ভুলের স্বর্গে বসবাস করছি না তো? (10% beneficiaries for @shy-fox)
প্রিয় বন্ধুগন,
"আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম-আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন,আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজকে আমি যে বিষয় টি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি তা হলো-"আমরা ভুলের স্বর্গে বসবাস করছি না তো?" ভুল আমাদের জীবনে কতটা ক্ষয়ের কারন তা আমরা মোটামুটি সবাই ধারনা রাখি। আর আজকে সে বিষয় নিয়েই কিছু বলতে চাই, চলুন শুরু করা যাক...
ভুল সিদ্ধান্ত
ভুল সিদ্ধান্তের ফলে মানষিক দুশ্চিন্তা
ভুল মানুষের জীবনে হয়েই থাকে, ইচ্ছা করে কেউই করে না। সেক্ষেত্রে এই ভুলের কারনে কারও ক্ষতির পরিমান টা অনেক বেশি কারও বা কম। আমি বলবো এই সময়টাতে ভুল ভেবে নিজেকে অনেক দুশ্চিন্তায় না জড়িয়ে সেখান থেকে কিভাবে দ্রুত বেরিয়ে আসা যায় সেইটা ভাবা টায় সমীচীন। এছাড়া উপায় কি? দুশ্চিন্তা করে শুধুমাত্র নিজের ক্ষতি, কোনো লাভ নেই এতে। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের নিজের কর্মের উপর এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের ভুলগুলো নিজেকেই শুধ্রিয়ে নিতে হবে। দুশ্চিন্তা দিতে পারে শুধু মাত্র আপনার ক্ষতি, দুশ্চিন্তা পারে না সাহায্য করতে কোনো ভালো সিদ্ধান্তে। হ্যা বলতেই পারি যে, দুশ্চিন্তা তো আর ইচ্ছা করে করি না,দুশ্চিন্তা আপনা আপনি মাথায় আসে। আমি তো চাই না দুশ্চিন্তা করতে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো-যখন আপনার দাড়া ঘটিত বড় কোনো ভুলের কারনে আপনার ক্ষতি হয়েছে,আপনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনি এমন টা ভাবতে পারেন যে এর চাইতেও তো বড় কোনো ক্ষতি হতে পারতো আমার, নিজে নিজেই ভাবুন বড় বড় ক্ষতির কথা, ভেবে চিনতে নিজেই নিজেকে বড় ভুল ও ক্ষতির মুখে ফেলুন এবং কিছুক্ষন পর ভাবুন সত্যিকারের এমন টাও তো হতে পারতো আমার সাথে। সেই তুলনায় বর্তমান ক্ষতি কিছুই না। আর এভাবেই নিজের মন কে শান্তনা দেয়া যায়। আর হ্যা সবচেইয়ে বড় সমাধান হলো-আপনার নিজেকে সামলানো, নিজেকে যদি সাবধান রাখেন, হুটহাট সিদ্ধান্ত থেকে যদি নিজেকে দূরে রাখেন, দেখবেন আপনার সব ভুল অনেকাংশে কমে যাবে।
মানষিক শান্তি
দিন শেষে একটা মানুষের একটু মানষিক শান্তি আর সুখেরই প্রয়োজন হয়। আসলে কোনো সমস্যায় থাকলে বোঝা যায় একটু মানষিক শান্তি আসলে কতখানি শান্তি। বিপদে পড়লেই বোঝা যায় আগে কতটা ভালো ছিলাম সুখী ছিলাম। দুই দিনের এই দুনিয়ায় এত চাহিদা দিয়ে কি হবে, স্বপ্নগুলোকে যদি আমরা ছোট ছোট করি তাহলে আমাদের সহজেই স্বপ্ন পূরন হবে এবং সহজেই স্বপ্ন পূরনের স্বাদ পেয়ে যাবো, যার ফলাফল মানষিক শান্তি ও সুখ । কিন্ত বাস্তব জীবনে কি তাই হয় আমাদের ক্ষেত্রে? আমাদের ক্ষেত্রে তো,আচ্ছা আমাদের কথা বাদ দিলাম। শুরু করলাম যারা সমাজে ধনী, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তাদের আরও ধনসম্পদ চাই আর এসব নিয়ে তাহারা দুশ্চিন্তায় থাকে, এখানে বলে রাখা উচিৎ সবার মন মানষিকতা খারাপ না সব ধনি ব্যাক্তি খারাপ না। তো বিশেষ করে যাদের মন মানষিকতা এমন,যাদের আরও শুধু চাই আর চাই,তারা কি আসলেই সুখী? একটু আশেপাশে খোজ নিলেই পাওয়া যায় খবর,তাদের রাতে ঘুম হয় না, শান্তির ঘুম নেই তাদের ধন সম্পদের টেনশনে। তাহলে সুখী আসলে কারা? সার্বিকভাবে সুখী তারাই,যাদের অল্পতেই সন্তুষ্টি আছে, যাদের চাহিদা কম,যাদের প্রয়জনের তুলনায় বেশি চাওয়ার অভ্যাস নেই, এরাই মূলত সুখী।
মধ্যবিত্ত প্রানী
