||টাঙ্গাইলে শিক্ষাসফর (পর্ব-২)-by @raihanul2512|| [10% @shy-fox & 5% @abb-school]
১৮ই আষাঢ়,১৪২৯
2 July,2022
নবাব প্যালেস ভ্রমণ
আমি মো: রায়হানুল ইসলাম @raihanul2512 । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। দ্বিতীয় পর্বে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার নবাব প্যালেস ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি অনেক ভালো লাগবে।
প্রথম পর্বে মধুপুরের বিএডিসি ভ্রমণের কথা বলেছিলাম। আমরা সেখান থেকে বিকাল চারটায় বের হয়ে রওয়ানা দেই ধনবাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে বাসে ত্রিশ মিনিটের রাস্তা। আমরা সেখানে পৌঁছে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করলাম। টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকেছিলাম। টিকিট কাটার সময় একটু দেরি হচ্ছিল। এই সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষক আমাদেরকে এই নবাব প্যালেস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানালেন। এরপরে আমরা প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকতেই হাতের বাম পাশে নবাব আলী প্যালেস অবস্থিত। এই প্যালেসটি ছিল মূলত কাচারী ভবন। এখানে প্রজাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করা হতো। বাইরে থেকে দেখতে অসাধারণ সুন্দর।
এরপর আর একটু সামনে এগুতেই চোখে পড়লো কারুকার্য খচিত আরেকটি ভবন। এই ভবনটি ছিল নবাবের পরিবারের থাকার জন্য। বর্তমানে এটি একটি সংগ্রহশালা। নবাবের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আমরা একটু দেরিতে যাওয়ার কারণে ভিতরে ঢুকতে পারিনি। এই ভবনের ডান পাশে রয়েছে হাতিশালা। তার পাশেই বিশাল পুকুর। স্থাপনাটি ছিল প্রায় ১২০ বিঘা জায়গার উপরে।
এসব দেখে আমরা কয়েকজন গেলাম আসরের নামাজ আদায় করতে। সেখানে গিয়ে চোখে পড়লো অসাধারণ সুন্দর একটি মসজিদ। এই মসজিদটি বিভিন্ন রঙিন পাথর দ্বারা খচিত। মসজিদের মেঝে থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ যেন অসাধারণ সুন্দর। এটা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। এখানে কিছু সময় আমরা অবস্থান করলাম এবং ছবি উঠালাম স্মৃতির পাতায় রাখার জন্য।
মসজিদের সাথে ছিল পুকুর। এই পুকুর ঘাটের সাথেই আছে এই নবাব বাহাদুর সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরীর কবর। কবরের পাশেই দেখতে পেলাম কোরআন এবং মাইকের স্পিকার। আমাদের শিক্ষক জানালেন এখানে নামাজের সময় বাদে ২৪ ঘন্টাই কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। আমরা নামাজের সময় যাওয়ার কারণে তিলাওয়াত শুনতে পাইনি।
এরপর আমরা আবারো নবাব প্যালেস এর সামনে এসে কিছু সময় অতিবাহিত করলাম। তারপর বাসে উঠে রওনা দিলাম মাঝপথে মধুপুরের সেই মধু ফল আনারস নিতে ভুলিনি। মধুপুর বাজারে এসে সবাই আনারস নিয়েছিলাম। সত্যিই অনেক মজার ছিল মধুপুরের বিখ্যাত সেই আনারস।
এরপর আমরা সবাই সুস্থভাবেই ক্যাম্পাসে পৌঁছেছিলাম। আজ এই পর্যন্তই। যারা এই ভ্রমণ কাহিনী মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তাদেরকে অনেক অনেক...
নাম | @raihanul2512 |
---|---|
ডিভাইস | galaxy A12 |
স্থান | ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল |
শিক্ষা সফর আমার কাছে খুবই ভালো লাগে শিক্ষা সফরের মাধ্যমে আমরা অনেক বিষয়ে জানতে পারি। বিশেষ করে বন্ধু এবং শিক্ষকদের সাথে শিক্ষা সফর করার মজাই আলাদা। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার এলাকায় ঘুরে আসছেন। ধনবাড়ি আমার গ্রামের বাড়ি। নওয়াব রিসোর্ট অনেক সুন্দর জায়গা। আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।
আপনার বাসা যে ধানবাড়ি সেটা আগে জানলে আপনার সাথে দেখা করা হতো। যাই হোক, যেহেতু ময়মনসিংহ থাকি। পরবর্তীতে কখনো গেলে দেখা হবে ইনশাল্লাহ।
ভাই আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে তবে আপনি নিয়মিত পোস্ট করেন না। অন্যের পোস্টে কমেন্ট করেন না। আপনার এক্টিভিটিস নেই বললেই চলে। এভাবে তো আপনি কাজ করতে পারবেন না। আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে টিকিট ক্রিয়েট করে আমার সাথে কথা বলবেন ধন্যবাদ।