নিশ্চিন্ত জীবনে ছন্দপতন (পঞ্চম পর্ব)
যে লোকের মাধ্যমে জহির গিয়েছিলো সে জহিরকে কথা দিয়েছিলো সে দুবাইয়ে জহিরকে একটা ভালো কাজের ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু সেই লোক জহিরকে দুবাই পৌঁছে দেয়ার পর আর জহিরের কোন খোঁজ খবর নেয় না। জহির দুবাই পৌঁছে কিছু বাঙালি ছেলেদের কাছে উঠেছিলো। কিন্তু কয়েকদিন পর যখন জহিরের সেই লোক তার কোন খোঁজ খবর নেয় না। তখন জহির যাদের সাথে ছিল তাদের সাথে কথাবার্তা বলে আপাতত একটা কাজের ব্যবস্থা করে। কাজটা ছিলো কনস্ট্রাকশন সাইটে লেবারের কাজ। প্রচন্ড গরমের ভেতরে কাজ করতে গিয়ে জহিরের ভয়াবহ কষ্ট হতে লাগে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জহির এসির ভিতরে বসে কাজ করা মানুষ। সেই মানুষ কে যখন দুবাইয়ের ৫০° প্লাস তাপমাত্রায় সিমেন্টের বস্তা মাথায় করে বইতে হয় তখন তার আর কিছুই ভালো লাগেনা। এভাবে কিছুদিন কাজ করার পর জহির হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরেও জহির তার পরিবারের কথা চিন্তা করে শতো কষ্ট সহ্য করেও কাজ করে যেতে থাকে। কিন্তু দিন দিন জহিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একসময় জহির বুঝতে পারে তার পক্ষে এই কাজ করা আসলেই সম্ভব না।
জহিরের শরীর এতোটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাকে আর কেউ কাজে নিতে সাহস পায় না। জহিদ যাদের সাথে থাকতো তারা জয়ী কে যথেষ্ট সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত তার সাথে থাকা বাঙালি লোকগুলো চাঁদা উঠিয়ে জহিরকে দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। একেবারে কপর্দক শুন্য অবস্থায় জহির দেশে চলে আসে। এয়ারপোর্টে নেমে জহির চিন্তা করতে থাকে সে কিভাবে বাসায় ফিরবে? কারণ সে তার সর্বস্ব খরচ করে বিদেশে গিয়েছিলো ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।