নিশ্চিন্ত জীবনে ছন্দপতন (সপ্তম পর্ব)
সেই খাবারের দোকানদার জহির কে জানায় একসময় তার অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। পরে সে এই ব্যবসা শুরু করার ফলে এখন তার অবস্থা অনেকটা ভালো হয়েছে। তখন জহিরের মাথায় আইডিয়া আসে। সেও রাস্তার পাশে এভাবে খাবার বিক্রি করবে। দুবাই থাকার সময় তার রান্না করার বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে থাকার সময় সে একজন ইন্ডিয়ান বাবুর্চির কাছ থেকে রান্না শিখেছিলো। সেই ইন্ডিয়ান বাবুর্চি ও তাদের সাথে একসাথে থাকতো। মেসে থাকা সবাইকেই এক একদিন রান্না করতে হোতো। সেখান থেকেই জহির রান্না শিখেছে। তার রান্না খেয়ে মেসের সবাই বেশ প্রশংসা করতো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জহির চিন্তা করে সমস্ত লাজ লজ্জা বাদ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে হবে। সে চিন্তা করে যেহেতু তার আর হাতে আর কোনো উপায় নেই। তাই তাকে যেভাবেই হোক এই ব্যবসাটা শুরু করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জহির গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। তারপর তার স্ত্রীর সাথে এই বিষয়টা নিয়ে সে আলাপ করে। তার স্ত্রীকে খুব একটা আগ্রহী মনে হয় না তার এই ব্যবসাটার ব্যাপারে। জহির তার স্ত্রীকে বলে যদি ব্যবসা ভালো হয় তাহলে তোমাদেরকে আবার ঢাকায় নিয়ে যাবো।
এই কথাবার্তা বলে সে তার বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে আবার ঢাকা চলে যায়। তারপর রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ফেলে। তারপর জহির চিন্তা করতে থাকে কোথায় বসলে তার বেচাকেনা ভালো হবে? শেষ পর্যন্ত সে ভালো একটা জায়গা দেখে সেখানে তার ব্যবসা শুরু করে। তবে ব্যবসা করতে গিয়ে সে নতুন একটা ঝামেলার মুখে পড়ে। সেখানকার স্থানীয় এক পাতিনেতা আর পুলিশের লোক এসে তার কাছে টাকা দাবি করে। পরে তাদের সাথে দৈনিক কিছু টাকা দেয়ার চুক্তিতে জহির ব্যবসা শুরু করে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।