যেকোনো কাজে লেগে থাকুন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমরা ছোট থেকেই একটি কথার সাথে অভ্যস্ত ছিলাম যে লেগে থাকুন সফলতা আসবেই।কথাটি অনেকটাই সত্যি যেটা আমাদের ব্যক্তিজীবনে আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি।যেকোনো কাজে লেগে থাকার ধৈর্য্য একজন মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।একজন মানুষ যিনি কোনো কাজে ধৈর্য্য রাখতে পারেন না।তার জীবন অনেকটা বাতাসের মতো প্রবাহমান ধরা যায় এই স্বস্তির মৃদু বাতাস।আবার প্রকৃতির অশুভ তান্ডব।জীবনটাকে গতিশীল করে রাখতে হলে যেকোনো কাজে রেগুলারিটি মেইন্টেইন করতে হয়।আর একসময় লেগে থাকার সফলতা ঠিকই পাওয়া যায়।আমরা যদি আমাদের ব্যক্তিজীবনের কিছু বিষয় লক্ষ্য করি তাহলে হয়তো বুঝতে পারব কোনো কাজে লেগে থাকার ফলস্বরূপ আমরা জীবনে কতটা উন্নতি করেছি আর কোনো কাজ ছেড়ে দিয়ে বা অর্ধেকে নিয়ে ইতি টানলে কতটুকু সফলতা পেয়েছি।
এইযে যদি স্টুডেন্ট লাইফের কথা চিন্তা করি।ধরুন পঞ্চম শ্রেনীর একজন স্টুডেন্ট যে তার পুরো সিলেবাস টি কমপ্লিট করে থাকে সারা বছর জুড়ে।আর পুরো সিলেবাস ভালোভাবে কমপ্লিট করলেই সে পরীক্ষায় ভালো একটি মার্ক অর্জন করবে। এখন যদি কোনো স্টুডেন্ট তার ধৈর্য্য হারিয়ে অর্ধেকে গিয়ে তার সিলেবাস টি পড়া বাদ দিয়ে থাকে তাহলে কি আদৌ তার সফলতা সম্ভব।আপনাদের উত্তর নিশ্চয় না হবে!আসলেই সম্ভব না।কারণ অর্ধেক সিলেবাসে হয়তোবা পাশ মার্ক কভার দেওয়া সম্ভব ভালো মার্ক পাওয়াটা কখনোই সম্ভব নয়।আমাদের দেশে ৮০ প্লাস মার্ককে ভালো একটি মার্ক বলা হয়ে থাকে।তো বেশিরভাগ স্টুডেন্ট যারা ফুল সিলেবাস কমপ্লিট করে ধৈর্য্য সহকারে এবং পরীক্ষায় ভালো একটি মার্ক অর্জন করে তাকে ভালো শিক্ষার্থীর কাতারে স্থান দেওয়া হয়।অন্যদিকে যারা ধৈর্য্য হারিয়ে ফুল সিলেবাস কমপ্লিট করতে পারেনা বা শুধু পাশ মার্ক অর্জন করে তাদের এভারেজ শিক্ষার্থীর কাতারে ধরা হয়।উদাহরণ দুইটি থেকে আমরা কোনো কাজে লেগে থাকার ফল উপলব্ধি করতে পারলাম বন্ধুরা।
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে কোনো কাজে লেগে থাকার প্রবণতা অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে বা নেই বললেই চলে।এজন্য অনেকটা দায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি অবগত।পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্ন দেওয়া হয় যেটা সারাদিন পড়ে পরের দিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধৈর্য্য শক্তির ব্যাপারটি হ্রাস পাচ্ছে ধীরে ধীরে।একটি সিলেবাস খুব ভালোভাবে নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার কোনো দায় নেই।আবার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো ধরনের উত্তেজনা বা প্রস্তুতির ও কোনো সাড়া নেই।তবে শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ে থাকলেই আমরা বর্তমান প্রজন্মের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারব না।এজন্য আমাদের দরকার টেকনোলজি রিলেটেড জ্ঞান ।আধুনিক যুগে এসকল জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ধৈর্য্যশক্তি।যেকোনো স্কিল গড়ে নিজেকে দক্ষ করে তুললে তবেই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা সম্ভব।তাই আমাদের সকলকে যেকোনো কাজে লেগে থাকার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং লেগে থাকার মানসিকতা অর্জন করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 15th July,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
ধৈর্য শক্তি বড় একটি গুন।যেকোনো কাজে ধৈর্য শক্তি থাকা ভীষণ জরুরী।আরো বেশী ধৈর্য শক্তি জরুরী একজন ছাত্রের।কিন্তু আজকালকার শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হয়েছে যে, ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করার ই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের ছাত্রদের পড়ালেখার পাশাপাশি যেকোনো কাজের স্কিল ডেভেলোপ করতে হবে।আর তার জন্য ধৈর্য ধরে লেগে থাকা জরুরী।
