শান্তি সব নিজের নীড়
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা পৃথিবীর যে কোণায় চলে যাই না কেনো। আমার কাছে মনে হয়, মানুষ হিসেবে নিজের ঘরের মধ্যে আমরা যে শান্তিতে পাই। সেটা আমরা আর কোথাও পাবোনা। কারণ অনেক সময় মনে হয় যে আমাদের ঘরটা কেনো এমন! অর্থাৎ বিভিন্ন লাক্সারিয়াস ঘর দেখে কিংবা বিভিন্ন লাক্সারি সেটাপ দেখে সবসময় একটা হীনমন্যতায় মানুষ ভোগে যে। কেনো তার বাড়িতে এটা নেই, কেনো তার বাড়িতে সেটা নেই, কেনো তার বাড়িটা এমন কিংবা অমুক তমুক আরো নানা কিছু।
কিন্তু আমার কথা যদি আপনি শুনতে চান। তাহলে আমি বলবো কয়েকটা দিন আপনি নিজের ঘর ছেড়ে সেসব জায়গায় গিয়ে থাকুন। যেগুলো আপনার ড্রিম প্লেস। দেখবেন যে কয়েকদিনে আপনার এসব আকর্ষণ একেবারের জন্যই চলে গিয়েছে এবং আপনার তখন নিজের মন কাঁদতে শুরু করবে। কারন নিজের বাড়ি মানেই শান্তির জায়গা। আপনি আর যেখানেই যান না কেনো, কখনোই নিজের বাড়িতে যে শান্তিটা পাবেন। সেটা আর কোথাও পাবেন না।
নিজের নীড়ে যতোই অভাব থাকুক না কিংবা যতোই কোনো কিছুর অভাব থাকুক না কেনো।আপনি আসলে সেখানেই শান্তিটা পাবেন। আর অন্য কোনো জায়গায় আপনাকে স্বর্ণতে মুড়িয়ে রাখলেও আপনি আসলে খুব একটা স্বাচ্ছন্দে কিংবা স্বতঃস্ফূর্তভাবে থাকতে পারবেন না। তাই নিজের বাড়ীর যত্ন করতে শিখুন। কারণ মানুষ অনেক সময় নিজেদের পুরনো জিনিসগুলো কিংবা নিজেদের পুরনো ঘরবাড়ির যত্ন করা ছেড়ে দেয়। এটা ভেবে যে, এতো খারাপ জিনিসের কিংবা এতো পুরনো জিনিসের যত্ন করে কি হবে। কিন্তু একটা বার নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্য জায়গায় থেকে দেখুন। তখন ঠিকই নিজের বাড়ির মর্ম বুঝতে পারবেন।
তাই মানুষ নিজের বাড়িকে পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির জায়গা হিসেবে বলে। তার একটা মাত্র কারণই হলো,নিজের বাড়িতে যেই শান্তি আপনি পাবেন। অন্য কারো বাড়িতে সেই শান্তি আপনি জীবনেও পাবেন না।