শেকড়ে ফিরে যাওয়া-গল্প(শেষ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শাকিবের জমি যারা চাষ করবে তাদেরকে নিয়ে শাকিব কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসেছে এবং তাদেরকে বুঝিয়েছে সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে। যার ফলে শাকিবের জমির কৃষকেরা বুঝতে পেরেছে এগুলো ব্যবহারের ক্ষতি। যাইহোক এভাবেই শাকিবের দিন কেটে যাচ্ছিলো। একদিন শাকিব দুপুরে জমির দেখাশোনা করে বাড়ি ফিরে দেখে তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। অনেকদিন পর পুরো পরিবারকে দেখতে পেয়ে শাকিবের চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরছিলো। তার বাচ্চা দুটো অনেক দিন পর বাবাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। পরিবারকে কাছে পেয়ে শাকিবের মনে হলো এই জীবনের সবকিছুই তার পাওয়া হয়ে গিয়েছে।


My journey so far and what i got from STEEMIT_20240421_181222_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে শাকিব গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারকে তার বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট ঘর উঠিয়ে দিয়েছে। তারা সেখানেই থাকে আর সাকিবের কিনে দেয়া হাঁস মুরগি গরু ছাগল পালন করে। পরিবারের যে পুরুষ সদস্য সে সাকিবের জমিতে কাজ করে। আর মহিলা সদস্য সাকিবের বাড়ির কাজ দেখার সাথে সাথে সব পশুপাখি পালনের দায়িত্ব পালন করে। সবকিছু মিলিয়ে সাকিবের জীবনটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো। প্রতিদিন নিজের জমিতে গিয়ে সেখানকার চাষাবাদের অবস্থা দেখে আসা। সেই সাথে নিজের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেই উৎপাদন করা। আর অবসর সময়ে গ্রামীণ ছায়া-ঢাকা পরিবেশে পরিবার নিয়ে বসে সময় কাটানো। তার বাচ্চারাও গ্রামীণ খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে পেরে জীবনটাকে দারুনভাবে উপভোগ করছিলো।

সেই সাথে স্কুলের সময়টুকু বাদে সারাদিন তারা বাড়িতে থাকা হাঁস মুরগি গুলোর পেছনে পড়ে থাকে। গ্রামে আসার কিছুদিন পরেই শাকিব তাদেরকে সাঁতার শিখিয়ে ফেলেছে। যার ফলে এখন তারা ইচ্ছে হলেই পুকুরে নেমে গোসল করতে পারে। শহুরে জীবনে বন্দী সময় কাটিয়ে গ্রামীন এই পরিবেশটা বাচ্চা দুটো বেশ উপভোগ করছে। এভাবেই সাকিবের জীবনটা স্বপ্নের মত চলছিলো। নিজের পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন করতে পেরে সাকিবের মনে একটা তৃপ্তি কাজ করছিলো। আর এভাবেই তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

খুব চমৎকারভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন আপনি। কৃষিকাজের সাথে জড়িত সকলেরই জীবনগুলো অনেক সুন্দর হয়। যদি সে সঠিক পন্থা অবলম্বন করে কাজগুলো পরিচালনা করতে পারে। সাকিবের জীবনটা স্বপ্নের জীবন হয়ে দাঁড়ালো যখন সে কৃষিতে সাকসেস হল। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

সাকিবের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। আগের পর্বগুলো পড়ে এটাই মনে হয়েছিল, সাকিবের স্ত্রী শেষ পর্যন্ত গ্রামে যেতে বাধ্য হবে। আর শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। যাইহোক গ্রামীণ পরিবেশে সাকিবের সন্তান দুটি ছোটাছুটি করতে পারবে এবং জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে। তাছাড়া একেবারে ফ্রেশ খাবার খেতে পারবে। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 65969.85
ETH 3429.28
USDT 1.00
SBD 2.68