এই শহর, জাদুর শহর প্রানের শহর ঢাকারে || ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য
শুভেচ্ছা সবাইকে 💐
আশা করছি @amarbanglablog এর সকল মেম্বাররা ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। সবাইকে আমার সালাম, আদাব এবং নমস্কার জানিয়ে আজকের পোস্টটি লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আমার ঢাকায় থাকার কয়েক দিনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি পোস্টটি সবার মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
এই শহরটাকে কি যে জাদু লুকিয়ে আছে, জীবনকে গতিময় করার জন্য এই শহরটাই সবাইকে কাছে টানে। শত ঘৃণা থাকা সত্ত্বেও এই শহরেই আশ্রয় নিতে হয় ভালো জীবিকা নির্বাহের আশায়। এই শহরই রাজাকে প্রজা বানায়, প্রজাকে রাজা বানায়।অনেকের জন্য ভালোবাসার আবার অনেকের জন্য বিরক্তিকর সব মিশ্র অনুভূতি নিয়ে শহরটি। এর গঠন এমন যে জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আপনাকে শহরমুখী হতেই হবে।ঠিক তেমনি আমারও হতে হয়েছে আমিও ভালো জীবিকা নির্বাহের খুঁজে এসেছি ঢাকায়।
যানজট যার নিত্ত দিনের সঙ্গী,এমন একটা শহর কে কি ভালোবাসা যায? হ্যাঁ যায়।কারণ ওই যে বললাম জীবিকা নির্বাহের জন্য যারা আসে তাদের ভালোবাসতেই হবে। আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে দিলেও কিছুই বলার থাকেনা। কারণ বলার মানুষ নাই। কার কাছে বলবেন কার কাছে অভিযোগ দিবেন। যার কাছে অভিযোগ দিতে যাবেন সে তো আর এই যানজট মুখোমুখি হয় না।
এটি হলো ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেপেলেদের চলাচলে মুখরিত থাকে জায়গাটি সবসময়। নীলক্ষেত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বইয়ের মার্কেট। যেখানে আপনি সকল ভালো ভালো বইয়ের কপি পাবেন খুবই কম দামে। বই কেনার জন্য সবসময় এই জায়গাটিতে যাওয়া হয়। সেদিন গিয়েছিলাম চাকরির বই কিনতে।
সবচেয়ে কম দামে ভালো শপিং এর জন্য সবচেয়ে বেস্ট জায়গা হল একটি। ঘুরেফিরে কিনলে মনের মত সকল কিছুই পাওয়া সম্ভব এই জায়গায়। ঢাকা শহরে মধ্যবিত্তদের শপিং করার অন্যতম জায়গা হল এটি।খুব কম দামের মধ্যে মনের মত সকল কাপড়-চোপড় জুতা পাওয়া সম্ভব এখানে।ঢাকা আমার করা বেশিরভাগ শপিং ই করা নিউমার্কেট থেকে।আর মেয়েদের সকল প্রকারের কসমেটিকস থেকে শুরু করে যাবতীয় যা কিছু আছে সব কিছু এখানে এভেলেবেল এবং কম দামে ।
নীলক্ষেত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের এই পথটি আমার খুবই প্রিয়।প্রবেশের গেইটটি আসাধারণ সুন্দর। এখানে যাওয়া হল অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আসা হয় সব সময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোরার কিছু মুহূর্ত অন্য আরেকটি ব্লগে আমি শেয়ার করব।
আমার এই ঘোরাফেরা এর আমার সাথে ছিল আমার কাজিন (মামাতো ভাই) @alokroy647।আমাদের কিছু বই কেনার প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা নীলক্ষেত গিয়েছিলাম এবং সাথে সাথে একটু ঘোরাফেরা করলাম। সেই ঘোরাফেরার মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
উপরের সবগুলো ছবি আমার নিচের ফোন Oneplus 8t দিয়ে তোলা।আশা করছি আমার ব্লগটা আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনাদের এটি ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে আবার পরবর্তী কোন ব্লগে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন আমিও একটি সময় ঢাকা নিউমার্কেট থেকেই আমার সব শপিং করতাম।অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস সুলভ মূল্যে পাওয়া যেত।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য। নিউমার্কেট এমন একটি জায়গা যেখানে আপনাকে যেতেই হবে কোন কোন জিনিসের জন্য।
আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
যাদুর শহর এখন অসংখ্য খারাপ মানুষ খারাপ কিছু রীতিনীতি দিয়ে ভরা। তাই এই জাদুর সহর এখন আর আগের যাদুর শহর নেই।
হ্যাঁ ভাই আসলেই এই শহরের ময়লা আবর্জনার মত এই মানুষগুলোর মন মানসিকতা। এখানে কেউ কাউকে এক বিন্দু ছাড় দিতে চায় না। বা কেউ কারো খবর রাখে না নিজের পরিবার বাদে।
২০১৯ সালে প্রথমবার ঢাকা গিয়েছিলাম। সেই সময়ে যানজট মানুষের কোলাহল সবকিছুই দেখেছি। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও গিয়েছিলাম ঘুরতে। যে কয়দিন ঢাকা ছিলাম তার প্রতিটা মূহুর্ত আমার এখনো মনে আছে। আজ আপনার পোস্ট পড়ে আরেকবার সেই অনূভুতি ফিরে পেলাম। খুব সুন্দর লিখেছেন।
আসলেই ভাই গ্রাম আর শহরের অনুভূতি দুইটাই ভিন্ন রকম। তবে হঠাৎ গ্রাম থেকে শহরে এসে ব্যালেন্স করাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আর এই শহরটা আসলে খুব ভালো না আবার খুব খারাপ ও না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
যথার্থই বলেছেন ভাই🙂🙂
নিলখেত আর নিউমার্কেট দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। যখন ঢাকা কলেজে পড়তাম তখন এই খানেই বেশিরভাগ সময় কাটাতাম। আর নিলখেতের বিখ্যাত তেহারি ছিলো আমার খুবই পছন্দের।
ভাই ঢাকা কলেজে পড়লে তো আপনাদের আস্তানাই ছিল ওইটা। আমি সব সময় নীলক্ষেত বা নিউমার্কেট গেলে ওখানের লাচ্ছি টা খাওয়ার চেষ্টা করি। খুবই ভালো লাগে।
হ্যা আসলেই তাই। ওই এলাকটা ঢাকা কলেজের ছেলেদেরই আস্তানা ছিলো। রয়েল এর তেহারিটা খেয়ে দেখবেন। খুবই মজা।
ধন্যবাদ ভাই recommend করার জন্য। নেক্সট গেলে অবশ্যই ট্রাই করবো
বিশেষকরে দাদা শ্যামলী এলাকাটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।জ্যামে পড়লে ১ ঘন্টার মতোআটকে থাকতে হয়।আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো দাদা।
ধন্যবাদ আপনাকে মনোযোগ সহকারে আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য