গফুর মিয়ার অপূর্ণ স্বপ্ন (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তার পাশের ক্ষেতের রইস মিয়া তাকে দেখে বলে কি গফুর মিয়া একাই সব ধান কাটতে চাও নাকি? গফুর মিয়া তার দিকে তাকিয়ে বলে কি করবো ভাই? আমার তো অল্প একটু জমি। এই জমির ধান দিয়েই পুরো বছর চলতে হয়। তাই চেষ্টা করতেছি নিজের ধান টুকু নিজেই কাটতে। এভাবে ধান কাটতে কাটতে বেলা গরিয়ে দুপুর হয়ে যায়। তখন গফুর মিয়ার বড় ছেলে তার জন্য খাবার নিয়ে আসে। খেত থেকে একটু দূরে একটা বটগাছ তলায় বসে গফুর মিয়া দুপুরের খাবার খায়। খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গফুর মিয়া আবার চলে যায় ধান কাটতে।


গফুর মিয়ার অপূর্ণ স্বপ্ন।_20240518_222913_0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিশ্রান্ত ভাবে ধান কাটতে থাকে। সন্ধ্যার সময় যখন সব কৃষক বাড়িতে ফিরে যায় তখনও গফুর মিয়ার কাজ শেষ হয় না। কারণ সারাদিন সে যে ধান কেটেছে সে ধানগুলো এখন বাড়িতে নিতে হবে। গফুর মিয়ার ছেলে তাদের পাশের বাড়ি থেকে একটা গরুর গাড়ি চেয়ে এনেছে। অবশ্য গরুর গাড়ির বিনিময়ে তাদেরকে কিছু ধান দিতে হবে সেই শর্তে তারা গরুর গাড়ি দিয়েছে। এই গরুর গাড়ি নিয়ে ক্ষেতের কাছাকাছি গেলে তার দুই ছেলে আর স্ত্রী চারজন মিলে গরুর গাড়িতে ধান উঠাতে থাকে।

দ্রুত তারা সব ধান গরুর গাড়িতে উঠিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। আগে একটা সময় ধান কাটা হলে সেই ধান জমিতে রেখে যেতো। কিন্তু এখন ধান কেটে জমিতে রাখলে সেই ধান চুরি হয়ে যায়। যার ফলে সবাই ধান বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে আবার গফুর মিয়া এসে ধান কাটতে থাকে। তবে এই দিন আকাশে থাকে প্রখর সূর্যের তাপ। এই প্রচন্ড গরমে ধান কাটতে তার খুব কষ্ট হয়। গফুর মিয়া মনে মনে চিন্তা করতে থাকে গতকালকের মেঘলা আকাশই ভালো ছিলো। ধান কাটতে কাটতে বেড়াগড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়। সেদিন ও গফুর মিয়ার বড় ছেলে তার জন্য খাবার নিয়ে আসে। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 61227.67
ETH 2682.99
USDT 1.00
SBD 2.62