মামা বাড়ি মধুর হাড়ি

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

মানুষের জীবনে আবদারের একটা জায়গা থাকে এবং আমার কাছে মনে হয় মানুষের জীবনের প্রথম আবদারের জায়গা হয় তার মামা বাড়ি। যদি আমি ভুল না বলি। কারণ, অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো ব্যাপারটা ব্যতিক্রম হতে পারে। কিন্তু আমি যদি সাধারণভাবে চিন্তা করি কিংবা সাধারণভাবে বলি। তাহলে আমাদের জীবনের প্রথম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বলি কিংবা মুক্তভাবে স্বাধীনভাবে চলতে পারা বলি। দুটোই আমরা পারি নিজেদের মামা বাড়িতে। হয়তো সেখানে আমরা বছরের কয়েকটা দিন বেড়াতে যাই বলেই এমনটা মনে হয়। আমি ঠিক জানিনা, কিন্তু এমনটা সত্যিই মনে হয়।

আজকের এই পোস্টটি লিখতে লিখতে ছোটবেলার কথা মনে পরে যাচ্ছে। কারণ ছোটবেলায় প্রতিবছর প্রহর গুনতাম কবে মামা বাড়ি যাবো।কারণ মামা বাড়ি গেলেই অনেকটা যেনো ছাড়া পাওয়া গোয়ালের গরুর মতোন হয়ে যেতাম। অর্থাৎ এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতাম। আম্মু কিছু বলতে পারতো না। কারণ মামারা কোনো কিছুই বলতে দিতো না। অর্থাৎ বকা দিতে দিতো না ভাগিনা ভাগ্নিদের।

তাই আমার কাছে মনে হয় যে, এই বাক্যটি সত্যিই একেবারে সত্যিকার অর্থেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ মামা বাড়ি মধুর হাড়ি। কারণ আপনি সাধারণ জীবনে যে কাজগুলো করতে পারবেন না। সে কাজগুলোই কিন্তু আপনি স্কুলের ছুটির সময় মামা বাড়ি গিয়ে করতেন। যদিও বড় হতে হতে ব্যাপার গুলো অনেকটা বদলে যায়। অর্থাৎ যখন সবকিছুর মধ্যে স্বার্থ চলে আসে। তখন আসলে মানুষ চাইলেও একে অপরের প্রতি নিঃস্বার্থতা দেখাতে পারেনা। কিন্তু ছোটবেলার ক্ষেত্রে যদি আমি বলি, তাহলে সত্যি এই কথাটা একেবারে প্রযোজ্য।

যারা কখনো মামার বাড়ির আনন্দটা পায়নি। তারা সত্যিই অনেক দুর্ভাগা।কারণ এখনো মনে পরলে নস্টালজিক হয়ে যাই যে, ছোটবেলায় মামা বাড়িতে কতো আনন্দ করতাম। আর আম্মুর শুধু চুপ করে সব দেখতে হতো। কারণ নানু, মামা কেউই আমাদের বকা দিতে দিতো না।
Sort:  
 3 days ago 

একদম ঠিক বলেছেন, ছোটবেলায় আমাদের আনন্দের জায়গা হল মামার বাড়ি। আমি তো ছোটবেলায় বেশিরভাগই নানুর বাড়িতে থাকতাম। আর আমার মামা বারবার এসে আমাকে নিয়ে যেত। সেখান থেকে আবার স্কুলে দিয়ে যেত। যদিও অনেক দূরের পথ। আমি আমার নানার বাড়িতে বড় নাতনী হওয়ার কারণে আমার আদর একটু আলাদাই ছিল। আর প্রতি বছর ছুটি হলে আমি সবসময় নানুর বাড়িতে যেতাম। অন্য কোথাও যেতে আমার ভালো লাগতো না। আর আমার কাছে নানুর বাড়ি মানেই হলো স্বাধীন মহল। যেখানে আমার কোন বাধা নেই। সব দিকে ইচ্ছেমত চলতে পারতাম। আসলেই ছোটবেলাটা অনেক বেশি আনন্দের ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 61083.24
ETH 2670.20
USDT 1.00
SBD 2.61