অকুতোভয় সৈনিক (ষষ্ঠ পর্ব)
সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারে না। তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাহায্য করার জন্য সৈন্য পাঠানো হয় সীমান্তে। নিজের ক্যান্টনমেন্টে রিশাদের অনেক সুনাম থাকায় তাকেও এই মিশনে পাঠানো হয়। রিশাদ ও এই মিশনে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বিশাদদেরকে সীমাতে পাঠানোর আগে খুব ভালোভাবে পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেয়া হয়। তাদেরকে বলে দেয়া হয় যেহেতু এটা অন্য কোন দেশের সাথে সরাসরি যুদ্ধ নয়। তাই এখানে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেখানে যাবে সেখানে বেশিরভাগই আমাদের দেশের জনগণ।
তাই সন্ত্রাসীদের কে মোকাবেলা করতে গিয়ে যেনো জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়। সেদিকে সবচাইতে আগে নজর রাখতে হবে। আর এই সন্ত্রাসীদের কে নির্মূল করতে হলে সবচাইতে প্রথমে সীমান্তবর্তী মানুষগুলোর ভেতরে সাহস ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা সবাই সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে কারো কাছে মুখ খোলে না। তাই তাদের ভেতরে সন্ত্রাসীদের ভয় কাটাতে হবে। তাদের সাথে ভালোভাবে মিশে যেতে হবে। যাতে তারাই পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের বিচরণের খবর আর্মিদের কে সরবরাহ করে। (চলব)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রিশাদ বিয়ে করেছে এবং সন্তানও হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া রিশাদকে যেহেতু সীমান্তে পাঠানো হয়েছে, আশা করা যায় রিশাদ এই যাত্রায়ও সফল হবে। কারণ রিশাদ বেশ সাহসী এবং বুদ্ধিমান একজন আর্মি। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।