স্মৃতিচারণ। (10% beneficiaries for @shy-fox)
প্রিয় বন্ধুরা,
"আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি ইনশাল্লাহ সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত ভালো আছি। আজকে বিকেল থেকে আনমনে বসে ছিলাম আমার বাসার ছাদে। অনেক চিন্তা ভাবনা,আগের দিনগুলি মনে পড়তেছিলো। কাছে মোবাইল ফোন টাও নেই যে আগের দিনের বিভিন্ন ছবিগুলো দেখবো। তাই চলে আসলাম আমার রুমে,বসলাম পিসিতে,শুরু হয়ে গেলো আগের দিনের তোলা ছবি খোজা। পেলাম না, তবে বেশ কিছুদিন গত হওয়া ছবিগুলো পেলাম,যখন গ্রামে ছিলাম। যাই হোক, চলুন দেখাই আজকের খুজে পাওয়া ছবিগুলো...
চলুন দেখে আসি
ডিভাইসঃGoogle nexus5
গ্রামের ধানের জমি
ডিভাইসঃGoogle nexus5
এটি গ্রামের ধানের জমিতে যখন প্রথম ধান গাছ লাগিয়েছে তার কয়েকদিন পর তোলা। রাস্তার পাশ থেকেই তুলেছিলাম। ছবিটা তুলেছিলাম ১৩ মার্চ ২০২০ রোজ শনিবার। আমি ওইদিন সম্ভাবত বাজারে যাওয়ার সময় তুলেছিলাম মনে আছে আমার। আর হ্যা গ্রামের ছেলে হওয়ায় আমি সব কাজই আমি মোটামুটি পারি আর এই ছবি উঠানোর কয়েকদিন আগে আমি ও ধান লাগিয়েছিলাম জমিতে। এখন এই বন্দী জীবনে এসে মনে হয় আগের দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিলো, অতীতগুলো ছিলো সোনালী।
গ্রামের নতুন রাস্তার কাজ
ডিভাইসঃGoogle nexus5
এই ছবিটি সংগ্রহ করেছিলাম উপরের ওয়ি ছবি উঠানোর কয়েকদিন পর। খুব ভালো লাগার একটা সময় ছিলো ওই সময় টা। কারন বহুদিন পর আমাদের গ্রামের মানুষের চলাচল সুবিধার জন্য নতুন রাস্তা হচ্ছিলো। প্রতিদিন বিকেল করে আমরা কয়েকজন এই রাস্তা ধরেই হাটতাম, প্রকৃতি উপভোগ করতাম। আসলেই প্রকৃতি অনেক সুন্দর। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর কাচা মাঠির গন্ধ আমাদের ভালোবাসায় আগলে রাখে সবসময়। খুব সুন্দর মিস অতীত হয়ে যাওয়া সময়গুলো।
সারারাত বর্ষা শেষে সকালের গ্রামের নতুন রাস্তা
ডিভাইসঃGoogle nexus5
ছবিটা তুলেছিলাম আমার গ্রামের রাস্তায়।সেদিন ছিলো বুধবারের দিন সকাল বেলা। আমি হাটতে বের হয়েছিলাম। সারা রাত ঝুম বৃষ্টি হয়েছিলো আগের রাতে।ঠিক শেষ রাতের দিকে বৃষ্টি থেমেছিলো,গ্রাম অঞ্চল তো, তাই বিদ্যুৎ ছিলো না টানা ৩ দিন। আমার খুব পরিষ্কার মনে আছে কারন এই বছরেই ছবি উঠানো এইটা। ১১ ই আগষ্ট রোজ বুধবার। বর্ষাকাল শেষে এখন শীতকাল,আর এই সময় এসে গত হওয়া সময়ের ছবিগুলো দেখতেই ভালোই লাগছে। সাথে মনে পড়ছে আগের দিনের অনেক কথা যখন চট্রগ্রাম থেকে চাকুরী ছেড়ে এসে বেকার অবস্থায় কিছুদিন নিজ গ্রামে ছিলাম সবার সাথে।
আমার গ্রামের ভেতরে রাস্তার দৃশ্য
ডিভাইসঃGoogle nexus5
সময় টা তখন কেমনজানি বিষন্নতায় ঘেরা ছিলো। সারাদিন বাসায় একা থাকতাম। প্রচন্ড রোদ গরম ছিলো,রাস্তায় ধুলোবালু ছিল,বাতাস ছিলো প্রচন্ড আর কয়েকদিন পর পর একটু একটু বৃষ্টি। অনেক টা বিষন্ন অবস্থায় গ্রাম থেকে ফিরে এসেছিলাম। কিছু ভালো লাগতেছিলো না সেই সময়টাতে আমার। ছবিটা দেখে বোঝায় যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এই ছবিতেও বিষন্নতার একটা ছাপ লেগে আছে। তবুও এখন এসে মনে হয় আমার আগের সময়গুলো ছিলো অনেক সুন্দর। এখন যে খারাপ আছি তা না, এখনো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। গ্রামের সেই পরিবেশ,প্রকৃতি খুব করে টানে আমায়, খুব যেতে মন চায় কিন্ত যাই না ইচ্ছে করেই। অনেক টা বিষন্নতা আর অভিমান করে এসেছিলাম এই ইট পাথর আর কঙ্ক্রিটের শহরে।সবসময় লড়ায় করে যাচ্ছি একটু ভালো থাকার আশায়,সবাইকে ভালো রাখার আশায়। সময় এর সাথে সাথে বয়স টাও বেড়ে গেছে তাই তো দায়িত্ব নিতে হয়েছে নিজের পরিবারের। এটি আফসোস কিংবা চাপের কিছু না আমার কাছে, ভালো লাগে। যখন পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি খুবই ভালো লাগে।
আজকে অনেক কিছু মনে পড়ে গিয়েছিলো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। লিখতে বসে আরও অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো।
যাই হোক,
ভালো থাকবেন সবাই,ভালো থাকার চেষ্টা করবেন। আর হ্যা নিজের আর নিজের পরিবারে খেয়াল রাখবেন সবসময়।
গ্রামের বাড়ির স্মৃতিময় দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল। সেই সঙ্গে গ্রামের রাস্তার ধানক্ষেত খরগোশ সবকিছুরই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারছি গ্রামে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি, যা এখন সবই অতীত। আমারও এই বন্দি ইট-বালির শহরে খুবই বিরক্ত লাগে মাঝে মাঝে। ছোটবেলায় নানি বাড়িতে গিয়ে কাটানো দিনগুলোর কথা বেশ মনে পড়ে। মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো, বন্ধুদের সাথে সিম পুড়িয়ে খাওয়া, ছোটখাটো খিচুড়ি পিকনিক সবাই এখন স্মৃতির পাতা মাত্র।
জ্বি ভাইয়া ঠিক বলছেন,সবই এখন স্মৃতির পাতা মাত্র। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি গ্রামের অপরূপ দৃশ্য এবং সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে সকলের ভালো লাগে, শহরের ইট বালু সিমেন্টের দালানকোঠার মধ্যে বন্দি মত জীবন।গ্রামের মুক্ত বাতাসে খুবই শান্তি লাগে। আপনার গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।