখনও ম্যাচে নিজে নিজে রান্না করি নাই। তাই বেশ মজাই লাগছিল। রান্নার টার বেশির ভাগ আমি করেছি। বড় ভাই শুধু একটু হেল্প করেছিল। চলুন রান্নাটা কিভাবে করলাম দেখা। যাক এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে নুডুলস রান্নার রেসিপিটা দেখানোর চেষ্টটা করব। চলুন শুরু করি আমার প্রথম ম্যাসে রান্না করা রেসিপি-
জীবনের প্রথম ম্যাচে রান্না করা খাবার(নুডুলস).
উপকরণ-
১। লুডুলস ২ প্যাকেট।
২।ডিম ২টা।
৩।পেয়াজ।
৪।মরিচ।
৫।লবণ
৬।সোয়াবিনেত তেল।
প্রথম ধাপ-
প্রথমে আমি পেয়াজ এবং মরিচগুলো কেটে নিলাম। তবে পেয়াজ কাটার সময় আমার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরছিল। কারণ পেয়াজের ঝাজ আমার সয্য হয় না। এখানে ডিম বাদের অন্য কিছু ব্যবহার করা হয় নাই। তবে এর সাথে সোসা, গাজর, চিংড়ি মাছ, আরও বিভিন্ন জিনিস দিলে খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টি কর হয়। আমি যেহেতু ম্যাচে রান্না করেছি তাই শুধু ডিম ব্যবহার করেছি।
দ্বিতীয় ধাপ-
এরপর আমি গ্যাসের উপর করাইতে পানি দিয়ে দিলাম। করাইটা অনেক বড়। বড় ভাই আমার কাজে সাহায্য করলেন।
তৃতীয় ধাপ-
পানিটা গরম হলে তার মধ্যে দুই প্যাকেট নুডুলস ঢেলে দিলাম। এরপর কয়েক মিনিট ধরে তাপ দিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। বেশি সিদ্ধ করা যাবে না। তা না হলে রান্না করার সময় সব ঘোন্ট হয়ে যাবে। তাই একটু শক্ত শক্ত রাখতে হবে।
চতুর্থ ধাপ-
এরপর করাই থেকে নুডুলসটা নামিয়ে একটা ছাকনি দিয়ে গরম পানিটা ছেকে নিলাম। তারপর বড় ভাই ট্যাপের ঠান্ডা পানি দিয়ে নুডুলসটা ঠান্ডা করে নিলেন।
পঞ্চম ধাপ-
এবার আমি আবার গ্যাসটা অন করে কড়াইটা চুলার উপর দিয়ে তাতে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হলে পেয়াজ এবং মরিচ কাটাগুলো ঢেলে দিয়ে ভালো ভাবে নাড়তে শুরু করলাম।
ষষ্ঠ ধাপ-
কিছুটা সময় নাড়ার পর এতে দুইটা ডিম দিয়ে খুব ভালো ভাবে ভেজে নিলাম। এতে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে নিতে হবে।
সপ্তম ধাপ-
মসলা এবং ডিমটা কিছুটা সময় নাড়ার পর সিদ্ধ নুডুলস ঢেলে দিয়ে কিছুটা সময় খুব ভালোভাবে নাড়া চাড়া করতে হবে।
অষ্টম ধাপ-
সবার শেষে নুডুলস এর যে মসলাটা থাকে সেটা দিয়ে খুব ভালোভাবে নামিয়ে নিলাম। হয়ে গেল আমার আজকের নুডুলস রান্না।
জীবনের প্রথমবার রান্না করা খাবার ম্যাচের। এরপর খাবারটা নিয়ে এসে আমি এবং বড় ভাই প্লেটে তুলে নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। প্রথম রান্না হিসেবে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগছিল। নতুন একটা অভিঙ্গতা হলো আমার,।ম্যাচে রান্না করার। তবে আমি আর চাই না ম্যাচে রান্না করে খাওয়ার। কারণ এটা অনেক কষ্টকর ব্যাপার।
আমি এবং বড় ভাই
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনের নতুন একটা অভিঙ্গতার সাথে সাথে সহজ একটা রেসিপি শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা দেখার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।
রান্না করতে পারেন না, তবুও চেষ্টা করেছেন। সেই হিসেবে রান্না মন্দ হয়নি। আপনার প্রথম রান্না করার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
ভাইয়া এটা নুডুলস নাকি সেমাই কিছুই বোঝা যাচ্ছে না তবে চেষ্টা করেছেন ভালোই। আগামীতে আরো ভাল হবে ইনশাআল্লাহ্
😥😂 কি আর বলব, আপু, জীবনের প্রথমবার ম্যাচে রান্না করলাম। পরে ঠিক হয়ে যাবেনে।
জীবনের প্রথম রান্না বলে কথা স্মরণিয় করে রাখতেই হবে, তবে এটা আমার কাছে নুডুলস কম সেমাই বেশি লাগতেছে। যাই হোক পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ আপনি রান্না শিখে যাবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।
হুম ভাই চেষ্টটা করে যাচ্ছি।ধন্যবাদ।
শুভকামনা
হায়রে নুডুলস ভাই,মেসে যদি খালা না আসে আর যদি খালা না পাওয়া যায় তাহলে কষ্টের সিমাও থাকে না। তবে রান্না টা মনে হয় ভালোই হইছে এক প্লেটে যে হারে নুডুলস নিছেন তাতো মনে হয় থাক ভাই আর বললাম না😁😁😁
যাইহোক,চেষ্টা করেছেন এটাই অনেক কিছু, পরর্বতীতে আরো ভালো হবে আশা রাখি
ধন্যবাদ ভাই,
নুডুলস টা দেখতে তো ভালোই লাগছে। একদিন তোমার হাতের নুডলস রান্না খাব কিন্তু। আর অনেক দূর এগিয়ে যাও। তোমার রান্নার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
একদিন খেলে পরের দিন বলবানে, আর খাবো না।
আমি তাও খাব।
ওকে খাওয়া বোনে।
ক্লাস ৬ এর ঘটনা।প্রথমবার নুডুলস বানাতে গিয়ে ডিমের খোসাও ফেলে দিছিলাম।স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
চেষ্টা ভাল করেছেন। একদিন এমনি ঠিক হয়ে যাবে
ধন্যবাদ ভাই।
আমার লুডুস অনেক পছন্দের,অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
ভাইয়া, এটি দেখে সিমুই মনে হচ্ছে।তবে আপনার রেসিপি দেখে আমার এখন নুডুলস খেতে ইচ্ছে করছে।খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ বোন।
আপনার রান্না টা অনেক সুন্দর হয়েছে। আজ আমি নুডুলস কিনে এনেছি কাল রান্না করবো। আপনার পোস্ট দেখে দেখে কাল ট্রাই করবো।♥️♥️♥️♥️
ধন্যবাদ।
খুবই জনপ্রিয় ও লোভনীয় রেসিপি। খুব সুন্দর উপস্থাপনার সাথে শেয়ার করেছেন। শুভেচ্ছা অবিরাম ভাই।
ধন্যবাদ।