💐হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা💐

---

আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদ অনেক ভালো আছি। সকলকে আমার সালাম, আদাব এবং নমস্কার জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ছোট্ট একটি ভ্রমণ কাহিনী ভাগ করে নিব। আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি খুব ভ্রমণ প্রিয় একটি মানুষ ।তাই আমার বন্ধু তুহিনের নিমন্ত্রনে আমি ছুটে গিয়েছি ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশেই অবস্থিত বেরিবাধ এলাকার সুরেশ্বরী নদীর তীরে।

অবস্থান

সুরেশ্বরী নদী

---

হঠাৎ করেই বন্ধু তুহিনের নিমন্ত্রনে তার নিজের গাড়িযোগে আমরা চলে গেলাম সেখানে ঘুরতে। খুব সুন্দর একটি দিন কাটলো সকল বন্ধুদের সাথে। যাদের সাথে লকডাউন এর কারণে দীর্ঘদিন দেখা হচ্ছিল না। তাদেরকে অনেক দিন পর কাছে পেয়ে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠলাম। নদীর পাশেই একটি খালি মাঠ ছিল যেখানে আমরা খেলার জন্য একটি ফুটবল নিয়ে গিয়েছিলাম।ভর দুপুর রোদের মধ্যে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়লাম। কি যে এক পাগলামি, বলে বুঝানো যাবে না।

---

অবস্থান

সুরেশ্বরী নদী

---

এত সুন্দর একটি মাঠ পেলে কারই বা না খেলতে ইচ্ছা করবে। রোদ এবং গরম অনেক বেশি থাকায় আমরা বেশিক্ষণ খেলা চালিয়ে যেতে পারলাম না। খেলাধুলার পর সকলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। তারপর আমরা চলে গেলাম নদীতে গোসল করার জন্য। সেটা ছিল সবচেয়ে বেশি সুন্দর অনুভূতি।

অবস্থান

গোসলের আগ মুহূর্তে বন্ধুদের সাথে সেলফি

---

গোসল করে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম বন্ধুর বাসায়। সেখানে আমাদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছিল। পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা থাকার কারনে খাবার পাওয়ার সাথে সাথে হুমরি খেয়ে পড়লাম। যার কারণে ছবি তোলার কথা মনেই ছিলনা। তবে বিরানি টা অসাধারন হয়েছিল, একেবারে উদরপূর্তি করে খেয়েছি।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হালকা রেস্ট নিয়ে বিকাল থেকে শুরু হল আমাদের গানের আড্ডা এবং ফটোসেশন। কিছু ন্যাচারাল ছবি ধারণ করার চেষ্টা করেছি আমি। সেগুলো আপনাদের সাথে এখানে শেয়ার করছি।

অবস্থান

প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য ধারণ

---

সবগুলো দৃশ্য বন্ধুর বাসার ছাদ থেকে ধারণ করা। তার বাসার ছাদটি এতই সুন্দর ছিল যে সবাই ছাদে বসার পরে কেউ আর উঠতে চাইলো না। তাই ছাদে বসেই আমাদের আড্ডা গান চলতে থাকলো। সবাই মিলে অনেক অনেক গান পরিবেশন করলো সব রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি।একটি গান আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

---

---

গানের নামঃ দিলোনা দিলোনা নিলো মন দিলোনা
মূল শিল্পীঃ শাহ-আলম সরকার

এভাবে গান গাইতে গাইতে হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে এলো।সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আমরা টা নাগাদ চলতে থাকলো আমাদের গান আড্ডা।আস্তে আস্তে সকল বন্ধুর সাথে বিদায় নিয়ে ঢাকায় আমার বোনের বাসায় ফিরলাম।ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেই দেখি বোন আমাকে হালিম খেতে দিল।

খুবই সুন্দর এবং আনন্দঘন একটি দিন পার করলাম। বোনের বাসায় ভরপেট খেয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে দিলাম এক সুন্দর ঘুম।মন ভালো করার জন্য এর থেকে ভালো দিন আর হতে পারে না। আশা করছি আমার এই ছোট ভ্রমণ টি আপনাদের ভালো লাগবে।এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আবারও কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে 🙏💝