মুদ্রাস্ফীতি ও অপরাধ বৃদ্ধি

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আপনারা কেউ মানুন কিংবা না মানুন। মুদ্রাস্ফীতির সাথে বর্তমান সময়ের অপরাধ বৃদ্ধির অনেক বড় একটি যোগসূত্র রয়েছে। যেটা হয়তো খালি চোখে দেখতে গেলে কখনোই চোখে পরবে না। শুধুমাত্র একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে এবং সেসব বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আপনিই ব্যাপারটি ধরতে পারবেন।

যেমন মুদ্রাস্ফীতির মানে হলো একেবারেই সাধারণ বাংলা ভাষায় আমি যদি বলি, তাহলে বাংলাদেশের টাকার মান কমে যাওয়া এবং ডলারের মান বেড়ে যাওয়া। আসলে অনেক মানুষ ডলারের মান বেড়ে যাওয়াতে খুশি হয় অনেক।কিন্তু এটা আমাদের জন্যই ভয়ঙ্কর। অর্থাৎ যেখানে আগে আমাদের ১০ টাকা ব্যয় করলে কাজ হয়ে যেতো। সেখানে বর্তমানে আমাদের ৫০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আর এটাই হলো মোট মুদ্রাস্ফীতি ।

আর মুদ্রাস্ফীতির সাথে সাথে মানুষের টাকা চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে এবং সে সাথে মানুষের টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে এবং সেই সাথে ইনকামটাও কমে যাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে যদি ইনকাম কমে যায়। তাহলে সেখানে অভাব দেখা দিতে পারে। বর্তমানে যে কারণেই অভাব দেখা দিয়েছে।

আমি যদি একটু কমশ্রেণীর মানুষের দিকে তাকাই। তাহলে সেই শ্রেণীতে আসলে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে এবং অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে বড়লোকদের মধ্যেও। কারণ মানুষের যখন টাকা-পয়সা কমে যাচ্ছে। তখন কিভাবে তারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে ইনকাম করা যায়। সেই দিকে চিন্তা করছে এবং স্বাভাবিকভাবে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আসলে অপরাধি ব্যাপারটা একেবারেই নৈতিকতার অবক্ষয়ের একটি ব্যাপার। কিন্তু আমরা আমাদের সামাজিক ব্যাপারগুলোকে তাই বলে একেবারে কোনো দোষ দেবো না, তা কখনোই হতে পারে না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কিন্তু অনেক বড় ভাবে দায়ী, সমাজের অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য।

সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি সুন্দরভাবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারতো। তাহলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে, বর্তমানের তুলনায় হাজার গুণ বেশি অপরাধ কমে যেতো। কারণ আমি এমন অনেক সময় দেখেছি। যারা আসলে অভাবেই নিজেদের স্বভাব নষ্ট করে। তাই কোনো যোগসূত্র নেই ভাবলেই যে এসবের মধ্যে কোনো যোগসূত্র থাকবে না, তা কিন্তু নয়। যোগসূত্র কিন্তু ঠিকই রয়েছে।