আমরা মাঝের অবস্থায় যারা আছি তাদের অবস্থা বলি একটু, আমরা সমাজে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে খুব ভালো বয়ান দিতে গিয়ে বলতে পারি যে কোনো কাজই ছোট না। কিন্ত আমাদের সাথে আসলে যা ঘটে তা হলো, আমরা না পারি গিয়ে ক্ষেতে কাজ করতে, না পারি গিয়ে রিক্সা চালাতে,আত্মসম্মানে লাগে। আবার মামা খালু চাচা না থাকার কারনে যোগ্যতাসম্পন্ন সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও বারবার ভাইভা বোর্ডে শুনতে হয় আপনি- আসতে পারেন,আপনাকে আমরা জানাব। না পারি দু বেলা শান্তি করে খেতে, না পারি সেই দুঃখের কথা কাউকে শেয়ার করতে । আমরা হলাম সেই মধ্যবিত্ত মাঝের সারির লোক। হাহাহাহা জীবন টা কিন্ত বড়ই উদ্ভ,ভয়ংকর,সেটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের। এখানে ভাগ্যের দোষ না দিয়ে নিজের পরিশ্রমের গাফিলতি ভাবা টা শ্রেয়। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আমার মনে তারায় বেশি খারাপ কপাল নিয়ে জন্মায়। বেশিরিভাগ দের কথা বলছি। যত সমস্যায় থাকুক না কেন এদের মুখে হাসি রাখতে হবে,আর সমাজ এভাবেই তাদেরকে ডিরেক্টলি কিংবা ইনডিরেক্টলি ফোর্স করে যাচ্ছে। কিচ্ছু করার নেই হাসিমুখে অনেক কিছু হজম করার মতো ক্ষমতা থাকতে হয়।আর তাই আমি এদেরকে মধ্যবিত্ত প্রানী বলি
সর্বশেষ
একটা কথায় বলতে চাই- ভুলের সাথে বসবাস না করে নিজের ভুল কে স্বীকার করে ভুল থেকে বেরিয়ে আসি আমরা,তাতে পরবর্তীতে বেঁচে থাকলেও সুখী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভুলের মধ্য কোনো শান্তি নেই,কোনো সুখ নেই।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন, আমরা ভুল কে চিহ্নিত করে তা শোধরানোর চেষ্টা করে আমাদের জীবনকে আনন্দময় করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জীবনে মানসিক শান্তি প্রশান্তের খুবই প্রয়োজন। কিন্তু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মানসিক শান্তি প্রশান্তি দুটোই আমাদের জীবন থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার। জন্য আসলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ভালোমতো বিচার বিবেচনা না করে ভুল পদক্ষেপ নিলে পরবর্তীতে নিজেকেই পস্তাতে হয়। আমাদের সকলেরই উচিত ভালো করে চিন্তা-ভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সামনে এগিয়ে চলা। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবধর্মী একটি লেখা শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফোনে কোন সমস্যা থাকলে সেটা ফেলে দেওয়া টা অবশ্যই সমাধান নয় বরং এটাকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ঠিক করতে পারি। আসলে আমাদের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত এবং রাগ অনেক বেশি ক্ষতিকর। আপনি বিষয়টি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেনভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চাহিদাকে যত সংকীর্ণ করা যায় সুখের পরিধি ততই বৃদ্ধি পায়। শান্তির ব্যাপারটা আসলে আত্মিক, এটার সাথে দুনিয়ার বস্তুবাদী জিনিসপত্র অতপ্রত ভাবে জড়িত নয়। তাছাড়া শান্তি আর রাগ তো কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। এজন্যই বলা হয় সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে তার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ চিন্তা করে নেয়া উচিত, পদক্ষেপ নেয়ার পরে চিন্তা করা উচিত নয়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া, একদম বাস্তববাদী। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।