স্মৃতিতে বর্ষাকাল||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা পোস্টের টাইটেল দেখে। আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল গঠিত।তবে প্রকৃতির বিরূপ আচরণের আমরা সঠিক ঋতুতে সঠিক আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছিনা।যদিও বর্ষাকাল শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন তারপরেও সেইভাবে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।সেই গ্রীষ্মকালের তীব্র তাপদাহ সবজায়গায় বিরাজমান ছিল।বর্তমান দুই তিনদিন যাবৎ বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে প্রকৃতিতে।আর প্রকৃতি হয়ে উঠেছে বৃষ্টি সিক্ত।যদিও মুষলধারে সারাদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টি নেই তারপরেও থেমে থেমে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি দেখা হচ্ছে বিগত তিনদিন।
বৃষ্টির দিন বিরক্ত লাগলেও এই কদিন অনেকটাই ভালো লাগছে কারণ গরমের খুব একটা তীব্রতা নেই।আর অতিরিক্ত গরমে দুই তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং ছিল।এখন আর লোডশেডিং ও নেই।বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে থাকতে বেশ ভালোই লাগে।আজকে কোনো প্রাইভেট পড়তে যাওয়াও নেই।তাই সারাদিন ঘুমিয়ে ,ম্যাথ করেই কাটাচ্ছি।বাসায় থাকলে টিভি দেখা যেত।কিন্তু মেসে আর টিভি দেখা সম্ভব হচ্ছেনা আবার নাটক সিনেমা দেখারও পর্যাপ্ত ধৈর্য্য নেই।আগেকার বৃষ্টির দিনগুলো মিস করি এখনো।যখন স্কুলে ছিলাম বৃষ্টির দিনে আমাদের ক্লাসে উপস্থিত সংখ্যা অনেকটা কম থাকতো।তবে আমরা বিজ্ঞানের যারা ছিলাম সবাই থাকতাম।আমাদের কোচিং এ কয়েকটা ক্লাস হতো তারপর স্যারদের মিটিং পড়ে যেত এই দিনগুলোতে।তখন আমাদের শাখার বান্ধবীরা গান পরিবেশন করতো।যারা খুব ভালো গান পারে তারা গান করতো।আবার কেউ কেউ কৌতুক অভিনয় ও পারতো তারা সেগুলো উপস্থাপন করতো।
বর্ষাকাল এখনো আসে তবে আগেকার স্মৃতি গুলো মনে করাতে।এখনকার স্মৃতি গুলো মনে পড়ার থাকবেনা কারণ কোনো বিশেষ ব্যাপার আর নেই।বন্ধু বান্ধবীরা যে যার মতো কাজে ব্যস্ত।প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা নিয়ে কেউ কেউ দিনরাত শ্রম করে যাচ্ছে।আবার অনেকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে যাতে কিনা একটা নিশ্চিত জীবনের সন্ধান পেতে পারে।বর্ষাকাল আমার বান্ধবীদের মধ্যে অনেকের পছন্দের হলেও আমার কেন জানি একটু ও ভালো লাগতো না।বিশেষ করে কর্দমাক্ত রাস্তাঘাট আমার কাছে বিরক্তির কারণ।আর স্কুল থেকে বাড়িতে গিয়ে সেই কর্দমাক্ত ড্রেসগুলো ওয়াশ করার যে ঝামেলার ব্যাপারটি ছিল সেটা একটা মেজর কারণ ছিল আমার।আগে ভাবতাম কবে স্কুল লাইফ শেষ হবে আর সাদা ইউনিফর্ম গুলো ইতি টানবো।সময়ের সাথে শেষ হলো ঠিকই তবে এখন মনে হয় সেই সাদা ইউনিফর্ম গুলো যদি আবার ফিরে পেতাম এবার আরো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতাম সময়টা।তখনকার মত অবজ্ঞা করে বিদায়ের কামনা করতাম না।আমার মনে হয় প্রত্যেকটা স্টুডেন্টের এখন এটাই মনে হয় স্কুল জীবনের সেই ইউনিফর্মটাকে আবার ফিরে পেতে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 2nd July,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
বিগত কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমের পর অবশেষে বৃষ্টির দেখা পাওয়াতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে। আমার কাছে বৃষ্টি ভীষণ ভালো লাগে ।বৃষ্টির দিনে ঘরে থাকলে কোন ঝামেলাই নেই। যদি বাইরে যাওয়ার প্রোগ্রাম থাকে তাহলে বেশ বিরক্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। তবে স্কুল লাইফে বৃষ্টি হলে বেশ মজাই হত। স্কুলে যেতে হতো না। আবার স্কুলে যদি যেতাম সেখানে বিভিন্ন ধরনের গান নাচের মাধ্যমে ক্লাসের সময় গুলো পার হত ।খুব একটা পড়াশোনা হতো না। ছোটবেলার দিনগুলো সত্যিই ভীষণ আনন্দের। আপনার পোস্টটি পড়ে আমারও কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার মতো আমার ও বৃষ্টির দিনের কর্দমাক্ত ড্রেসের কথা ভেবে তখন খারাপ লাগতো।কিন্তু এখন সেই স্মৃতি গুলো সত্যি ই মনের মনি কোটায় স্মরনীয় হয়ে আছে।বৃষ্টি মানেই স্টুডেন্ট কম।আর ক্লাস ডিসমিস। তখন অফুরন্ত আনন্দ আর হৈ হুল্লোর। অতীতের স্মৃতি গুলো সত্যি দারুন।আজ ও বৃষ্টির দিনগুলোতে সেই দিনগুলোকে খুব মিস করি।
জি আপু আগেকার দিন আসলেই মিস করি।