আমবাগান ও স্মৃতিচারণ||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার নানা বাড়ির আম বাগানে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের কিছু স্মৃতি এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে এসেছি।গতকাল সকালের দিকে আম বাগানে যাওয়া হয়েছিল।আমাদের এই জায়গাটিতে অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে।যে গাছগুলোর ছবি শেয়ার করেছি এগুলোর বয়স খুব বেশি না ১০-১৩ বছর হবে ।তবে এই আম গাছগুলোর আগে যে গাছ গুলো এই বাগানে ছিল সেগুলো সব আমার নানার নিজে হাতে লাগানো গাছ ছিল।সেই গাছ গুলো সব মোটামুটি একই সাইজ ছিল এবং সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো ছিল।আগে যখন নানা বাড়িতে যাওয়া হতো আমের সময় আমাদের আম বাগানেই বেশিরভাগ সময় কাটানো হতো।তখন বাগানে বসে গাছ থেকে আম পেড়ে আম মাখা খাওয়া হতো আমাদের সব ভাইবোনদের সাথে লুডু, চোর পুলিশ খেলা।
আম বাগানে প্রচুর আম হতো প্রতি বছর।বাড়ির পিছনে যেহেতু বাগান তাই আম মানুষজন এসে নিয়ে যেত।কিন্তু তারপরেও কখনো আমের ঘাটতি হতোনা।কেননা অঢেল আম হতো গাছগুলোতে।কখনো বিক্রি করতে দেখিনি আম নানাদের।আমার দাদা বাড়ি থেকে নানা বাড়িতেই যেতে বেশি ভালো লাগতো কেননা সবসময় জমজমাট একটা পরিবেশ থাকতো আমার নানা বাড়ি।এজন্য যে আমার খালা বাড়ি ও একই জায়গায়।তাই বাড়ি গেলে কাজিন রা খুব আড্ডা হতো।তাছাড়া সবার মাতুল পরিবারের উপর একটু টান বেশিই থাকে।আমার সবার উপর কখনো সেভাবে টান ছিলনা শুধুমাত্র নানাকে ভালোবাসতাম বেশি ।এটার একটা আলাদা কারণ ছিল যখন আমার জন্ম তখনই আমার নানা রিটায়ার করেন তো তার সারাদিন আমাকে নিয়েই কাটতো।প্রকৃতির নিয়ম তো এটাই যে যাকে বেশি ভালোবাসে তার প্রতি তার আলাদা একটা টান থাকে।আর আমার আম্মু বাড়ির ছোট মেয়ে হওয়ায় আলাদা ভালোবাসা ছিল নানার আম্মুর প্রতি।
সেই আমগাছ গুলোর সব আম মিষ্টি ছিল না , এক এক গাছে এক একরকম আম হতো।তাই ওই গাছগুলো কেটে বড় মামা এই গাছ লাগিয়েছিল।এই গাছগুলো কলমের গাছ হওয়ায় আম বেশ ভালো।আর নানার লাগানো গাছগুলো সব আটির ছিল।আমার আগের গাছগুলো বেশি ভালো লাগতো তখন বাগান টা পরিপাটি লাগতো।এখন কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।আসলে আমার নতুন কিছু তেমন একটা ভালো লাগেনা আমি পুরনো তেই কমফোর্ট ফিল করি সব কিছুতেই।
সর্বশেষ ছবিটি পুকুরের।এই পুকুরেও রয়েছে অনেক স্মৃতি।তখন সিঁড়ি গুলো ভাঙ্গা ছিল না পুরো পুকুর সাঁতরে বেড়ানো হতো বাড়িতে গেলেই।বিকেলে বর্শি দিয়ে মাছ ধরা হতো।তবে আমি জীবনে একটা মাছ ও পায়নি আমার মাছ ধরার অভিজ্ঞতা শূন্য।এখন যতদূর সম্ভব কেউ গোসল ও করেনা এজন্য এই অবস্থা পুকুরের।বর্তমান গ্রাম গুলোও আধুনিক হয়ে গিয়েছে পুকুর গুলো আর ব্যবহার করেনা মানুষ ট্যাপের পানিতে যেন তাদের সবকিছু এখন।আমার নানী সুস্থ থাকতেও এই পুকুরটির আশেপাশে এতো আগাছা ছিলনা।আসলে নিজের কষ্টে করা জিনিসগুলো তো তারা থাকতে সেভাবেই আগলে রেখেছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 16th March,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
ছোট বেলার কাটানো জায়গা গুলোতে সবারই কম বেশি অনেক স্মৃতি থাকে। আমিও ছোটবেলায় আমার নানা বাড়িতে এই ধরনের বাগান গুলোতে অনেক খেলাধুলা করেছিলাম। আপনার আজকের পোস্ট দেখে সেই কথাগুলো মনে পড়লো। বাগানটা তো বেশ বড়ই দেখা যাচ্ছে। তবে আপনার বড় মামা নতুন করে কলমের গাছ লাগিয়েছেন। পুরনো সবগুলো জিনিসই আসলে ভালো লাগে কারণ সেখানে কমবেশি অনেক স্মৃতি থাকে আমাদের।
আমার স্মৃতিচারণ পোস্ট দেখে আপনার ও স্মৃতিচারণ হলো জেনে ভালো লাগলো আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ব্লগের মাধ্যমে আম বাগানের সেই সুন্দর স্মৃতিগুলো যেন আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে। আপনার লেখনী ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই সব মুহূর্তগুলো আমাদের মনে প্রাণ জাগানোর মতো করে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপনি ছোট বেলার স্মৃতি গুলো আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবসময়,ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার আম বাগানের স্মৃতিচারণ পোস্ট পড়ে কিছুক্ষণের জন্য ছোট বেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে ছোট বেলায় কাটানো পছন্দের জায়গায়া গুলো এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে। আমি ও ছোট থাকতে পুকুরে বেশি গোসল করেছি। আপনার স্মৃতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার নানা বাড়ির স্মৃতি দেখে আপনার ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল,জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
নানা বাড়িতে গেলে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত হয়ে থাকে। আপনার নানা বাড়িতে অন্য রকম একটা মজার দিন পার হয়। আম গাছে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং নানাবাড়িতে ভাই বোনদের সাথে খুবই সুন্দর করছেন। চোর-পুলিশ লুডো বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে থাকতেন। আপনার পোস্টে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপনাকে।