ধনী হওয়া কিসের উপর নির্ভরশীল?

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আচ্ছা আপনার কাছে ধনী মানে কি বলুন তো? আমার কাছে ধনী মানে হলো, যে নিজের মন থেকে তৃপ্ত। তার কাছে যেটা রয়েছে কিংবা আমার আপনার কাছে যেটা রয়েছে। সেটা নিয়ে যদি আমি, আপনি সন্তুষ্ট থাকি। তাহলে হবো আমরা ধনী ব্যক্তি। অর্থাৎ আমার কাছে ধনীর ডেফিনেশন টা অন্যদের যেমনটা মনে হয়, তার কাছ থেকে একটু আলাদা।

অর্থাৎ ধরুন কোনো মানুষের কাছে কোটি কোটি টাকা এবং ধন-সম্পদ রয়েছে। তাও দেখবেন তার মাঝে ওকিছু কিছু মানুষ সবসময় হা হুতাশ করতে থাকে। এই বলে যে তার আরেকটু হলে ভালো হতো কিংবা তার এটা নেই, তার সেটা নেই। তার ওই দিকটা আরেকটু বাড়লে ভালো হতো। তার এই বিজনেসটা একটু গ্রো করলে ভালো হতো। অর্থাৎ সব সময় দেখবেন তার মধ্যে একটা চাহিদার অভাব লেগেই রয়েছে।

কিন্তু তার অপর পাশেই অন্য একটা মানুষকে দেখবেন যে, হয়তো খুব একটা বেশি কিছু নেই তার। দিনে আনে, দিনে খায় কিংবা খুব একটা টাকা ইনকাম করে না। কিন্তু যতটুকু করে ততটুকুর মধ্যে খুব সুন্দর করে নিজের পরিবারসহ চলতে পারে। তাদের মধ্যে অনেক কে দেখবেন যে জীবন নিয়ে খুব খুশি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। আমার কাছে আসলে সে ই ধনী। অর্থাৎ আমার কাছে দ্বিতীয় ব্যক্তিটাই ধনী। কারন, আমি মনে করি যে আসল অর্থে মনের দিক থেকে তৃপ্ত হতে হবে।আর সে ই হলো আসল অর্থে একজন ধনী ব্যক্তি। কারণ মানুষের মন থেকে ধনী হতে হয়। শুধুমাত্র ধন-সম্পদ দিয়ে ধনী হলেই মানুষ ধনী হয় না অর্থাৎ প্রকৃত ধনী হয় না।

তাই আমি টাইটেলে যে প্রশ্নটি করেছি, সেই প্রশ্নের আমার নিজের উত্তর হলো। ধনী হওয়া একেবারেই মানুষের মনের উপর নির্ভরশীল। আর আমাদের মন যেহেতু আলাদা। তেমনটাই আমাদের কাছে ধনী হওয়ার সংজ্ঞাটাও হয়তো আলাদা। অর্থাৎ আমার যেমনটা মনে হয়, আমি সেটাই ব্যক্ত করলাম। হয়তো ব্যাপারটা অনেকটা ডিপ্লোম্যাটিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, যে মনের দিক থেকে খুশি। আমার কাছে মনে হয় সে ই পৃথিবীর ধনী ব্যক্তি। আর বাদ বাকিদের টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ গুলো যেনো মরীচিকার মতো মনে হয় আমার কাছে।