আসলে যে কোনো কিছু নিজের আয়ত্তে আনার জন্য সে বিষয়ের উপর লেগে থাকা উচিত। কোনো বিষয়ের উপর লেগে না থাকলে সফলতার আশাটাও করা উচিত নয়। কারন বেশিরভাগ সময় সেই আশাটা আশায় থেকে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি নিজের আয়ত্তে কোনো কিছু আনতে হলে অবশ্যই লেগে থাকার মানসিকতা অর্জন করতে হবে আগে।
আমি এটা বিশ্বাস করি যে কোন বিষয়ের উপর শ্রম দিলে এক সময় তার প্রাপ্য পাওয়া যায়। কোন বিষয়েই সফলতা তারাতারি আসে না। লেগে থাকতে হয়। লেগে থাকলে দুই দিন আগে আর পরে সফলতা আসবে। খুবই সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
জি ঠিক বলেছেন,ভাইয়া ।
বাংলাদেশের নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সত্যিই কিছু বলার নেই। পরীক্ষা যেমনি হোক কিংবা পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর বইয়ের সাথে না মিলুক তবে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন এভাবে দিয়ে দেওয়াটা সত্যিই উচিত নয়। কারণ এটা হলে সঠিক মূল্যায়ন কখনোই হবে না। পরীক্ষার বিষয়গুলো সম্পর্কে তার আগে থেকেই অবগত থাকবে। এই কথাটা একদমই ঠিক ধৈর্য ধরে যে কোন কাজে লেগে থাকলে সফলতা অবশ্যই আসবে। খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
ছোট বড় কোনো কাজকেই অবহেলা করা উচিত না। ছোট বড় সব কাজে আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত লেগে থাকা। কোনো কাজকে সবথেকে বেশি কঠিন না ভেবে, আমাদের উচিত সেই কাজে লেগে থাকা। প্রতিনিয়ত লেগে থাকার ফলে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারব। আর ওই কাজটাও খুব ভালোভাবে করতে পারবো একসময়। সফলতা মুহূর্তের মধ্যেই চলে আসে না। এর জন্য অবশ্যই আমাদের ধৈর্য ধরা লাগে আর পরিশ্রম করা লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটা লিখেছেন। এটার থেকে সবাই এই শিক্ষাটা নিতে পারবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
একটা মানুষের ভেতর ধৈর্য শক্তিটা থাকা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে যদি ধৈর্য শক্তি না থাকে, তাহলে আমরা কখনই কোনো কিছু করতে পারবো না। আর জীবনে কখনো সফলতা ও অর্জন করতে পারবোনা। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আর সফলতা অর্জন করার জন্য ধৈর্যের গুরুত্ব অপরিসীম। যেকোনো কাজে ধৈর্য ধরে লেগে থাকলেই আমাদের জীবনে সফলতা আসবে। যে মানুষ ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকবে না সে কখনোই পারবেনা সফলতার কাছে পৌঁছাতে। আপনি বাস্তবিক একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন আজকের লেখাটা দেখে তো খুব ভালো লেগেছে।
জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার পোষ্টের সাথে আমি একম। যে কোন কাজে লেগে থাকাই থাকাই ভালো। আসলে ধৈর্য ধরে কিছু করলে ওই কাজের সফলতা পাওয়া যায়। আর যে কোন কাজে সফলতা হতে হলে কাজের মধ্যে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আর সফলতা আসলে মানুষের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। ছাত্রটি যেমন পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট করলে তখন অনেক কিছু তার উন্নতি হয়। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধৈর্য মানুষকে সফলতা অর্জন করার পথ দেখায়। তবে ছোটবেলায় আমরা যেভাবে ধৈর্য নিয়ে পড়াশোনা করতাম বড় হওয়ার সাথে সাথে সেটা আর থাকে না। আসলে আমরা যদি ধৈর্য ধরে রাখতে পারি তাহলেই ভালো কিছু করতে পারবো।
যে কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য কাজে লেগে থাকাটা খুবই প্রয়োজন। কারণ ধৈর্য হারিয়ে গিয়ে যদি কাজ ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে জীবনে কখনো সফলতা আসবে না । সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে ধৈর্য সহকারে কাজে লেগে থাকা । বেশ সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন আপনি। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।