মানুষকে অত্যাধিক বিশ্বাস করাটা বিপত্তির কারণ(শেষ পর্ব)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
দাঁত থাকতে মানুষ দাঁতের মর্যাদা বুঝতে পারে না।এই কথাটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত।তবে এই কথাটি যিনি সর্বপ্রথম বলেছিলেন তাকে আমার একটু দেখতে ইচ্ছে করছে,হিহি।বেচারা বেশ বিপাকে পড়েই কথাটি বলেছিলেন।যাইহোক বন্ধুরা চলুন আমার লেখার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার দাঁতের ক্যাপ লাগানো নিয়ে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আপনাদের বলেছিলাম একটি পোস্টে ক্যাপ ফেলে দেওয়ার জন্য নতুন করে আবার লাগতে হয়েছে।সেই ক্যাপে কোনো সমস্যা হয়নি।আর একটি ক্যাপ নতুন করে লাগানো হয়েছে আরেকটি দাঁতে মাসখানেক আগে। সেটিতেই মূলত সমস্যাটা হয়েছে।যদিও অনেক আগেই এই ক্যাপ টি লাগানো হয়েছিল তবে সামান্য সমস্যার জন্য আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।হঠাৎ করে কিছুদিন আগে ব্যাথা শুরু হওয়ায় ক্যাপটি পরিবর্তন করেছিলাম।
ছয়মাস আগে যার থেকে নতুন করে ক্যাপ লাগিয়েছিলাম তার থেকেই লাগিয়েছি পরবর্তী ক্যাপটি।যেহেতু ওই দাঁতে কোনো সমস্যা ছিলনা।তাই বাসা থেকে এখান থেকেই ক্যাপ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়।তো নতুন ক্যাপ লাগতে হলে তো পুরনো ক্যাপ টি খুলে ফেলে আবার লাগতে হয়।যেদিন আমার পুরোনো ক্যাপ টি ফেলে মাপ নেন।যিনি ডাক্তার তিনি ওই পুরনো ক্যাপটি রেখে দেন। আর আব্বুকে বলেন যে ,নতুন ক্যাপ তৈরির পর ক্যাপটি নিয়েন স্যার।তখন আব্বু বলেন তাকে যে, পূরণ ক্যাপ দিয়ে আর কি কাজ আছে ফেলে দিয়েন।কিন্তু ক্যাপের মাপ নিয়েছে আবার তার পূরণ ক্যাপের কি দরকার তখনই বিষয়টা আমার মনে হয় যে, তিনি না পূরণ ক্যাপটি দিয়ে দেয় আবার।যদিও আমি তখন কিছু বলিনি কেননা আব্বু বলেছে ফেলে দিতে । তবে বাসায় এসে বলেছিলাম এই বিষয়টা।
তারপরে এক সপ্তাহ পর দাঁতে ক্যাপটি লাগানো হলে তখনই আমার আগের ক্যাপ টির মতোই লাগছিল এই ক্যাপটিও।কিন্তু বাসার অন্যরা বলছিল নতুন ক্যাপ।মেডিসিন বা বিশেষ কোনো প্রক্রিয়ার হয়তো পুরণ জিনিসকে নতুন করা যায়।কিন্তু ক্যাপ এর যে সাইজ সেটি তো আর পরিবর্তন করা যায়না।যেহেতু প্রায় দুই বছর মতো আমার কাছে ছিল আমার পরিচিত লাগছিল ক্যাপ এর সাইজ টি ।ঠিক আগেরটি যেন মনে হচ্ছিল।আগের ক্যাপটি আবার অন্য ডাক্তার দিয়ে লাগানো ছিল।
তো হঠাৎ করেই সেদিন আবার আমার দাঁতে ব্যাথা শুরু হয় আর আগের সেই খাবার যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।তাহলে তিনি কি নতুন ক্যাপ তৈরি করে দিলেন যে সেই সমস্যা আবারও ফেরত আসলো মাত্র একদিনে।সেদিন ডাক্তারের নিকট আবার যাওয়া হলে একটি টেম্পোরারি সমাধান দিয়েছেন পুটিং করে।এতে কিছুদিন থাকবে তবে আবারও নতুন করে ডিপ ক্যাপ তৈরি করে লাগতে হবে বলেছেন।আমার সন্দেহ সত্যিই হলো অতঃপর । আসলেই তিনি নতুন কোনো ক্যাপ তৈরি করেন নি ।মেডিসিন দিয়ে পূরণ ক্যাপটি নতুন করে দিয়েছিলেন আরকি।আব্বু যদি সেদিন আমার কথা শুনে নতুন ক্যাপ লাগানোর দিন পূরণ ক্যাপটি দেখতে চাইতেন তাহলে লোকটির মুখোশ খুলে যেত।আমারও আর ভোগান্তিতে পড়তে হতনা । দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া সবচেয়ে বিরক্তির একটি বিষয় আমার কাছে।
এজন্যই মানুষকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করা ঠিক নয়। এছাড়াও সেদিন আব্বু যদি ওই পূরণ ক্যাপটি ফেলে না দিতে বলতেন প্রথমেই। তাহলে ডাক্তার এই দুই নম্বরি করার সুযোগ টা পেতেন না।আসলে আমরা নিজেরাই সুযোগ দিই মানুষকে নিজেদের ঠকাতে দিতে ।এজন্যই আমি সবসময় নেতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখি যাতে কেউ আমাকে ঠকাতে না পারে।আর আল্লাহর রহমতে আমি এখন পর্যন্ত কোথাও ঠকিও নি নিজের বুদ্ধিতে।তবে আমি এই চিন্তাভাবনা রাখলেও আমার আব্বু একদমই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখেন না অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তাভাবনার একজন মানুষ তিনি।আর যার জন্য তাকে ঠকতে হয়।আর তার ঠকে যাওয়া মানেই তো আমাদের ঠকে যাওয়া।এটিই আসলে বিষয়,বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে একটু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ধারণ করা উচিত সবার ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-27December,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
বর্তমান সময়ে এসে কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না। কি ডাক্তার আর কি উকিল । সবই যে একই বলির পাঠা। আর আমরা তাদের কে বিশ্বাস করে যাচিছ দিনের পর দিন। আপনারা তো তাহলে ভালোই ধরা খেয়েছেন। আসলে বর্তমান যুগে একটু বুদ্ধি করে না চললে কিন্তু হয় না। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, আমরা নিজেরাই মানুষদেরকে আমাদের ঠকানোর সুযোগ করে দেই। হয়তো ডাক্তারটি, পুরনো ক্যাপটি আপনার দাঁতে নতুন বলে লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জন্যই মাত্র একদিন পর থেকে আপনার আবার সমস্যা দেখা দিতে থাকলো। যাইহোক আপনার দাঁতের সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক এই কামনা করি।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। বিশ্বাস করা যাবে কিন্তু নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে। আপনি মানুষকে বিশ্বাস করেন ঠিক আছে কিন্তু এতটা বিশ্বাস কাউকে করা যাবে না যে বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আপনাকে ক্ষতি করার সুযোগ পাবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপনি ঠিক বলেছেন একদম ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে।
সু স্বাগতম আপু।