সহনশীলতার অভাবে বিপর্যস্ত মানবতা

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই এখন শুধু সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। পত্রিকার খবর দেখলে মনে হয় পুরো পৃথিবীটা এখন সহিংসায় ভরে গিয়েছে। মানুষের ভেতর ন্যূনতম সহনশীলতা নেই। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় এমন অনেক খবর দেখা যায় যেখানে সামান্য সমস্যার কারণে একজন আরেকজনকে হত্যা করছে। ঘটনা গুলো এতোটাই সামান্য। যে সেই ঘটনার ফলশ্রুতিতে হত্যাকান্ড একেবারেই মেনে নেয়া যায় না। তেমনি একটি খবরে আজকে চোখ আটকে গেলো। ঢাকার বাড্ডায় একজন পরিবহন শ্রমিক নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। খুন করেছে আবার তারই পরিচিত লোকজন। রাতের বেলায় তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে একটি পুকুরে তার লাশ ফেলে দেয় তারা।

এই অকাল মৃত্যুর পেছনে দায়ী কে_20240419_143140_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

পরদিন লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। একবার চিন্তা করে দেখুন ব্যাপারটা। রাতে সেই নির্মাণ শ্রমিককে যারা ঘর থেকে বের করেছে তারা নিশ্চয়ই সেই নির্মাণ শ্রমিকের পরিচিত। পরবর্তীতে খবরে জানতে পারলাম অন্য আর এক পরিবহন শ্রমিকের সাথে ঝামেলার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। অতি তুচ্ছ কারণে এই যে একজনের জীবন কেড়ে নেয়ার মানসিকতা। এটা এখন সারা দেশেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। মানসিকভাবে পুরো দেশের মানুষ যেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। অতি সামান্য ঘটনাতে মারামারি হানাহানি লেগে যাচ্ছে। আর তার ফলশ্রুতিতে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অথচ সামান্য ঘটনা থেকে হতে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড সহজেই রোধ করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু কেউই তার ইগো থেকে বের হতে পারেনি। যার ফলে ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে।


যে নির্মাণ শ্রমিক মারা গিয়েছে সে নিজেও একাধিক মামলার আসামি ছিলো। কিন্তু তারপরেও কি এই ধরনের হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায়? চিন্তা করুন তার পরিবারের অবস্থা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনখম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এদিকে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারাও পলাতক। তাদের পরিবারের অবস্থাও যে খুব একটা ভালো তেমনটাও নয়। মানে এই হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েকটা পরিবার রীতিমতো ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারণার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদেরকে আরো সহনশীল হতে হবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 5 months ago 

কিছু কিছু ঘটনা শুনে মন ভেঙ্গে যায়। সামান্য একজন নির্মাণ শ্রমিকের উপর এরকম হত্যাকান্ড আসলেই মেনে নেয়া যায় না। মানুষের মানবিকতা দিন দিন কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে সেটা আসলে বলার মত ভাষা নেই।

 5 months ago 

বর্তমান মানুষ এতটাই নিশংস হয়ে গেছে যে একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে ঠকাতে বা হত্যা পর্যন্ত করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। একটা পরিবারের যে মানুষটা একাই উপার্জন করে সে পরিবারকে চালায় সেই সেই মানুষটাই যদি আর না থাকে তাহলে একবার ভেবে দেখুন সেই পরিবারের কি অবস্থা হবে। কিন্তু আমরা আমাদের ক্ষমতার দাপটে কাউকে হত্যা করতে একটুও চিন্তা করি না। যাইহোক এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে বা প্রতিরোধ করতে আমাদের নিজেদের মন-মানসিকতা এবং চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার। বাস্তবমুখী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 months ago 

অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আপনার লেখাগুলো পড়ে আবার খুবই ভালো লেগেছে এবং আপনার লেখাগুলোর সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। আসলে আমরা সকলে যদি সহনশীল হই এবং ধৈর্যশালী হই তাহলে আমাদের ভিতরে মানবতা অটুট থাকবে। আমাদের পরিবেশ সবসময় ভালো থাকবে।

 5 months ago 

বর্তমান হত্যাকাণ্ডগুলো হয়ে গেল এমন যে, আমরা ছোটবেলা পিস্তল পিস্তল খেলা খেলতাম। একে অন্যকে গুলি করে মেরে ফেলতাম। বর্তমানে সেভাবেই যেন মানুষ মারা সহজ হয়ে গেলো। আমাদের বিচার ব্যবস্থা কঠোর না হওয়ার কারণে আজকের এই পরিস্থিতি। পত্রিকা খুললেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে, এগুলো মেনে নেওয়ার মতো না। যাইহোক খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন যার কারণে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা ভাবলে আসলেই অবাক লাগে। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ব বোধ নেই বললেই চলে। তাইতো ছোটখাটো ঝগড়ার সৃষ্টি হলেও, খুন করে ফেলতে দ্বিধাবোধ করে না। মানুষ হয়ে মানুষকে কিভাবে খুন করে,সেটা আমার বোধগম্য হয় না। সেই শ্রমিক এবং তার পরিবারের জন্য আসলেই বেশ খারাপ লাগছে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 92511.70
ETH 3099.35
USDT 1.00
SBD 3.12