বন্ধুদের সাথে কাটানো মুূহূর্তটা আর ফিরে আসবে না.....!||১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox. কে।||
❤️আসসালামু আলাইকুম,
🌾সবাইকে স্বাগতম🌾
০৫ আগস্ট, ২০২১.
মঙ্গলবার ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার দয়ায় অনেক ভালো আছি। বন্ধুত্ব সম্পর্কটা কখনও ভোলা যায় না। তাদের সাথে কাটানো সেই মুহূর্ত গুলো কখনও ভোলা যায় না। যখন বাসায় থাকতাম, বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করতাম, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। যেতে না চাইলেও তারা জোর করে নিয়ে যেতে। গ্রামে বন্ধুদের সাথে কাটানো একটা বিকেলের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
↘️চলুন শুরু করি-↙️
সময়টা ছিল শীতকাল। করোনার কারণে যখন দেশের সকল কিছু প্রাই বন্ধের মুখে,তখন আমাদের কলেজও বন্ধ করে দেয়। যার কারণে, ম্যাচ তেকে আমি বাসায় চলে আসি। কারণ, করোনার কারণে কুষ্টিয়া শহরের বেশির ভাগ ম্যাচগুলোই বন্ধ হয়ে গেছিল। বাসায় গেলে হয় কি, বিকেলের সময়টা অনেক আনন্দের সাথে কাটানো যায়। বাড়ীর বাইরে যেতে না চাইলেও বন্ধুদের তোড়জোড়ে তাদের সাথে বেড়নো লাগে ঘুরতে। যদিও আমারও ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। শীতের মৌসুমে বাঙালিরা নয় শুধু আরও অনেকে ঘুরতে পছন্দ করে। আমার বন্ধুরা একদিন বিকালে আমাকে ফোন দিয়ে বলে রেডি হয়ে রাস্তার উপর এসে দাড়াও। আমি তখনও বুঝতে পারি নাই, কেন বললো রেডি হতে। আমি ওদেরকে বললাম, কেনো? উত্তরে বললো বাইরে ঘুরতে যাব। আমি বললাম, তোমারাই যাও,, তখন বললে না তোমাকেও যেতে হবে। কি আর করার আমিও রেডি হলাম।
রাস্তার উপর দাড়াতেই ওরা এসে হাজির। আমাদের বাড়ী থেকে কিছুটা দূরে ছিক ওদের বাড়ী। আমরা প্রথমে হাটতেঁ হাটতেঁ নদীর তীরে গেলাম। আমাদের গ্রাম থেকে কিছুটা দূর হাটতে নদীর তীরে অনেকটা জায়গা জুরে বালির চড় পাওয়া যাবে। এখানে নদী কেটে বালি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে। যার কারণে এখানে পানি ওঠে না। আমরা সবাই হাটতেঁ হাটতেঁ সেখানে গেলাম। তবে আমরা সেখানে দাড়াই নাই। সেখান দিয়ে আমরা হেটে আরেকটা জায়গায় যাব। যার জন্য কোনো দাড়ানো হয় নাই।
Device: Samsung.
w3w link
আমরা অনেকটা দূর হাঁটার পর একটা জায়গায় দারালাম। সেখানে একটা সুন্দর সবুঝ ঝোপ ছিল। সেখানে দাড়িয়ে আমার বন্ধুরা সবাই ছবি উঠলো। আমিও ছিলাৃ সেখানে। নদীর ধারের উঁচু পাড়িতে লাগানো হয়েছে কলা গাছ। বালির চরে হয়ে আছে সুন্দর কাশঁবন। যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল। আমরা কিছুটা সময় সেখান দিয়ে হেটে নতুন জায়গায় গেলাম।
Device: Samsung.
w3w link
এরপর আমরা সামনে কিছুটা দূর যেতেই সন্ধা নামতে শুরু করলো। সন্ধার আকাশে সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে গেল। তখন যেন নদীর ধারে প্রকৃতিটা আরও একটু বেশি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছিল। আমি আবার সূর্য ডোবার মুহূর্তটাকে ধরে রাখতে একটা ছবি উঠলাম। যদিও ছবিটাতে আমাকে বেশির ভাগই কালো দেখা যাচ্ছিল। কারণ সূর্যের আলো আমার মুখে লেগেছিল।
Device: Samsung.
w3w link
সন্ধার দিকে আমরা হাটা শেষ করে একটা চায়ের দোকানে গেলাম। সেখানকার দুধ চা খুব নাম করা। আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে দোকানটা। আমরা অনেকটা পথ হেটে সবাই মিলে সেখানে গিয়েছিলাম। বেশ ভালোই মজা করেছিলাম, বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই মুূহূর্তটা। কিন্তু এখন ইচ্ছা করলেও সেভাবে বন্ধুদের সাথে আর ওভাবে সময় কাটানো যাবে না। যাই হোক ঘুরাঘুরি শেষ করে আমরা রাত ৯ টার দিকে বাসায় চলে এসেছিলাম। বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই সময়টাকে এখন ম্যাচের চার দেওয়ালের মাঝে বসে থেকে মনে পরে। বাসায় থাকলেই প্রতিদিন বিকেলে বেরুতাম ঘুরতে। কিন্তু এখন আর বিকাল হলেই ঘুরতে যাওয়া হয়। সময়টাকে খুব মিস করি। আবারও যদিও। আগের মতো ঘুরতে পারতাম।
যাই হোক,,,, গ্রামের বন্ধুদের সাথে কাটানো কিছু স্মৃতি, পুরানো অ্যালবাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।
আমার পরিচয়
আমি মো:রাসেল আহমেদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় পর্বে অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে এবং যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
সত্যি সময়গুলো অনেক ভালো ছিল। আমিও আমার বন্ধুদের সাথে গত শীতের ঘটনাগুলোকে মিস করি। খুব ভালো লিখেছ। তোমার জন্য শুভকামনা।।
ধন্যবাদ তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে সব হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত গুলো অনেক সুন্দর লিখেছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।