মৌমাছির ইতি কথা(10% beneficiaries to the @shy-fox)
শুভ রজনি,
@amarbanglablog- এর প্রাণ প্রিয় লেখকগণ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। প্রতি দিনের মতো আজকেও নতুন লিখা নিয়া আপনাদের মাঝে এসেছি। তবে আজকে আমি কিছু শৃংখলাবদ্ধ প্রাণীদের নিয়ে আলোচনা করবো।
মৌমাছি
মৌমাছির থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার কারণ তাদের মাঝে যেমন ঐক্য এবং পরিশ্রম আছে তেমনি সুশৃঙ্খল আছে। আজকে আমরা মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু আমাদের যে যে বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তা থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে সরিয়ে এসেছি। মৌমাছিদের মাঝে কিছু শ্রেণি রইয়েছে এবং তাদের কাজে তারা অবিচল। যদি কোনো মৌমাছি কোন ভুল করে তাদের সাস্তি হয় মৃত্যু দ্বন্দ্ব। মৌমাছির দিকে তাকাইলে আমরা দেখতে পাবো অনেক সময় মৌচাকের নিচে কিছু মৌমাছি ছটফটিয়ে মারা যাচ্ছে। তাদের মাঝেও আনন্দ এবং রোমাঞ্চ আছে। ক্রমান্বয়ে আমি নিচে মৌমাছিদের শ্রেণি নিয়ে আলোচনা করেছি। নারী মৌমাছির মিলনের দিকে তাকাইলে দাতের মাঝে রোমাঞ্চ দেখতে পাবো এবং পুরুষ মৌমাছির মাঝে কিছু অলসতাও দেখতে পাবেন।
রাণী মৌমাছির বিশেষ গুনাবলি এবং নেত্রিত্ব
পবিত্র কোরানে মৌমাছি সম্পর্কে অনেক তথ্য এবং গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। মৌমাছি থেকে আমরা অনেক শিক্ষা লাভ করতে পারি যা আমাদের ধারনার বাহিরে। রাণী মৌমাছি সবচেয়ে বড় প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং রানী মৌমাছি নেত্রিত্ব দিয়ে থাকে। এর পেট বেশ লম্বা ও প্রশস্ত এবং ডানা দুটো ছোট হয় তবে এরও একটি বশেষ গুণ আছে ।একটি চাকে একটি মাত্র রাণী মৌমাছি থাকে। এর একমাত্র কাজ ডিম পাড়া এবং লালন পালন। রাণী মৌমাছি জীবনে একবারই মাত্র একটি পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিশিত হয় এখনে বড় একটা চিন্তার বিষয় মাথার মাঝে কাজ করে তবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্চি। জন্ম নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন রাণী কিছু পুরুষ ও শ্রমিক মৌমাছি নিয়ে আকাশে উড়ে যায় এবং তাদের মিলন শেষে রাণী শ্রমিকসহ চাকে ফিরে আসে তাদের দায়িত্বের কাজ করা শুরু করে দেয়। জীবনে একবার মিলিত হলেও রাণী পর্যাপ্ত শুক্রাণু জমা রাখে তার দেহের ভিতর শুক্রাধাণীতে। রাণী দু'ধরনের ডিম পাড়ে তা হলো-নিষিক্ত ডিম (শুক্রাণু মিশানো) ও অনিষিক্ত ডিম (শুক্রাণু অমিশানো)। রাণী কোন ধরনের ডিম পাড়বে তা তার ইচ্ছাধীন। নতুন রাণী তৈরী হবে নিষিক্ত ডিম থেকে।আআয়ুষ্কাল প্রায় ২/৩ বছর হয়ে থাকে এর বেশিও হইতে পারে।
পুরুষ মৌমাছি এবং তাদের কাজ
পুরুষ মৌমাছি সাধারণত মধ্যম আকৃতির হয় । এদের চোখ বড়। কিন্তু এদের হুল নেই। এদের একমাত্র কাজ রাণীর সাথে মিলিত হওয়া তবে এরা খুব অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে । এমনকি এরা অনেক সময় নিজের খাবার নিজেরা গ্রহণ করে না, শ্রমিক মৌমাছির থেকে খেয়ে নেয়।
শ্রমিক মৌমাছি ও তাদের কাজ
এরা সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। এদের চোখ ছোট, কিন্তু হুল আছে। রাণী ও পুরুষ বাদে অবশিষ্ট সকল সদস্যই শ্রমিক মৌমাছি। এরা নানা দলে ভাগ হয়ে থাকেঃ
চাকের যাবতীয় কাজঃ-
- চাক নির্মাণ করা;
- ফুলের মিষ্টি রস সংগ্রহ করা;
- মধু তৈরী করা ;
- চাকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা;
- চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ সম্পন্ন করে।
এদের জন্ম নিষিক্ত ডিম থেকে। এদের আয়ু প্রায় একমাস।
আপনি মৌমাছি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দিয়েছেন।মধু সর্বরোগের ঔষধ হিসাবে কাজ করে যা আমরা মৌমাছি থেকে সংগ্রহ করে থাকি।আপনি ধাপে ধাপে এর গুণাগুণ ও কার্যপ্রণালী তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ভাই আপনি মৌমাছি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য শেয়ার করেছেন খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।পোষ্টের উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।মৌমাছি কে আমি একেকটি প্রকৌশলী বলে থাকি।কারণ তারা তাদের নিজেদের থাকার ঘর এমন ভাবে তৈরি করে যেখানে প্রতিটি খোপ সমান ভাবে তৈরি করা।তাদের মধ্যে সত্যিই একজন প্রকৌশলীর মত বুদ্ধি রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্যও শুভকামনা অবিরাম
খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করেছেন।আসলেই মোমাচির মতো আমাদের কেও কঠোর পরিশ্রম দরকার তবেই আমরা আগাতে পারবো শুভ কামনা আপনার জন্য।
মৌমাছির জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। মৌমাছি খুবই পরিশ্রমী এবং উপকারী প্রানি।আমাদেরকেও জীবনে সফল হতে হলে মৌমাছির মতো হতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে শিক্ষামূলক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বোঝার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।