গ্রামীণ প্রকৃতির ছবি
ছবিতে আপনারা একটি গ্রামের বাড়ির পেছনের অংশ দেখতে পাচ্ছেন। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন ছবিতে গরু ছাগল ভেড়া সবকিছু দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটা আমি আমাদের শহর থেকে কিছুটা দূরে চরাঞ্চল থেকে তুলেছিলাম। চরের মানুষের ভিতরে আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি। সেটা হচ্ছে তারা এখনো গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সবই পালন করে। আমাদের দেশের এমন বাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে হাঁস-মুরগি, গরু ছাগল এগুলো থাকতো। এখন গ্রামের অনেক বাড়িতেই এগুলো দেখা যায় না।
ছবিটাতে আপনারা গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া ইটের রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন। খেয়াল করলে দেখবেন রাস্তাতে কোন মানুষজন নেই। গ্রামের রাস্তাঘাট গুলো বেশিরভাগ সময় এমন ফাঁকা থাকে। যদিও আমরা যখন ছবিটা তুলেছিলাম তখন সম্ভবত সকাল আটটা বাজে। তো সেই সময়ও রাস্তায় তেমন কাউকে দেখতে পারছিলাম না। এ ধরনের নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যদিও রাস্তার পাশে গাছপালা থাকলে বিষয়টা আরো ভালো হোতো।
উপরের ছবিতে আপনারা নদীর মাঝে একটি নৌকা দেখতে পাচ্ছেন। সেই নৌকায় কিছু মানুষজন ও রয়েছে। গ্রামের মানুষজন এই ধরনের নৌকায় করে নদী পারাপার হয়। এখনো অনেক জায়গায় গ্রামের সাথে শহরের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের মানুষজন এই সমস্ত নৌকার উপর নির্ভর করে। যদিও নৌকা গুলো আর এখন আগের মতো নেই। এখন গ্রামের সব নৌকাতেও ইঞ্জিন রয়েছে।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ বসে মাছ ধরছে। সেদিন গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়ে এই দৃশ্যটি দেখেছিলাম। সেদিন আমার সাথে আমার এক বন্ধু ও ছিলো। যে আবার মাছ ধরতে খুব পছন্দ করে। রাস্তার পাশে এই দৃশ্য দেখে আমরা দুই বন্ধু চলে গিয়েছিলাম সেই সমস্ত মৎস শিকারীদের কাছে। তবে তাদের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম শুধু পুটি মাছ ছাড়া তারা আর কোন মাছ ধরতে পারেনি। আমরা মনে করছিলাম তারা হয়তো অনেক বড় বড় মাছ ধরেছে। কিন্তু তাদের কাছে গিয়ে আমরা হতাশ হয়েছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
স্থান | ফরিদপুর